"পাকা পেঁপের কিছু ফটোগ্রাফি ও হালুয়া,বরফি ও লাড্ডু রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "কিছু পাকা পেঁপের ফটোগ্রাফি এবং তার সঙ্গে মজাদার নতুন হালুয়া,বরফি ও লাড্ডু রেসিপি"।
পেঁপে একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল।এটি খুবই পুষ্টিকর ও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।পেঁপেতে নানা ধরনের রোগ -প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।যাইহোক অনেক দিন পর আমাদের দুটি গাছে দুটি পেঁপে পেকেছিল।তার একটি আমার দাদা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিল।সেটি আমরা পাকা ফল হিসেবেই খেয়েছিলাম।কিন্তু আজ আমি ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন তিনটি রেসিপি বানিয়ে দেখাবো অন্য গাছের আরেকটি পাকা পেঁপে দিয়ে।পেঁপে পাকা ও কাঁচা সব ভাবেই খাওয়া যায়।তরকারি করে খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মজাদার খাবার ও বানানো যায় সহজে এই কাঁচা এবং পাকা পেঁপে দিয়ে।পাকা পেঁপে দিয়ে পায়েস,হালুয়া ,বরফি ও লাড্ডু ইত্যাদি মজার খাবার তৈরি করা যায়।আজ আমি পাকা পেঁপে দিয়ে প্রথমে হালুয়া তৈরী করে তারপর সেটি দিয়ে বরফি ও লাড্ডু তৈরি করবো।এটি কিন্তু খেতে ভীষণ মজার ও মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়।এছাড়া এই রেসিপিটা বাচ্চা থেকে বড়োরা সবাই পছন্দ করেন। আমি আপনাদের একসঙ্গে তিনটি রেসিপি বানিয়ে দেখাবো ,যেহেতু এটি ধাপে ধাপে করতে হবে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটা শুরু করা যাক-----
★উপকরণ:
1.পাকা পেঁপে - 1 টি
2.সুজি- 3 টেবিল চামচ
3.লবণ - সামান্য পরিমাণ
4.সাদা তেল - 2 টেবিল চামচ
5.এলাচ - 2 টি
6.দারুচিনি - 3 টুকরো
7.চিনি - 1/2 কাপ পরিমাণ
8.গুঁড়ো দুধ - 1 টেবিল চামচ
★আমার তোলা কিছু পেঁপের ফটোগ্রাফি:
●পেঁপে হালকা পাক ধরার ছবি।
●আমাদের পুকুরের এক পাশে পেঁপেটি গাছে পেকে গিয়েছে।
●গাছে থাকা অবস্থায় দারুণ দেখতে লাগছে পেঁপেটি।
●তো পেঁপেটি পেকে গিয়ে খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেছে।
●এরপর এটি গাছ থেকে নামীয়ে নিলাম।
★প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
●তো আমার পেঁপেটি নামিয়ে নেওয়া হয়ে গেছে।এইবার রেসিপি তৈরি করবো।
ধাপঃ 2
●পাকা পেঁপেটি ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।তারপর খোসা ছাড়িয়ে নেব পেঁপেটির গা থেকে বটির সাহায্যে।এরপর মাঝবরাবর কেটে নেব।
ধাপঃ 3
●দেখুন কি সুন্দর দেখতে লাগছে পেঁপেটি,এইবার এটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেব।
ধাপঃ 4
●আমি একটা গ্লাসের সাহায্যে পেঁপে টুকরোগুলি চেপে গলিয়ে নেব ।আপনারা চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
ধাপঃ 5
●এরপর আমি চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি পরিস্কার কড়াই বসিয়ে দেব।কড়াইতে 2 টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে তার মধ্যে এলাচ ও দারুচিনির টুকরো দিয়ে হালকা ভেঁজে নেব নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 6
●তো এলাচ ও দারুচিনি ভাজা হয়ে গেলে গলানো পেঁপেটি ঢেলে দেব কড়াইতে।এরপর অনবরত চামচের সাহায্যে নাড়তে থাকবো।
ধাপঃ 7
●পেঁপের মধ্যে থাকা জল কিছুটা শুকিয়ে আসলে তার মধ্যে সামান্য লবণ দিয়ে দেব এবং 3 টেবিল চামচ সুজি দিয়ে দেব।এরপর আবার অনবরত নাড়তে থাকবো যাতে পেঁপেটি কড়াইয়ের নীচে লেগে পুড়ে না যায়।
ধাপঃ 8
●কিছু সময় পর চিনি দিয়ে দেব পেঁপের মধ্যে ।এরপর চিনি গলে গিয়ে জল বের হবে।ওই জলটি পুরোপুরি শুকিয়ে নেব ।আপনারা চাইলে এতে ঘি ও ব্যবহার করতে পারেন।তারপর একটা পরিষ্কার পাত্রে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
●তো তৈরি হয়ে গেল আমার পেঁপের মজার (হালুয়া)।এটা এভাবেই খাওয়া যায়।
ধাপঃ 10
●এইবার একটি পাত্রের গায়ে হালকা তেল ব্রাশ করে তার মধ্যে গরম গরম পেঁপের হালুয়াটি ঢেলে চামচ দিয়ে সমান করে নেব।কিছু সময় পর ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি একটি চাকুর সাহায্যে কেটে নিতে হবে।তো তৈরি হয়ে গেল আমার মজার(বরফি)।এরপর এর উপর পেস্তা বাদাম কুঁচি দিয়ে বা না দিয়ে ও খাওয়া যায়।
ধাপঃ 11
●সবশেষে আমি হাতে একটু তেল মেখে তারপর গরম পেঁপের হালুয়া অল্প অল্প নিয়ে গোল লাড্ডুর সেপ দিয়ে নেব।তারপর লাড্ডুগুলোর উপর গুঁড়ো দুধ ছড়িয়ে দেব হালকা করে।তো তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার( লাড্ডু রেসিপি)।আপনারা চাইলে খুব সহজেই এভাবে বানাতে পারেন।
আশা করি আমার আজকের পাকা পেঁপের রেসিপিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
অবশ্যই চেষ্টা করবো ভাইয়া নতুন কিছু করে আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গাছে পেঁপে গুলি ঝুলে থাকতে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। গাছটি বেশি বড় না মনে হচ্ছে কিন্তু পেঁপে গুলো বেশ বড় বড় হয়েছে। খুবই সুন্দর একটি রেসিপি করে দেখালেন আপু পেঁপে দিয়ে। আমি এর আগে পেঁপের হালুয়া কখনো খাইনি। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করবার জন্য।
ভাইয়া, সত্যি বলতে এই পেঁপে গাছে পেঁপে ধরছিল না তাই আমি পেঁপে গাছের মুন্ডু কেটে দিয়েছিলাম তারপর 3 টি পেঁপে ধরেছে বড়ো বড়ো।একবার এভাবে পেঁপের হালুয়া বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ,দারুণ মজার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাকা পেপে খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার বরফি খাবার টি নতুব লাগলো।এর আগে কখুনো খাইনি। খুব সুন্দর ভাবে ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছে শুভ কামনা রইলো।
একবার এভাবে পেঁপে দিয়ে বানিয়ে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।আশা করি ভালো লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন দিদি,
পেঁপে আমি কাঁচা এবং পাকা দুটো অবস্থাতেই খেতে পারি,তবে বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায় পেঁপে দিয়ে যদি ডিম রান্না করা হয় তাহলে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। আর পাকা পেঁপে হলেতো আর কোন কথাই নেই। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে খাওয়া যায়। তবে আপনার আজকের এই পেঁপের হালুয়া বরফি ও লাড্ডু এই কটা জিনিস আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। আমি পেঁপে দিয়ে কখনো এভাবে হালুয়া বরফি ও লাড্ডু তৈরি করে খাইনি, তবে আপনার এই তিন রকমের আইটেম দেখে মনে হচ্ছে খেতে মন্দ লাগে না, বেশ ভালই লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পেঁপের গাছ থেকে পাড়ার পর থেকে শুরু করে একদম খাওয়া পর্যন্ত অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল, এত সুন্দর ভাবে একটা ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ভাইয়া,দারুণ মজার খেতে পেঁপের হালুয়া ও লাড্ডু।এইবার জেনে গেলেন অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করে দেখবেন।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমার ও খুব ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পাকা পেঁপের হালুয়া, বরফি, লাড্ডু এই তিনটি খাবার আমার কাছে একদম নতুন। পেঁপে দিয়ে হালুয়া, লাড্ডু তৈরি করা যায় আগে জানা ছিল না। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ভালো লেগেছে সেটি হল প্রস্তুত প্রণালী একই শুধুমাত্র পরিবেশন ভিন্নভাবে করে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। পেঁপের হালুয়া টি দেখতে অনেকটা জেলির মতো দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং রেসিপি গুলো শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু,দারুণ মজার খেতে পেঁপের হালুয়া ও লাড্ডু।এইবার জেনে গেলেন অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করে দেখবেন।আপনি ঠিক বলেছেন আপু👍একই পদ্ধতিতে বানিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নাম শুধু নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তৈরি করতে হবে।হালুয়াটি দেখতে সত্যিই জেলির মতো লাগছিল আমার কাছে ও।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ্ আপু কি দেখালেন গাছে পাকা পেঁপের ফটোগ্রাফি, তার সাথে পাকা পেঁপে দিয়ে লাড্ডু বরফি দেখে যেন ভালো লাগলো। লাড্ডু গুলো দেখতে একেবারে খুবই ভালো লাগছে মনে হচ্ছে খেতে অসাধারণ হয়েছে। আর গাছ থেকে পাড়ার সময় পাকা পেঁপের ছবিগুলা অসাধারণ হয়েছে। এই রেসিপিটি আমার কাছে একেবারেই ইউনিক একটা রেসিপি। এর আগে আমি কখনোই পেঁপের লাড্ডু দেখিনি। অনেক ভালো লাগলো এত ইউনিক একটা রেসিপি দেখে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত আপু।হ্যাঁ, এগুলো দারুণ খেতে হয়েছিল, আপনি ও চেষ্টা করে দেখতে পারেন একবার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
অনেক টেস্টি খেতে হয়েছিল। বেশ ভালোই লেগেছিলো। একদম গাছে পাকা পেঁপে তো এই জন্য টেস্ট বেশি। অনেক শুভ কামনা রইলো।
একদম ঠিক বলেছো দাদা।অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
সত্যি আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ। পাকা পেঁপের ফটোগ্রাফি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো আপনার দক্ষতা দেখে আমি মুগ্ধ আপনি। আসলেই প্রকৃত ফটোগ্রাফারের মতো এই ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যদিও আমি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ নই তবুও আপনার কাছে ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লেগেছে জেনে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম ভাইয়া।অনুপ্রেরণা পেলাম অনেক, ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্যের জন্য।
পাকা পেঁপের ফটোগ্রাফির আপনি দারুণভাবে করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। পিকগুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।হালুয়া বরফি ও লাড্ডু রেসিপি আজকে আমি দেখলাম। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ ও প্রতিটি ধাপ খুব দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার রান্নার ধরন অনেক ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আমার ফটোগ্রাফি ও রেসিপিগুলি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই খুশি হলাম ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলছি আপু আপনার পেঁপের হালুয়া টা দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। পাকা পেপে দিয়ে যে এভাবে হালুয়া বানানো যায় আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
ভাইয়া, এইবার জেনে গেলেন বাড়িতে অবশ্যই এভাবে ট্রাই করবেন ।দারুণ মজার হালুয়া খেতে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।