"কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাটানো কিছু মুহূর্ত" (10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো- "আমার কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাটানো কিছু মুহূর্ত সম্পর্কে"।
খেলাধুলা আমাদের জীবনের একটি বড়ো অংশ।খেলাধুলা পছন্দ করেন না এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।এই খেলায় আমাদের প্রধান বিনোদন।যাইহোক পূর্বের একটি পোস্টে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম আমাদের কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু অনুভূতি ও কিছু 200 মিটার দৌড়ের ফটোগ্রাফি।এছাড়া আমার পরীক্ষা থাকায় খেলায় অংশ নিতে পারেনি সেটাও বলেছিলাম।আমি খেলায় অংশ নিতে খুব ভালোবাসী,স্কুলের প্রতিটি খেলায় আমি অংশ নিতাম।আমি পুরস্কার ও পেয়েছি খেলার মাধ্যমে কয়েকবার।তবে পুরস্কার পাওয়া বড়ো বিষয় নয়, খেলায় অংশগ্রহণ করাটাই বড়ো বিষয় বলে আমি মনে করি।
400 মিটার দৌড়
দৌড় প্রতিযোগিতা যেকোনো খেলার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও মজার।এটি দেখে বেশ আনন্দ উপভোগ করা যায়, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দৌড় প্রতিযোগিতা।এটি 400 মিটার দৌড়ের কিছু দৃশ্য।মাঠের চারিপাশ ঘিরে কলেজের সকল মেয়েরা বসে খেলা উপভোগ করছিল।মাঠের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত মোট 4 বার দৌড়ে আসতে হবে 400 মিটার দৌড়ে।
লোহার গোলক ও চাকতি নিক্ষেপ
মাঠের এক প্রান্তে লোহার গোলক নিক্ষেপ খেলা ও অন্য প্রান্তে লং জাম্প হচ্ছিল।কিন্তু মাঠ থেকে আমার উঠতে মন চাইছিল না তাই শুধু এক প্রান্তের ছবি তুললাম।আসলে গোলকের ওজন কত সেটি আমার ঠিক জানা নেই, তবে আমি শুনেছি এটির ওজন 5 কিলোর মতো।যাইহোক এই ভারী গোলকটি সম্পূর্ণ লোহার তৈরি।আর এটি এক হাত দিয়ে ছুড়ে দিতে হবে দূরে।যার সবথেকে বেশি দূরে গিয়ে পড়বে সেই বিজয়ী।একইভাবে চাকতি নিক্ষেপ ও খেলতে হয়।তবে এটি সম্ভবত লোহার নয়,এটি গোল চাকার মতো এক হাতে ছুড়ে দিতে হয়।চাকতি কিছুটা কম ভারী হয়ে থাকে।
হাই জাম্পের প্রস্তুতি
এখানে স্যারেরা হাই জাম্পের জন্য দুইপাশে দুটি লোহার ধারকের গায়ে পেরেক দিয়ে গোলাকার পাইপ সেট করে দিচ্ছিলেন ।এই খেলার বিশেষত্ব হলো পাইপের উপর দিয়ে পাইপে না ছুঁয়ে লাফ দিতে হবে।প্রত্যেকবার লাফ দেওয়ার পর যারা পাইপে টাচ করবে না তাদের আবারো খেলার সুযোগ থাকবে।তবে এক্ষেত্রে প্রতিবার একটি নির্দিষ্ট মিটার দিয়ে মেপে পাইপ উঁচু করে দেওয়া হবে।পাইপটি প্রত্যেকবার কিছুটা করে উঁচু করে দেওয়া হবে।সেটারই প্রস্তুতি চলছে মিটার দিয়ে মেপে।
হাই জাম্প
এই খেলাতে খুব বেশি সংখ্যক মেয়েরা নাম দিইনি।5-6 জন মাত্র ছিল।শেষ পর্যন্ত 3 টি মেয়ে ভালোই খেলছিল।সেই তিন জনের খেলার দৃশ্য শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।এখানে কিছুটা দূর থেকে দৌড়ে এসে পাইপটির উপর অর্থাৎ শূন্যের উপর থেকে লাফ দিতে হবে।এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ খেলা।প্রথম যে মেয়েটি সে তৃতীয় স্থান,তারপর যে সে দ্বিতীয় স্থান ও একদম শেষ যে মেয়েটির ছবি সে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।এটি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগছিল, দারুণ উপভোগ করছিলাম।এই খেলায় ওই তিনজন মেয়েকে পাইপের গাঁয়ে টাচ লাগার পর ও আরো দুইবার করে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
হাই জাম্পের বিজয়ী
হাই জাম্প খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল।ছবিতে এই মেয়েটি প্রথম বিজয়ী হয়েছিল।কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর ও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল মেয়েটিকে ,যে সর্বোচ্চ কত উচ্চতা পর্যন্ত সে হাই জাম্প দিতে পারে।তারপর বিজয়ী হওয়ার পর দুইবার সে লাফ দিতে পেরেছিল ,পরের থেকে আর পারেনি।যাইহোক খুবই সুন্দরভাবে পূর্বের সবকটি ধাপ সে উত্তীর্ণ করেছিল।
কিছুটা সময় চিন্তার মধ্যে
এরপর যেমন খুশি তেমন সাজোসহ আরো খেলা বাকি ছিল, কিন্তু অনেকটা দেরি হয়ে যাবে বলে আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম ট্রেন ধরে।এমনিতেই কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিন্তায় ছিলাম।আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে 5 টার আগে কেউ বাড়ি যেতে না পারে।কিন্তু আমরা যারা বাড়ি থেকে যাই -আসি তারা সবাই চিন্তা করছিল।অনেকেই দূর-দূরান্ত বাড়ি থেকে কলেজ আসে।কারণ ট্রেন ধরে আসতে রাত হয়ে যাবে।আমি তখন ফোনে আমার দাদাকে জানাই ,দাদা আমাকে আমার স্টেশন থেকে সাইকেল করে এগিয়ে নেবে বলে দিয়েছিল।কারণ আমার স্টেশনে যেতে ও রাত হয়ে যাবে।কিন্তু গেট দুপুরের দিকে খুলে দেওয়া হয়েছিল।তাই চিন্তা কেটে গিয়েছিল অনেকখানি, এইজন্য আমি তাড়াতাড়ি টোটো ধরে ট্রেন স্টেশনে এসে ট্রেন ধরে চলে আসি আমাদের স্টেশনে।সেখান থেকে আবার টোটো ধরে বাড়ি ফিরে আসি।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি ও আমার অনুভূতিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক--
https://twitter.com/green0156/status/1497763660369829889?s=20&t=oGI0YlZGMVpbfJQm2_J3dA
কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। আসলে কলেজ লাইফে এবং ইস্কুল লাইফের মতো আনন্দময় জীবন আর হয় না আমরাও কলেজ লাইফ এবং স্কুল লাইফে এরকম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে খুব আনন্দ উপভোগ করতাম। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি দেখে খুবই ভালো লাগলো ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
এই সময় কালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রিড়া হয়ে থাকে,আপনি খুবই ভালো সময় পার করছেন আপনার লেখার মধ্য আনন্দ খুজে পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভালো লাগলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানটি দেখে। একটা সময় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খুব আনন্দ করে দেখতাম। অনেক ধন্যবাদ, আপনি এত সুন্দর এবং ভিন্নধর্মী একটা পোস্ট নিয়ে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনি ও ভালো থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রতিটি বিষয় তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগলো।এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে অনেক মিস করি। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এ সময়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই সময়কালে আমি আনন্দময় উপভোগ করতাম আমার কলেজে। আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মনে হয় অনেক আনন্দ করলেন। স্কুল লাইফে আমরাও এরকম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরস্কার পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর প্রতিযোগিতায় তেমন অংশগ্রহণ করা হয় না। কিন্তু আজকে আপনার কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কিছু ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 🤗🤗
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু😊, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
দিদি অনেক ভালো লাগলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানটি দেখে। একটা সময় আমিও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খুব আনন্দ করেতাম। অনেক ধন্যবাদ, আপনি এত সুন্দর এবং ভিন্নধর্মী একটা ব্লগ নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কাটানো ক্রিয়াপ্রতিযোগিতার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল বিশেষ করে 5 কেজি ওজনের ওই গোলাকার বলটি নিক্ষেপ করা এবং উঁচুতে ঝাঁপ দেওয়ার মুহূর্তটি আমার কাছে বেশ মজাদার লেগেছে। আমরা মাঝেমধ্যে যখন কিয়া প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে তখন আমরা এই খেলাগুলো করে থাকি এগুলো সত্যিই অনেক মজাদার। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খেলাধুলা খুবই মজার।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
খেলাধুলা সবসময়ই শরীর এবং মন ভালো রাখে। খুব ভালো উপস্থাপনা করেছেন এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা🥀 আপনি খুব চমৎকার উপভোগ করেছেন দেখলাম পুরো প্রতিযোগিতাটি।
শুভকামনা রইল সকল বিজয়ীদের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।