"পেঁপে সমাচার"(শৈশব স্মৃতির সঙ্গে)
নমস্কার
পেঁপে সমাচার(শৈশব স্মৃতির সঙ্গে):
পেঁপে আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল।যেটা কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।আবার সবজি হিসেবে তরকারী করেও খাওয়া যায়।আজ বলবো সেই জনপ্রিয় পেঁপের গল্প নিয়ে---।
পেঁপে খুবই উপকারী একটি ফল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আর পেঁপে গরমকালের জন্য অনেক উপকারী কারন পেঁপে খেলে শরীর ঠান্ডা হয়।আর ছোটবেলা থেকেই পেঁপের প্রতি আমার একটা আলাদা দুর্বলতা কাজ করে।তবে সেটা কাঁচা নয় অবশ্যই পাকা পেঁপের প্রতি।
ধরুন, ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে এক জেঠুর বাড়ি কাঁচা পেঁপে কিনতে যেতাম।সেই জেঠুদের বাড়ি অনেক পেঁপে গাছ ছিল,এতটাই পেঁপে ধরতো গাছে যে ছোট ছোট পেঁপে আড়ালে পেঁকে থাকতো।আর পাখিরা মজা করে খেয়ে নিত।জেঠুদের বাড়ি ছোট বাচ্চা না থাকায় আমাকে খুবই ভালোবাসতেন।প্রত্যেকবার কাঁচা পেঁপে গাছ থেকে নামানোর সময় আমি পাকা পেঁপে খুঁজতাম গাছে।আর কাঁচা পেঁপে কেনার পর আমি একটা করে গাছপাকা পেঁপে ফ্রিতে নিয়ে আসতাম।সেটা বড় হোক কিংবা ছোট অর্থাৎ পাকা পেঁপে খেতে কিন্তু আমি অনেক পছন্দ করি।
এখন আমাদের বাড়ির গাছে অনেক অপেক্ষার পর কয়েকটি পেঁপে ধরেছিল।পেঁপে পাকাতে রাখার বিপক্ষে তো সবাই কিন্তু আমি বাপু,,,,,, দুই গাছে সবথেকে বড় দেখে চারখানা পেঁপে পাকাতে রেখেছিলাম।অনেক ধৈর্য্য ও অপেক্ষার পর দেখলাম একটি গাছের পেঁপে হালকা পাক ধরেছে সঙ্গে হালকা নষ্ট হওয়ার জোগাড়---।আমি তো সেই গাছের দুইখান পেঁপেই ছিড়ে এনে একটি তরকারী করে খেলাম আর অন্যটি একটু খেয়েই ফেলে দিতে হলো।এরপর অন্য গাছের পেঁপেগুলি কিছুতেই পাক ধরছে না হালকা রং এসেছে পেঁপের গায়ে।তাই আগেভাগেই দুটি তুলে নিয়ে একটি খিচুড়ি করে খেলাম আর অন্যটি রেখে দিলাম।দুইদিন পর দেখলাম হালকা নরম হয়েছে পেঁপেটি তাই গতদিন কেটে ফেললাম।পেঁপের গা কাঁচা থাকলেও ভিতরে কিন্তু নরম হয়ে যায় পেঁকে।তাই পেঁপেটি কেটে সবাই ভাগ করে খেলাম।ভালোই রং ও মিষ্টি হয়েছিল পাকা পেঁপেটি খেতে।এটাই ছিল দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমার পাকা পেঁপের সমাচার।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
পেঁপে দেখছি আপনার খুবই পছন্দের । পাকা পেঁপে খেতে খুবই সুস্বাদু যেটা আমার প্রিয় । বিশেষ করে গাছ পাকা পেঁপে খেতে খুবই ভালো লাগে। যেটা অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না । আর যদিও গাছে পাকে সেটা পাখি খেয়ে ফেলে। আধাপাকা হওয়ার সাথে সাথেই পাখি খাওয়া শুরু করে দেয়। ভালো লাগলো আপনার পেঁপে খাওয়ার সমাচার পড়ে।
পাকা পেঁপে আপনারও প্রিয় জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
পেঁপে নিয়ে ছোটবেলার বেশ সুন্দর একটি কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী সেটা পাকা অথবা কাচা যেটাই হোক না কেন। পেঁপে আমাদের বাসায় ও সব সময় কিনে থাকে।
কারণ পেঁপে গ্যাস্টিকের জন্য অনেক উপকারী। আপনার শৈশবের স্মৃতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আসলে আপু পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেটা কাঁচা হোক কিংবা পাকা হোক। আপনার মায়ের সাথে পেঁপে কিনতে যাওয়ার শৈশব স্মৃতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আবার সাথে পেঁপে ও ফ্রি পেলেন। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,ছোটবেলাগুলি আসলেই মজার হয় অনেকটা।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিন্ন ভিন্ন পোস্টগুলো জীবনের বেশ কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ধরুন আপনার গল্প পড়তে গিয়ে পেঁপে নিয়ে আমার জীবনের অনেক ঘটনা স্মরণ হয়ে গেল, যে কোন মুহূর্তে চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরতে। তবে যাই হোক ভালো লাগলো সুন্দর এই পেঁপে বিষয়ক উপস্থাপনা।
আমার পোষ্ট পড়ে আপনার শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গেল জেনে ভালো লাগলো, অবশ্যই শেয়ার করবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পেঁপে শরীরের জন্য অনেক উপকার। অনেকে এটাকে ফল হিসাবে ও নিয়মিত খেয়ে থাকেন।
আমি যখন সুযোগ পাই বাজার থেকে পেঁপে আনার চেষ্টা করি তবে বেশিরভাগ সময়েই কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। আপনার পেঁপে নিয়ে ছোটবেলার কাহিনীটা আমার কাছে বেশ মজার লেগেছে। আমিও ছোটবেলায় এরকম গাছের পাকা পেঁপে খেতাম। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার শৈশব স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
পেঁপে খুবই ভালো সবজি ভাইয়া।আপনি বেশিরভাগ সময়ই এটা কেনার চেষ্টা করেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
পেঁপে কিনতে মায়ের সাথে জেঠুর বাড়িতে যাওয়া ও পেঁপে কিনতে গিয়ে পাঁকা পেঁপে কিনতে যাওয়া এবং ছোট, কিংবা বড়োপাকাা পেঁপে ফ্রী তে পাওয়ার খুব সুন্দর ছোট বেলার সৃতিচারণ করেছেন আপনি।আপনার গাছের পেঁপে গুলো খুব সুন্দর। পেঁপের ফটোগ্রাফিতে পেঁপে গুলো খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর ছোটবেলার সৃতিচারণ গুলো শেয়ার করার জন্য।
দিদি ,পাকা পেঁপে কিনতে যেতাম না ।কাঁচা পেঁপে কিনতে যাওয়া হতো আর পাকা পেঁপে ফ্রি দিত আমাকে খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পেঁপে নিয়ে ছোটবেলার কাহিনীটা পড়ে আমার নিজের ছোট বেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমি ছোট বেলায় গাছের পাকা পেঁপে এলাকা থেকে কত চুরি করে খেয়েছি। গাছে হলুদ বা পাকা পেঁপে দেখলেই ছোট বেলার বন্ধুদের নিয়ে পেড়ে খেতাম। কতো মার খেতাম। আর পেঁপে তো গ্যাসট্রিক ও লিভারের জন্য অনেক ভালো কাজ করে। অনেক ধন্যবাদ আপু। চমৎকার শৈশব স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার পেঁপে চুরির ঘটনা পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আামাদের গাছেও এবার পেঁপেহয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় হলো পাকা পেপেঁ খেতে পারেনি! নরমালি কাচা পেঁপেরান্না করে খাওয়া হলো। আপনার পাকা পেঁপেদেখে লোভ লেগে গেল দিদি 🌼
এইবার পেঁপে ধরলে অবশ্যই পাকিয়ে খাবেন ভাইয়া।