"শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
শৈশব স্মৃতিকে কেন্দ্র করে কিছু পেইন্টিং ফটোগ্রাফি:
ধাপঃ 1
এই চিত্রটি আমাদের গ্রামে কাটানো শৈশবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।যখন একটি সুপারি পাতার ডাগ কুড়িয়ে পেয়ে আমরা তার খোলের ভিতরে বসে পড়তাম।আর কোনো বন্ধু কিংবা বড় কোনো কেউ সেই পাতার ডগা ধরে টেনে নিয়ে যেত,কি যে মজা লাগতো হয়তো বলে বোঝানো যাবে না লিখে।তাছাড়া সাইকেল চালানো শেখার ঘটনা তো রয়েছেই।
ধাপঃ 2
এই চিত্রে কাশফুলের বাগান পেরিয়ে রেল লাইন।আর সেই পথ ধরেই রেলগাড়ি ধোঁয়া ছেড়ে ছুটে চলেছে নিজ গন্তব্যে।তখন ঠাকুমা তার নাতিকে নিয়ে সেই ধোঁয়া বের হওয়া চলন্ত রেলগাড়ি দেখাচ্ছেন।
ধাপঃ 3
দড়ি লাফ বা দড়ি নাচ ছোটবেলায় কে কে খেলেছেন!এটা আমাদের স্কুল থেকে শুরু করে বাড়িতেও খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল।প্রত্যেক মেয়েরা আমরা ছোটবেলায় দড়ি লাফ খেলতাম।এতে শরীরের ব্যায়ামের দারুণ কাজ হয়।
ধাপঃ 4
এখানে একটি বখাটে ছেলের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।যার মধ্যে মাস্টারমশাই বখাটে ছেলেকেই অংক করতে দিয়েছেন আর বেত হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।অংকের উত্তর দেখে মাস্টারমশাই তো অবাক তেমনি দৃশ্য পেইন্টিং করা হয়েছে।
ধাপঃ 5
এখানে কৈশোর জীবনের একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে।যেখানে একটি বালক ছেলে নৌকার উপর পা দুলিয়ে বসে আছে খালি গায়ে।জলের ঢেউয়ে কাকগুলি সেই নৌকার উপর থাকা প্রত্যেকটি দাঁড় ধরে বসে ছিল।
ধাপঃ 6
সবশেষে এই ছবিটি মনমুগ্ধকর।যেখানে দাদু গল্পের বই পড়ে শোনাচ্ছেন আর বাচ্চারা তা শুনে আনন্দ পাচ্ছে।যেমনটা আমাদেরকে ছোটবেলায় গল্প শোনাতেন আমাদের ঠাকুমা-ঠাকুরদাদারা।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
আপনার তোলা ছবিগুলো নিঃসন্দেহে শৈশব স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেয়। আমরাও ঠিক শৈশবে এই ছবিগুলোর মতোই বিভিন্নভাবে দুষ্টুমি করতাম এবং চমৎকার সময় উপভোগ করতাম। সত্যি বলতে শৈশবের সেই দিনগুলোর সাথে যদি এখন আমাদের জীবন চিন্তা করি তাহলে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। আমরা মানুষকে অনেক বেশি সম্মান করতাম এবং সবার কাছ থেকে অনেক বেশি আদর পেতাম। কিন্তু এখন সময়ের বিবর্তনে সবকিছুই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সাথে আমাদের আনন্দ গুলোও ঠিক কর্পূরের মত মিলিয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ছবিগুলোর মাধ্যমে আমাদের স্মৃতির কাছাকাছি আনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বর্তমানে এর বিন্দুমাত্র নমুনা দেখতে পাওয়া যায় না।সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শৈশবের স্মৃতি কে কেন্দ্র করে কাগজ এবং কাপড়ের করা পেইন্টিং গুলো একথায় অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।খুব সুন্দর পেইন্টিং মনে হচ্ছে অনেকটা বাস্তব।অনেক ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এখানে।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
একদম শৈশব ঘুরে আসলাম আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে।যারা গ্রামে শৈশব পার করেছে তারা এই সুপারির খোলে বসেনি এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না।সাইকেল চালানোর বিষয় টা তো আছেই। কেনজানি আগে রেললাইনের ধারেই কাশবন থাকতো আর সত্যি ট্রেন চলতো ধোঁয়া ছেড়ে। এভাবে দড়ি খেলতে ভীষন ভালো লাগতো।বখাটে ছেলেকে মাষ্টার মশাইয়ের অংক শেখানো নৌকায় বসে থাকা ও দড়িতে বসে কাক গুলো বেশ ভালো লাগছে দৃশ্য টি।সর্বশেষ ছবিটি সত্যি মনোমুগ্ধকর এরকম স্মৃতি কম বেশি সবার আছে।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু শৈশবের স্মৃতির অংকন করে শেয়ার করে আমাদের শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি, সব স্মৃতি-ই গ্রামের দিকের।আর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"আপনি আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।আমাদের ছোটো বেলায় অনেক ঘুরেছি এরকম সুপারির বাকলে করে।আর সাইকেল চালানো ছিল একটি আনন্দ কর বিষয়।বখাটে ছেলেদের লেখাপড়া সেখান আসলেই অনেক বেশি দুষ্কর। কাশফুল আমাদের অনেক বেশি প্রিয় আর সেটা ছোট বেলায় অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।সর্বশেষ গল্প সোনার দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।দাদু দের থেকে এরকম অনেক গল্প শুনেছি আমি।আপনর আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনার পোষ্টে এর আগেও এমন বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গা পূজামন্ডপ থেকে বিভিন্ন আর্ট চিত্র দেখেছি ৷ তবে আজকের করা চিত্র ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ৷ তবে শেষ ছবিটি আমাকে অনেকটা অনুপ্রাণিত করেছে ৷ দাদু পড়া শুনে শুনাচ্ছে ৷
হ্যাঁ দাদা,প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে।ধন্যবাদ দাদা।
শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে বেশ দারুণ কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু অসাধারণ কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সাবলীল মতামত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে এই পেইন্টিং গুলো করা হয়েছে। প্রতিটি পেইন্টিং খুব নিখুঁতভাবে করা হয়েছে এবং সবগুলোই গভীর অর্থবহন করে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই পেইটিংগুলি খুবই অর্থপূর্ণ, ধন্যবাদ আপু।