বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।
কলমি ফুলের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি:
কলমি আমাদের অতি পরিচিত একটি শাক।কলমি শাক দুই প্রকারের হয়ে থাকে।একটি জলাশয়ে ও অন্যটি স্থলে চাষ করা হয় বলে চাষের কলমি নামে পরিচিত হয়ে থাকে।যাইহোক আগে কখনো কলমি ফুলের পকোড়া খাওয়া হয় নি।তাই আজ আমি ডাঙা অর্থাৎ স্থলের চাষের কলমি ফুল দিয়ে পকোড়া রেসিপি তৈরি করবো।কারন অনেকদিন ধরেই দেখছি কলমি গাছে সাদা রঙের ফুলে ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে।জলাশয়ের কলমি ফুলগুলি হালকা বেগুনি কালারের হয়ে থাকে।তো প্রতিদিন এইভাবে সাদা রঙের ফুটন্ত ফুল দেখে ভাবলাম,এই ফুল দিয়ে পেঁয়াজুর স্বাদে পকোড়া তৈরি করবো।যেকোনো ধরনের নতুন খাবার তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই প্রথমবারের মতো কলমি ফুলের রেসিপি করলাম।মজার বিষয় হচ্ছে, একটি করে কলমি ফুল বেটারে ডুবিয়ে যখন তেলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল তখন সেগুলো বেলুনের মতো ফুলে উঠছিল। আর এটা তৈরির পর দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
★★উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
কলমি ফুল | 1থালি |
বেসন | 1 কাপ |
কাঁচা মরিচ কুচি | 4 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
রসুন কুচি | 4 কোয়া |
লবণ | 1 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1/2 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া ও পাঁচফোড়ন | 1/2 টেবিল চামচ |
সাদা তেল | 100 গ্রাম |
জল |
★★প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কলমি শাক বাগানে এসে কিছু কলমি ফুল তুলে নিলাম।এরপর ফুলগুলি ভালোভাবে বেছে নিলাম।
ধাপঃ 2
এখন ফুলগুলি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম একটি একটি করে।
ধাপঃ 3
এবারে পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে নেব বটির সাহায্যে এবং সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরণ পরিমাণ মতো নিয়ে নিলুম।
ধাপঃ 5
সবগুলো উপকরণ বেসনের মধ্যে দিয়ে সামান্য জলের সঙ্গে একত্রে হাত দিয়ে মিশিয়ে ঘন বেটার তৈরি করে নিলাম।
ধাপঃ 6
এখন বেসনের বেটারের মধ্যে একটি করে কলমি ফুল দিয়ে দেব।আমি এখানে কলমি ফুল ডাটাসহ তুলে নিয়েছিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর ফুলটি ভালোভাবে বেসনের বেটারের মধ্যে ডুবিয়ে নেব।
ধাপঃ 8
এবারে একটি চুলার মিডিয়াম আঁচে পরিষ্কার একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম।কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে হালকা গরম করে নিলাম।
ধাপঃ 9
এখন বেসনের বেটারের মধ্যে ডুবিয়ে নেওয়া ফুলগুলি গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
ধাপঃ 10
এরপর পকোড়াগুলি নেড়েচেড়ে ভেজে বাদামি রঙের করে ভেজে নেব।
শেষ ধাপঃ
পকোড়াগুলি ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে এখন একটি পাত্রে তুলে নেব।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কলমি ফুলের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম টমেটো সস কিংবা শসা কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
বিষয় | "কলমি ফুলের মুচমুচে পকোড়া" |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি
@green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
Posted using SteemPro Mobile
কলমি ফুলের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ধাপ গুলো ভাল করে দেখলাম।কারণ খুব তাড়াতাড়ি কলমিফুল সংগ্রহ করে রেসিপিটি তৈরি করবো। আমি কখনো কলমি ফুলের কোন আইটেম খাইনি।শাক খেয়েছি। কলমি ফুলের মুচমুচে পকোড়ার ছবি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব মজার হয়েছিল। শুভ কামনা আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু,খুবই মজার খেতে হয়েছিল আর আমিও প্রথম তৈরি করলাম এটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলমি ফুল আমার কাছে বেশ ভাল লাগে। আপনাদের গাছে তো দেখছি অনেক কলমি ফুল ফুটে রয়েছে। সেগুলো দিয়ে খুব সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করছেন। কুমড়ো ফুলের পাকোড়া খেয়েছিলাম তবে কলমি ফুলের পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি দেখলাম। পাকোড়া গুলো দেখতে বেশ মচমচে এবং লোভনীয় লাগছে।
শুধু দেখতে মুচমুচে ও লোভনীয় নয় আপু,খেতেও কিন্তু দারুণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলমি ফুলের দিয়ে এরকম রেসিপি তৈরি করা যায় এটি আমার কখনো জানা ছিল না। আজকে আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটা রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর আপনাদের ছাদে এত কলমি ফুল ফুটে রয়েছে যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। কলমি ফুলের পকোড়া আমি কখনো খাইনি। আর আজকে আপনার কাছ থেকে এই ইউনিক রেসিপিটি দেখে এখান থেকে আমার এটিকে খেতে ইচ্ছে করছে।
ভাইয়া,এগুলো ছাদে হয়নি মাটিতে হয়েছে।ধন্যবাদ, আপনার মতামতের জন্য।
কলমির ফুল দিয়েও যে এভাবে পকোড়া বানানো যায় সেটা আজকেই প্রথম জানতে পারলাম। যেহেতু এটা পকোড়া তাই আশা করা যায় খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগবে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই ইউনিট রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন জেনে গেলেন,অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
দিদি কলমি ফুল দিও যে, এত সুন্দর মচমচে পাকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আপনার আজকের পোস্টটি না দেখলে হয়তো জানতাম না। দিদি আপনার এই ইউনিক রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এখন জেনে গেলেন,সুযোগ পেলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলমি শাক খেয়েছি কিন্তু কখনো কলমি ফুলের এরকম মজাদার পাকোড়া খাওয়া হয়নি।
তাছাড়া প্রথম বারের মতো আপনাকে প্রস্তুত করা দেখলাম।
দেখে কিন্তু বেশ লোভ হচ্ছে তেলেভাজা জিনিস আমার এমনি খুব ফেভারিট।
খেতে খুব মজা হবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
অনেক মজা খেতে ভাইয়া, আমিও এটি প্রথমবারের মতো তৈরি করেছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
জাস্ট ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু অসাধারণ ভাল লাগলো। খেতে কেমন হবে জানিনা কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি খেতে অনেক মজা হয়েছিল। যেহেতু আপনি মুচমুচে করে পাকোড়া তৈরি করলেন কলমি ফুল দিয়ে। দেখতে কালারটি ফুটে উঠেছে। তাছাড়া আপনার তৈরির ধাপ গুলো অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খেতে অনেক মজার আপু,চাইলে আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলমি ফুল দারুণ একটি সুন্দর ফুল কিন্তুু এই ফুলের যে পাকোড়া খাওয়া যায় তা তো জানতাম না।আপনার পোষ্টে যানতে পারলাম এই কলমি ফুলের পাকোড়া বিষয়ে। দারুন হয়েছে এই পাকোড়া গুলো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি মজাদার বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই দিদি,খেতে অনেক মজার।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদি পাকোড়া অনেক খেয়েছি তবে আপনার মতো কখনো কলমি ফুলের পাকোড়া খাওয়া হয়নি। আপনার পাকোড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। একদিন এভাবে পাকোড়া তৈরি করে খেতে হবে দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি পাকোড়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও এটি প্রথম ট্রাই করলাম আপু,অবশ্যই খাবেন।অনেক মজার খেতে,ধন্যবাদ আপনাকে।