"গতকাল প্রতিবেশী দিদির বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।সেটি ছিল আমাদের প্রতিবেশী এক দিদির বিয়ে।সত্যি বলতে আমি নিমন্ত্রণ বাড়ি খুবই কম যাই ।তবুও মাঝে মাঝে কিছুটা নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য যেতেই হয়।তো এখন যেহেতু করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক তাই ঠিক করলাম দাদা ও আমিই যাবো।ভালো প্রস্তুতি নিয়েই ছিলাম।কিন্তু হঠাৎ বিয়ের দিন আমার একপ্রকার নাকেমুখে কাজ এসে পড়লো।
লোকেশন
(নতুন বর ও কনে)
অনেকদিন ধরে সাময়িক লকডাউন চলছে ।তাই আমাদের ক্লাস অনলাইনে হয়, কিন্তু বেশ কয়েকদিন কলেজ হলো খুলে গেছে।সরস্বতী পূজার পর ছাড়া কলেজ যাওয়া হবে না, এছাড়া কয়েকদিন পরে আমার অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা ।সাধারণত 10 টা থেকে কলেজ খুলে যায়।তখন 11.30 টায় এক বান্ধবীর ফোন আসলো।আমি ধরতেই বলল তুই কলেজ আসবি না,সবাই চলে এসেছে।আমি বললাম কেন!তখন ও বললো আজ আমাদের প্রজেক্ট জমা ও ভাইবা ধরবেন মুখে ।আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম, মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো।যদিও পরে দিলে হতো তবুও ।আমি কোনোরকমে ছুটলাম 20কিলোমিটার দূরে কলেজে।যেতে প্রায় দেড় ঘন্টা লাগে,তার মধ্যে এদিকে প্রজেক্টের মধ্যে একটি কাগজ প্রিন্ট আউট করতে হয়েছে সাইবার ক্যাপ থেকে।সবমিলিয়ে এতটাই ব্যস্ততার মধ্যে গিয়ে ও আমি সকলের লাস্টে প্রজেক্ট জমা দিতে সক্ষম হলাম।কিন্তু এতটাই তাড়াহুড়ো যে আমার শরীরে অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল।আবার টোটো করে এসে ট্রেন স্টেশনে নামতেই বমি হলো ।তারপর ট্রেন ধরে আমাদের স্টেশনে নেমে আবার টোটো ধরে বাড়ি আসলাম।আমার জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করলাম সেদিন।একদম বিয়েতে যাওয়ার মন চাইছিল না।
(আমার ধোঁয়াশা ছবি)
আমাদের বাড়ি থেকে 1 কিলোমিটার দূরে দিদিদের বাড়ি।রাত সাড়ে আটটার দিকে দাদা এবং আমি দুজনেই গেলাম পায়ে হেটে।তারপর গিয়ে দেখলাম দিদির বিয়ে হচ্ছে, কয়েকটি ছবি তুললাম সেই মুহূর্তে।আমরা উপহার হিসেবে একটি শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম তাই সেটি সেখানে দিয়ে ঘন্টা খানেক কথা বললাম অন্যদের সঙ্গে ।কনে বসার স্থানে বসে কিছু ছবি তুললাম।কিন্তু বিয়ে বাড়ির আলোর ব্যাবস্থা কোথাও কোথাও নিম্নমানের ছিল।তাই ধোঁয়াশার মতো ছবি উঠলাম।যাইহোক বিয়ে শেষ হওয়ার পর দিদির সঙ্গে ছবি তুললাম।তারপর যেহেতু আমরা মাংস খাইনা ,তাই মাছ দিয়ে হালকা খেয়ে নিলাম।মোটামুটি ভালোই হয়েছিল রেসিপিগুলি।
বিয়ে বাড়িতে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল।প্রায় সন্ধ্যা থেকেই খাওয়া দাওয়ায় আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল।সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল, যখন বর ও কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে খেতে বসেছিল তখন আমরা আমাদের বাড়ির পাশে যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে বাড়ি চলে আসলাম আবারো পায়ে হেঁটে।মোটামুটি মুহূর্তটি ভালোই ছিল।
আপু আপনার দিদি বিয়েতে খুব সুন্দর একটা মূহুর্ত কাটিয়েছেন। তার কিছু কথা আমাদের শেয়ার করেছেন। সত্যি আপু আপনার পোস্টটি পড়ে খুবেই ভালো লাগলো। আপু আপনার দিদির জুটি টি অনেক সুন্দর হয়েছে । শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
ভাইয়া, আমার প্রতিবেশী দিদির বিয়ে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই শীতে আপনাদের বিয়ে যে কতটা কষ্টের, তার মধ্যে উপস্থিত না থেকে বুঝা খুব কঠি।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, তবে প্রতিবেশী দিদির বিয়ে বেশি রাত পর্যন্ত হয়নি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার প্রতিবেশীর বিয়ের কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আশা করি তাদের দাম্পত্য জীবন শুভ হোক। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রতিবেশী দিদির বিয়েতে ভালো সময় কাটিয়েছেন দিদি । দাদাকে নিয়ে খুব সকাল সকাল উঠে গেছেন বিয়েতে । ভাল উপভোগ করেছেন সব মিলিয়ে । আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।