"এলোমেলো কয়েকটি ফটোগ্রাফী"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম একটি ভিন্নধর্মী ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে।ফটোগ্রাফী করতে আমার পূর্বে ভালো না লাগলেও এখন বেশ ভালো লাগে।আর সেই ভালো লাগা থেকেই আমি আজকেও এলোমেলো কয়েকটি ফটোগ্রাফী নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের সামনে।
এলোমেলো কয়েকটি ফটোগ্রাফী: প্রযুক্তি আমাদেরকে কতটা উন্নত করেছে তা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়।আমাদের আশেপাশের ছোট ছোট জিনিসকে আমরা খেয়ালই করতাম না বা গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে চলতাম।কিন্তু প্রকৃতির এই এলোথেলো সুন্দর ছবিগুলো এখন অধরা না থেকে বন্দি হয় ক্যামেরা কিংবা ছোট্ট মুঠোফোনে।আসলে ছোট ছোট এই সুন্দর কিছু অবলোকন করতে বড্ড ভালো লাগে।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি এলোমেলো ছবি---
বুনো ফুল
এটি একটি পিঙ্ক কালারের বুনো ফুল।আমি এই ছবিটি দামোদর নদীর তীর থেকে ক্যাপচার করেছিলাম।নদীর পাড়ে অনেক বুনো ফুল সুন্দরভাবে ফুটেছিল।এটা কিছুটা শিম ফুলের মতো দেখতে।কিন্তু এটা অনেকটা ছোট সাইজের ও সুন্দর কালারফুল।এই ফুলের লম্বা ফল ও হয়ে থাকে।
বুনো ফুল
গতদিন হঠাৎ আমাদের বাড়ির পুকুরের কোণে চোখ পড়তেই সুন্দর বুনো ফুলটি দেখলাম।এটা হলুদ রঙের ফুল সুন্দরভাবে ফুটে দোল খাচ্ছিল মৃদু হাওয়ায়।হলুদ রং আমার খুবই পছন্দের।তাছাড়া হালকা হলুদ রঙের সরু ফুল গাছটি অনেকটাই উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।যেটি দেখতে খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাগছিল।
মাশরুমের ছবি এটি একটি প্রাকৃতিক মাশরুম।অনেকে একে দুর্গাছাতু ও বলে থাকেন।আবার ছোটবেলায় আমরা ব্যাঙের ছাতা বলতাম।তবে এটি কোনো ক্ষতিকর নয় তাই এটা খাওয়া যায় রান্না করে।খুবই টেস্টি খেতে এটি।মাশরুমগুলি আমাদের খড়ের গাদায় প্রাকৃতিকভাবে স্তরে স্তরে জন্মেছিল।যেটি দেখতে একদম সিঁড়ির মতো লাগছিল।
মন্দিরের চিত্র এটি শক্তিগড়ের একটি মন্দির।যেটা পুজো দেখতে যাওয়ার পথে আমাদের সামনে পড়েছিল।মন্দিরটি সুন্দর ছিল তবে একটু বাঁকা করে তৈরি করা ছিল।সম্ভবত এটি কারো বাড়ির পুজো দেওয়া মন্দির।পথ চলতে চলতে এইরকম সুন্দর সুন্দর ধর্মীয় স্থানগুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে।
ডুমুরের ছবি সদ্য বেড়ে ওঠা ঝোপের মধ্যে ডুমুর গাছটিতে প্রথম কয়েকটি ডুমুর ধরেছে।যেটা রোদের ঝলমলে আলোতে খুবই ভালো দেখতে লাগছিল।তবে ডুমুরের সাইজ বেশ বড়ো ছিল এবং এটা খাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।ডুমুর খুবই উপকারী একটি ফল যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।পরের দিন আবারো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
বাহ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন তো আপনি দেখছি। সত্যি বলতে কমিউনিটিতে এখন সকলেই অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে। সকলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হই আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনার থেকে আশা করব দিদি শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কমিউনিটিতে অনেকেই দারুণ ফটোগ্রাফী করেন।যেটা আমার ও খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য দ্বারা উৎসাহিত করার জন্য।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনার ইদানীং ছবি তুলতে ভালো লাগে।প্রযুক্তির বিষয়টা আসলে গায়ে কাটা দেয়ার মতোই।
ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিল।বিশেষ করে মন্দিরের ছবিটা বেশি ভালো লেগেছে।শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার তোলা বুনো ফুল,মন্দির, মাশরুম ও ডুমুর এর ছবি বেশ সুন্দর হয়েছে। আসলেই প্রযুক্তির কল্যানে আমরা অনেক এগিয়ে আসি।যাই হোক পিংক কালারের বুনো ফুলটা বেশ দারুন লাগছে।মাশরুমকে যে দুর্গাছাতু বলে তা তো জানতাম না।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আমিও কিছুদিন আগে জানলাম এটি।অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুব দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন আপু। বুনোফুল গুলো সত্যি অসাধারণ। এগুলো ঝোপের মধ্যে, রাস্তার আশেপাশে খুব সুন্দর করে ফুটে থাকে কিন্তু আমাদের চোখে এড়িয়ে যায় ছোট হওয়ার কারণে।মাশরুমের যে ফটোগ্রাফিটি দিয়েছেন তা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর নিচে যে ডুমুরের ছবি দিয়েছেন এগুলো আমরা সাধারণত খাই না। কিন্তু একগুচ্ছ আকারে গাছে যেগুলো ধরে সেগুলোই খাওয়া হয়। এই ডুমুরগুলো নাকি খাওয়া যায় না। সেজন্যই খাওয়া হয় না। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আপু ,এই ডুমুর ও একগুচ্ছ আকারে ধরে থাকে ।এটা নতুন ধরেছে ছোট গাছে এইজন্য এমন।আমরাও গুচ্ছকারে ডুমুরগুলিই খাই,ধন্যবাদ আপনাকে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছে আপু আপনি। বন ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপু,আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি পর্বে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম। ঠিক বলেছেন দিদি বুনোফুলের সৌন্দর্যটা ঠিক শিম ফুলের মতো লাগছে। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর দৃশ্য গুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আজকাল তো ডুমুর গাছ দেখাই যায় না কারো বাড়িতে। মানুষ যত সিভিলাইজড হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলছে। একমাত্র এই পরিবেশের সৌন্দর্য গ্রামেই পাওয়া যায়।আপনার বাড়ি শক্তিগড়ে আজকে জানতে পারলাম। আর অনেকগুলো ফুল আছে যেগুলোকে আমরা সব সময় দৃষ্টিগোচর করে যাই। কিন্তু একবার ক্যামেরা নিয়ে তাদের সামনে দাঁড়ালে যেন তাদের রূপ ঠিক রে বেড়োয়। খুব সুন্দর ছবিগুলো তুলেছেন।
সত্যিই অনেক কিছু বিলুপ্তির পথে ।ধন্যবাদ দিদি,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।