"অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিললো"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা?
আশা করি সবাই ভালো আছেন।যাইহোক আজ আমি বৃষ্টি নিয়ে মনের অনুভূতি প্রকাশ করবো।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।সেটি হলো---"অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিললো"।
আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ এবং ইলিশগুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।পরিবেশ একটু পরিবর্তনের রূপরেখা দেখা যাচ্ছে।এই মুহূর্তের অপেক্ষা বা প্রতীক্ষায় সকল মানুষ।এই প্রকৃতি দেখে অনুভব করতে পারছি যে এই বুঝি বর্ষাকাল নামে ঋতুটির আবির্ভাব হয়েছে এবছর।সাধারণত বর্ষাকাল অনেকের প্রিয় ঋতু ,পরিবেশ নতুনভাবে সেজে উঠে।গাছেরা পায় নতুন প্রানের সরস আভাস।কবিরা পান তাদের লেখার ছন্দ, গানপ্রেমীরা পান গানের সুর ও ভাষা,লেখকরা খুঁজে ফেরেন সাহিত্য।সবমিলিয়ে দারুণ অনুভূতির বড়ো আনন্দ ভোগ করেন কৃষকরা ও জেলে শ্রেণীর মানুষ।
আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গিয়েছে তবুও বৃষ্টির দেখা পাওয়া বড়োই মুশকিল হয়ে পড়েছিল।মনে হচ্ছিল প্রকৃতি মানুষের উপর খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে বসে আছে আর আকাশের মন খারাপ।মানুষ অযথা বৃক্ষ কেটে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে প্রকৃতিকে রাগিয়ে তুলেছে।তাই পরিবেশকে শীতল বা সতেজ করার কোনো ইচ্ছে তার নেই।কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে একটু দেরি করে হলেও অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিললো।তাই বেশি বেশি গাছ লাগানো খুবই প্রয়োজনীয়।
বৃষ্টিতে ভেজা মাটির সোদাগন্ধ নাকে ভেসে আসছে ।বৃষ্টির এই অনুভূতিগুলি সত্যিই ভিতর থেকে নাড়া দেয় সেটা কতটা ভালো লাগার তা হয়তো মুখে বলে ঠিকভাবে প্রকাশ করা যাবে না।
এইবছর আমি দেখেছি কৃষকের মুখে হাহাকারের গল্প ,দেখেছি তাদের চোখে মুখে এক অস্থিরতার প্রতিচ্ছবি।গরমে মাটি চৌচির হয়ে ফাটল ধরার মতো খরা সৃষ্টি হওয়ার দৃশ্য যেটা নিতান্তই নিরাশার।বর্ষাকালের ধান চাষ করার জন্য এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।এমনকি অনেক কৃষকের ধানের বিজপাতা খরায় জলের অভাবে মারা গিয়েছে নয়তো আবার লাল হয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম।তাদের মাঠের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে চাষ পর্যন্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।অনেকে আবার নিজেদের বিদ্যুৎ খরচ করে গরমের সময়ের মতো মাটির গভীর থেকে জল তুলে ফসল চাষ করার বন্দোবস্ত করছে।কিন্তু প্রকৃতির কাছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র এবং আমাদের কিছুই করার সাধ্য নেই।
বর্ষাকালে মরা নদীরা প্রাণ ফিরে পায় কিন্তু এইবছর মরা নদী সেভাবেই রইয়ে গেছে শুন্য গহ্বরে।যার বুকে জলের দেখা মিলে প্রাণের সঞ্চার হয়নি।মাছেরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়নি।এমনকি মানুষকে গরম কালের মতো দেহে প্রাণ অর্থাৎ তৃষ্ণা মেটাতে জুস বা শরবত পান করতে হচ্ছে।এটি বড়োই আজব বিষয়।আজ অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।তাই অনুভূতিগুলি ভাগ করে নিলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা অনুভূতিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন।
টুইটার লিংক
এবার বৃষ্টি কম হচ্ছে আর এজন্য গরম প্রচণ্ড পড়ছে তাই সবাই বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থাকে। তো যখন অনেকদিন পর বৃষ্টি হয় তাহলে আসলে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার মত আমারও এই বর্ষাকাল আসলে খুবই প্রিয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আজ আসলেই বৃষ্টির জন্য এতদিন পর্যন্ত শুধু একটি হাহাকার ছিল। মানুষ বিভিন্ন গাছপালা কেটে প্রকৃতিকে ক্ষিপ্ত করে দিচ্ছে তাইতো প্রকৃতির এমন রাগান্বিতা মনোভাব। যাইহোক বৃষ্টির কারণে প্রশান্তি মিলল।
ঠিক বলেছেন আপু,মানুষই এর জন্য দায়ী অনেকাংশে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আমার কাছে ও বর্ষাকাল অনেক প্রিয় ঋতু। এই বছর বৃষ্টি কম মনে হচ্ছে কারণ এই সময় অনেক বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না। লাস্টে হবে মনে হয়। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু,সেই প্রতীক্ষায় সকলেই।ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।স্বাগতম আপনাকে💐.