"আত্মতৃপ্তির সন্ধান"
নমস্কার
আত্মতৃপ্তির সন্ধান:
আত্মতৃপ্তি হচ্ছে, আমাদের মনের অপূর্ন ইচ্ছেগুলো পূরণ হওয়াকে বলে।আসলে মানুষ তার কর্ম জীবন নিয়ে খুবই ব্যস্ত।আর ব্যস্তময় জীবন ও বাসগৃহ ছাড়াও মানুষ মন থেকে আত্মতৃপ্তি খুঁজে ফেরে সর্বদা।কিছু কিছু কাজ আমাদের মনকে স্বান্তনা দিয়ে আত্মতৃপ্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।তেমনি বলছি কয়েকদিন আগের কথা।
সেদিন ছিল ভুতচতুর্দশী।অর্থাৎ রাতে ভুতের আনাগনা ছিল, যাইহোক সকালে ঘুম ভেঙে বিছানা ছেড়ে উঠতেই দেখি দুটি ভাতশালিক।উঠান থেকে হাটতে হাটতে একদম বারান্দায় ঢুকে পড়েছে।সেটাও আবার আমাদের পোষ্য বিড়ালের ভাত খাওয়ার জন্য।ভাবলাম পাখিগুলোর খুবই ক্ষুধা পেয়েছে।তাই কিছু মুড়ি ছড়িয়ে দিলাম বাড়ির উঠানে।অমনি তো গপাগপ খাওয়া শুরু পাখিদের।
আসলে প্রত্যেক জীবের মধ্যে ঈর্ষণীয় ভাব রয়েছে।পৃথিবীতে শুধুই মানুষের মধ্যে নয়,এইসব ছোট ছোট প্রাণীকুলের মধ্যেও বিদ্বেষভাব রয়েছে।যেমন ধরুন-প্রথমত দুটি ভাত শালিক মুড়ি খেয়ে নিয়ে দিব্যি বসে আছে সরু বাঁশের উপরে।ঠিক সেই সময় আরো দুটি শালিক দেখা গেল কিন্তু সেগুলো গুয়ে শালিক।শালিক দুটি তো মুড়ি দেখেই টপাটপ খাওয়া শুরু করে দিয়েছে।অমনি ভাত শালিক এসে তো ওই দুটি ভিন্ন জাতের পাখিকে ঠুকাঠুকি করতে লাগলো মুড়ি খেতে দেবে না বলে।মাঝে মাঝেই তাড়িয়ে দূরে দেওয়া সত্ত্বেও পাখিগুলো সুযোগ বুঝেই খেয়ে নিচ্ছে।আসলে ওই মুহূর্তগুলি সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে দেখতে।
প্রত্যেক প্রাণী ও জাতির মধ্যে দলগত পার্থক্য থাকে।আর এই পাখিগুলো খুবই উপকারী হয়ে থাকে।যেমন -সবজিক্ষেতে মেরি পোকাগুলি ধরে ধরে এই পাখিগুলো খেয়ে নিচ্ছিল।এতে ফসল বা ক্ষেতের উপকার হচ্ছিল।মাঝে মাঝেই ছোট্ট প্রাণীর মনের কথাগুলো বুঝতে খুবই ভালো লাগে মন থেকে।প্রাণীকুলের কাছাকাছি যেতে পারলে মনে আলাদা একটা প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি কাজ করে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
বেশ সুন্দর লিখেছেন পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আত্ম তৃপ্তির একটি ব্যাপার আছে। শুধু পাখি নয় আপু নিজের ভাগ কেউ কাউকে দিতে চায় না মুরগিদেরকেও খাবার দিলে একজনের খাবার অন্যজনকে ভাগ দিতে চায়না তাড়িয়ে দেয়। সেই দৃশ্যগুলো আসলেই অনেক ভালো লাগে দেখতে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সবকিছুই আমাদের জন্য মঙ্গল। পাখিগুলো আপনার সবজির খেতের পোকাগুলো ধরে খাচ্ছিল এতে আপনার ফসল ও খেতের উপকার হচ্ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি মুরগিকে খাবার দিয়ে অন্য মুরগি এসে এগুলোকে তাড়িয়ে দেয়। বা হাঁস এসে মুরগিগুলোকে তাড়িয়ে দেয়।
সব সবকিছুর মধ্যে ঈর্শানিয় নিয়ে ভাব আছে। আর সবকিছুই আমাদের কোনো না কোনো উপকারের জন্যই তৈরি। এ পাখিগুলো ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় গুলো খেয়ে ফেলছে এতে আমাদের ফসলগুলো রক্ষাও পাচ্ছে।
সত্যি ই দিদি আত্মতৃপ্তি বলে একটা ব্যাপার আছে।আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রানীর ভাষা বুঝে থাকি।সেই ভাষা বুঝতে পারার মাঝে ও তৃপ্তি আছে।আপনি শালিক পাখির এই কার্যকলাপ দেখছিলেন আর অনুভব করছিলেন।এই পাখিগুলো আমাদের সবজি ক্ষেতের বেশ উপকারেই আসে।এটাই বড় তৃপ্তি বলে আমি ও মনে করি।
পাখিদের খুনসুটি ভালই লাগল। সব প্রাণীর মাঝেই এই স্বভাব টি আছে। আসলে টিকে থাকার তাগিদই সবার মাঝে ঈর্ষার জন্ম দেয়। প্রকৃতিকে কাছে থেকে দেখলে মনে প্রশান্তি আসেই। ধন্যবাদ দিদি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
দারুন লাগলো দিদি আজকে আপনার লেখাটি। আপনি তো দেখছি পাখিদের নিয়ে বেশ ভালোই গবেষণা করেছেন। আসলে আমি মনে করি হিংসা শুধু মানুষের সমাজে নয়, পশু পাখির মধ্যেও বিরাজ করে। ভাত শালিকের নাম তো কখনো শুনিনি দিদি।
আপনার এই ভাত শালিকগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। এরকম ভাত শালিক দুটি দেখলে মনে করতাম যে ভাগ্য ভালো হবে আর একটু দেখলে ভাগ্য খারাপ। যাইহোক আসলে ভাত শালিকগুলো তার খাবারের ভাগ অন্যকে দিতে চাচ্ছিল না। এজন্যই হয়তো তারা মারামারি করছিল। পাখিদের এরকম মারামারি মুহূর্ত ভাবতেই তো ভালো লাগছে। আর আপনি তো সামনাসামনি দেখেছেন। ভালো লাগারই কথা।
আসলেই শুধু মানুষ জাতি নয়,প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে হিংসা বিদ্বেষের মনোভাব রয়েছে। ভাত শালিক গুলো যখন মুড়ি গুলো খেতে দিচ্ছিলো না গুয়ে শালিকদেরকে,তখন দেখতে কতটা চমৎকার লেগেছিল সেটাই ভাবছি। যাইহোক সামনাসামনি চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করেছেন আপু। আসলেই এটা এক ধরনের আত্মতৃপ্তি। এই পাখিগুলো ফসলের ক্ষতিকারক পোকা গুলো খেয়ে বেশ উপকার করে থাকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।