"শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।

GridArt_20240311_232208968.jpg

শারদীয়া দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও তার স্মৃতি থেকে গেছে আমাদের ফোনের গ্যালারিতে।যদিও একটি পোষ্টের মাধ্যমে সব চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই আজ চলে আসলাম সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কিছু শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি নিয়ে।[বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গা পূজামন্ডপ থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে।এই কমিটির থিম মূলত **সহজ পাঠ** বা প্রথম সংস্করণের এর আদলে তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবছর এখানে প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের আর্টকে কেন্দ্র করে করা হয়।ভিন্ন ভিন্ন বিষয় দিয়ে কাগজ কিংবা কাপড়ের উপর আর্ট করে সাজানো হয় প্যান্ডেলটি।]আশা করি জলরঙে করা শৈশব চিত্রের ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলি দেখে নেওয়া যাক----

শৈশব স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং ফটোগ্রাফি:

ধাপঃ 1

IMG_20240311_231428.jpg

এই চিত্রটি আমাদের গ্রামে কাটানো শৈশবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।যখন একটি সুপারি পাতার ডাগ কুড়িয়ে পেয়ে আমরা তার খোলের ভিতরে বসে পড়তাম।আর কোনো বন্ধু কিংবা বড় কোনো কেউ সেই পাতার ডগা ধরে টেনে নিয়ে যেত,কি যে মজা লাগতো হয়তো বলে বোঝানো যাবে না লিখে।তাছাড়া সাইকেল চালানো শেখার ঘটনা তো রয়েছেই।

ধাপঃ 2

IMG_20240311_231558.jpg

এই চিত্রে কাশফুলের বাগান পেরিয়ে রেল লাইন।আর সেই পথ ধরেই রেলগাড়ি ধোঁয়া ছেড়ে ছুটে চলেছে নিজ গন্তব্যে।তখন ঠাকুমা তার নাতিকে নিয়ে সেই ধোঁয়া বের হওয়া চলন্ত রেলগাড়ি দেখাচ্ছেন।

ধাপঃ 3

IMG_20240311_232013.jpg

দড়ি লাফ বা দড়ি নাচ ছোটবেলায় কে কে খেলেছেন!এটা আমাদের স্কুল থেকে শুরু করে বাড়িতেও খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল।প্রত্যেক মেয়েরা আমরা ছোটবেলায় দড়ি লাফ খেলতাম।এতে শরীরের ব্যায়ামের দারুণ কাজ হয়।

ধাপঃ 4

IMG_20240311_231643.jpg

এখানে একটি বখাটে ছেলের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।যার মধ্যে মাস্টারমশাই বখাটে ছেলেকেই অংক করতে দিয়েছেন আর বেত হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।অংকের উত্তর দেখে মাস্টারমশাই তো অবাক তেমনি দৃশ্য পেইন্টিং করা হয়েছে।

ধাপঃ 5

IMG_20240311_231716.jpg

এখানে কৈশোর জীবনের একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে।যেখানে একটি বালক ছেলে নৌকার উপর পা দুলিয়ে বসে আছে খালি গায়ে।জলের ঢেউয়ে কাকগুলি সেই নৌকার উপর থাকা প্রত্যেকটি দাঁড় ধরে বসে ছিল।

ধাপঃ 6

IMG_20240311_231513.jpg

সবশেষে এই ছবিটি মনমুগ্ধকর।যেখানে দাদু গল্পের বই পড়ে শোনাচ্ছেন আর বাচ্চারা তা শুনে আনন্দ পাচ্ছে।যেমনটা আমাদেরকে ছোটবেলায় গল্প শোনাতেন আমাদের ঠাকুমা-ঠাকুরদাদারা।


আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি আপনাদের সকলের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসredmi note 10 pro max
ফটোগ্রাফার@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20230822_061108.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 4 months ago 

আপনার তোলা ছবিগুলো নিঃসন্দেহে শৈশব স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেয়। আমরাও ঠিক শৈশবে এই ছবিগুলোর মতোই বিভিন্নভাবে দুষ্টুমি করতাম এবং চমৎকার সময় উপভোগ করতাম। সত্যি বলতে শৈশবের সেই দিনগুলোর সাথে যদি এখন আমাদের জীবন চিন্তা করি তাহলে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। আমরা মানুষকে অনেক বেশি সম্মান করতাম এবং সবার কাছ থেকে অনেক বেশি আদর পেতাম। কিন্তু এখন সময়ের বিবর্তনে সবকিছুই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সাথে আমাদের আনন্দ গুলোও ঠিক কর্পূরের মত মিলিয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ছবিগুলোর মাধ্যমে আমাদের স্মৃতির কাছাকাছি আনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বর্তমানে এর বিন্দুমাত্র নমুনা দেখতে পাওয়া যায় না।সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

শৈশবের স্মৃতি কে কেন্দ্র করে কাগজ এবং কাপড়ের করা পেইন্টিং গুলো একথায় অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।খুব সুন্দর পেইন্টিং মনে হচ্ছে অনেকটা বাস্তব।অনেক ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

হ্যাঁ আপু,বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এখানে।ধন্যবাদ আপনাকে ও।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

একদম শৈশব ঘুরে আসলাম আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে।যারা গ্রামে শৈশব পার করেছে তারা এই সুপারির খোলে বসেনি এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না।সাইকেল চালানোর বিষয় টা তো আছেই। কেনজানি আগে রেললাইনের ধারেই কাশবন থাকতো আর সত্যি ট্রেন চলতো ধোঁয়া ছেড়ে। এভাবে দড়ি খেলতে ভীষন ভালো লাগতো।বখাটে ছেলেকে মাষ্টার মশাইয়ের অংক শেখানো নৌকায় বসে থাকা ও দড়িতে বসে কাক গুলো বেশ ভালো লাগছে দৃশ্য টি।সর্বশেষ ছবিটি সত্যি মনোমুগ্ধকর এরকম স্মৃতি কম বেশি সবার আছে।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু শৈশবের স্মৃতির অংকন করে শেয়ার করে আমাদের শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

 4 months ago 

ঠিক বলেছেন দিদি, সব স্মৃতি-ই গ্রামের দিকের।আর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"আপনি আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।আমাদের ছোটো বেলায় অনেক ঘুরেছি এরকম সুপারির বাকলে করে।আর সাইকেল চালানো ছিল একটি আনন্দ কর বিষয়।বখাটে ছেলেদের লেখাপড়া সেখান আসলেই অনেক বেশি দুষ্কর। কাশফুল আমাদের অনেক বেশি প্রিয় আর সেটা ছোট বেলায় অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।সর্বশেষ গল্প সোনার দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।দাদু দের থেকে এরকম অনেক গল্প শুনেছি আমি।আপনর আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ।

 4 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

দিদি আপনার পোষ্টে এর আগেও এমন বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গা পূজামন্ডপ থেকে বিভিন্ন আর্ট চিত্র দেখেছি ৷ তবে আজকের করা চিত্র ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ৷ তবে শেষ ছবিটি আমাকে অনেকটা অনুপ্রাণিত করেছে ৷ দাদু পড়া শুনে শুনাচ্ছে ৷

 4 months ago 

হ্যাঁ দাদা,প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে।ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে বেশ দারুণ কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু অসাধারণ কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আপনার সাবলীল মতামত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে এই পেইন্টিং গুলো করা হয়েছে। প্রতিটি পেইন্টিং খুব নিখুঁতভাবে করা হয়েছে এবং সবগুলোই গভীর অর্থবহন করে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আসলেই পেইটিংগুলি খুবই অর্থপূর্ণ, ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67160.08
ETH 3517.35
USDT 1.00
SBD 2.70