শরীরের রোগ- প্রতিরোধে জবা ফুলের চা
বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমরা প্রত্যেকেই সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চা পান করি।
আজ আমি বানাবো জবা ফুলের চা। হ্যাঁ, আপনারা ঠিকই শুনেছেন জবা ফুলের চা। চা তো আমরা রোজই পান করি কিন্তু আজ একটু ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন কিছু দিয়ে চা পান করার মজাটাই আলাদা।রক্ত জবা শরীর ফিট রাখতে খুবই উপকারী।সাদা, ঘিয়ে, পিঙ্ক জবা অতটা উপকারী নয়।প্রত্যেকের বাড়িতেই জবা ফুল দেখতে পাওয়া যায় ।আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে এসব ভেষজ উদ্ভিদ কিন্তু আমরা এর যথাযথ ব্যবহার করি না।এটি শুধু মায়ের পায়েই ব্যবহার করা হয় না।বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এবার আসি জবা ফুলের চায়ের গুন বা উপকারিতা সম্পর্কে:
1.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
2.জবা ফুল শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
3.হৃদ রোগের আশঙ্কা কমায় এবং লিভার সারাতেও জবা ফুল ভীষন কার্যকরী।
3.ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়।
4.হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
5.উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেএবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
জবা ফুলের কার্যকারিতা:-
1.জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আস্কর্বিক আসিড।জবা ফুল নিয়মিত খেলে সর্দি কাশির সমস্যা কমে যায় ।
রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়।
শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে।
2.জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং নানারকম সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ,ফলেট ইত্যাদি।জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আন্টিঅক্সিডেন্ট।
3.ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে ভালো রাখে।জবা ফুলে আছে ডিউরেটিক প্রপাটিজ ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়। নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায় এবং শর্করার শোষণও কমিয়ে দেয় ।
- এটা শরীরে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষমতা বাড়ায়।
- রক্ত জবা লাল রঙের হওয়ার জন্য এর উপকারিতা বেশি।এছাড়াও এর পাতা, ফুল,কাণ্ড সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং জবা ফুল চুলের যত্নে ও ব্যবহার করা হয়।
চা বানানোর উপায়:-
আমি প্রথমে কিছু ফুটন্ত জবা ফুল গাছ থেকে তুলে নিলাম।
এবার জবা ফুলের পাঁপড়িগুলি আলাদা করে ছাড়িয়ে নেব।
ফুলগুলি থেকে পাঁপড়ি গুলি ছাড়ানোর পর মাঝখানের ডাটি গুলি ফেলে দিতে হবে।
ফুলগুলি 1-2বার পরিষ্কার জলে ধুয়ে নেব।
এবার আমি এখানে 6-7 টি গোলমরিচ নিয়েছি।চাইলে গোলমরিচ বা দারুচিনি বা এলাচও ব্যাবহার করা যায়।
গোলমরিচ গুলো আমি গুঁড়ো করে নিয়েছি।এটা সুন্দর গন্ধ আনার জন্য চায়ে ব্যবহার করা হয়।
এরপর আমি একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে জবা ফুলের পাঁপড়ি এবং গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছি।
এবার আমি মিডিয়াম চুলার আঁচে10 মিনিট জ্বাল করে নেব। 10 মিনিট পর জলের রঙ বদলে যাবে।
এবার আমি পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে দিয়েছি। এতে চিনি কিংবা মধু মিশিয়েও খাওয়া যায়।আবার কিছু না দিয়েও খাওয়া যায়।
আমার চা বানানো হয়ে গিয়েছে।এটা গরম বা ঠান্ডা যেমন খুশি সব অবস্থাতেই পান করা যায়।
আমি এটাকে ছেকে নিয়ে চায়ের একটি পাত্রে ঢেলে নেব।
এবার আসি জবা ফুলের স্বাদ সম্পর্কে:
এর স্বাদ অনেকটা ক্রানবেরি জুসের মতো।তবে অনেকেই মন্তব্য করেন যে ,জবা ফুলের রস টক খেতে।সাড়া পৃথিবী জুড়ে জবা ফুলের স্বাদকে ঝাঁঝালো গন্ধ এবং হালকা টক বলা হয়।কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ সারা পৃথিবী জুড়ে জবা ফুলের চা খেয়ে ক্রানবেরি জুসের মতো এনজয় করেন।
আমি এখানে চাপাতার বদলে জবা ফুলের পাঁপড়ি ব্যবহার করেছি। আমি এবং আমার পরিবার জবা ফুলের চা পান করেছি।এটা খেতে বেশ ভালো।চিনি মেশানোর ফলে এটির টকভাব মনেই হয়নি।
শরীরের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনারাও অবশ্যই বাড়িতে জবা ফুলের চা পান করুন।
ফটোগ্রাফি: @green015
অভিবাদন্তে: @green015
এটি খুবই একটি তথ্যবহুল পোস্ট করেছো। খুব ভালো।
ধন্যবাদ দাদা।
খুবই ভালো কন্টেন্ট। নতুন ভাবে চা যে খাওয়া যায় ।এটি যে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তোমার পোস্ট পড়ে জানলাম। শুনেছি ডক্টর রা এটা নিয়ে অনেক ভালো উপকারের কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার আসলে এটা জানা ছিল না। তবে আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এটা অনেক উপকারী।আপনি ও খেয়ে দেখবেন একদিন।
ভালো তথ্য দিয়েছেন। আপনার লেখাগুলো ভালো ছিল ।যাইহোক আমি জেনে বিষয়টা খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
জবা ফুলের চা ? কোনো দিন শুনিনি , ইউনিক একটা জিনিস জানলাম । ধন্যবাদ তোমায় এখানে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। আগে অনেক দিন আগে থেকে জানতাম। কিন্তু গতকাল জীবনের প্রথম জবা ফুলের চা বানালাম। তারপর খেলাম। খুবই ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর দেখতে হয়েছে। আমি কখনো খাইনি।চেষ্টা করবো একদিন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা বিষয় জানানোর জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।