এক্সাম শেষ,যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলুম!
নমস্কার
কি বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
এক্সাম শেষ,যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলুম!
আসলে কয়েকদিন এক্সামের ব্যস্ততার জন্য কিছুই ঠিকমতো হয়ে ওঠেনি।একটি সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সাম বলে কথা!তার উপরে কোনো ছুটি নেই,টানা এক্সামের দরুন হাফ ছেড়ে বাঁচায় মুশকিল।এক্সাম আসলে যতটা না ভয় হয় তার থেকে বেশি টেনশন হয়।অনেক কষ্টে পোষ্টগুলি সামলে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি কিছুটা চ্যাটিং এর মাধ্যমে।যাইহোক এক্সাম শেষ,তাই মাথা থেকে যেন চিন্তার বোঝা নামলো।
শুরু হলেই শেষের গল্প,মাঝে যেন থামার অবকাশটুকু নেই।স্টুডেন্ট লাইফে এর থেকে বড় চিন্তার আর কি হতে পারে।পাঠ্যসূচির গন্ডিতে আবদ্ধ এই এক্সামের জন্য কতই না চিন্তার হুলস্থুল লেগে যায় মনে।অথচ দেখুন প্রতিনিয়ত আমরা কত সমস্যার মোকাবেলা করি,কতই না বাঁধার সম্মুখীন হই আর কত বিপত্তির মুখোমুখি লড়াই করি।সেটা কি কম পরীক্ষার? পাঠ্যসূচীর মধ্যে বাঁধাধরা বিষয় পড়ে এক্সামের জন্য আমাদের চিন্তার একুল-ওকুল থাকে না।কিন্তু জীবনের পথে কত পরীক্ষা দিই প্রতিনিয়ত সেটা নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা থাকে না।আমরা মানুষরা বড়ই অদ্ভুত তাইনা!যাইহোক আমার এক্সাম শেষ হয়েছে এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়।
বিবেকানন্দ কলেজে এক্সাম দিয়ে বের হয়ে গেটের পাশে বাক্স বাদাম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে তাই বান্ধবীরা মিলে ছবি তুলে রাখলাম স্মৃতি হিসেবে।যদিও এতে তিনজন আমাদের হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর নয়,একই কলেজের তাই আমার চেনা কিছুটা টোটো সঙ্গীর মতোই।টোটো সঙ্গী বললাম এই জন্য,যে পথ চলতে চলতেই পরিচয় অন্য বান্ধবীদের মাধ্যমে।দেখুন, লম্বা মানুষ হলে কত্ত সমস্যা।পিছনে থেকে উকি মেরে ছবি তুলতে হয়,সব লম্বা মানুষের জন্য হয়তো এটাই প্রযোজ্য।আমি কিন্তু হলুদ রঙের পিকাচু সোয়েটার পরে, হি হি।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
আপনি তো তাও আপু পরীক্ষার মধ্যে নিজের একটিভিটি ধরে রাখতে পেরেছেন।আমি পরীক্ষা আসলে আর কিছুই পারিনা।পড়ি আর না পড়ি অন্য কাজ করতে গেলেই মনে হয় পরীক্ষার পড়া হবেনা ঠিকমতো।তাই আমার সব কাজ বন্ধ থাকে।ঠিকই বলেছেন ভয় এর থেকে টেনশন বেশি হয় পরীক্ষার সময়।যাক অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু,পরীক্ষার সময় আমি কাজ ঠিক করতে পারি কিন্তু পরীক্ষার পর যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ি।কিছুটা উল্টো রকমের, ধন্যবাদ আপু।
পরীক্ষা শেষ হলে আমরা নানার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। অথবা পুকুরপাড়ে শাকসবজি চাষে নিয়োজিত হয়ে পড়তাম। বেশি ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পরীক্ষা শেষের দারুন অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করতে দেখে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন পরীক্ষার এই সময়ের অনুভূতি। কিছুটা সময়ের জন্য আমাদের সেই দিনগুলো খুঁজে পেলাম।
ভাইয়া, ছোটবেলায় আমিও তাই করতাম।এক্সাম শেষ হলেই মামা বাড়ি যাওয়ার জন্য আবদার করতাম।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু পরীক্ষার জন্য তো চিন্তা হয় তাছাড়া আরও টেনশন বেড়ে যায়। আর পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সত্যিই খুবই ভালো লাগে। যেমনটা আপনারও খুব ভালো লাগছে। এটা ঠিক বলেছেন আপু পরীক্ষা চলাকালীন কোন কিছুই ঠিকমতো করা হয়। আপনার পরীক্ষা শেষ হয়েছে জেনে খুশি হলাম এবং আপনার মনের বাসনা যেন পূর্ণ হয় সেই আশায় করি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই দিদি এক্সাম শেষ করা মানেই হাফ ছেড়ে বাঁচাএক্সাম চলাকালীন সময় যে মাথার ভিতর কতটা প্রেসার থাকে সেটা যার এক্সাম চলে সেই একমাত্র বোঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলে যখন সেমিস্টার ফাইনাল থাকে তখন কোন কাজেই ঠিক মতো হয়ে ওঠে না, পড়াশোনার একটা চাপ থাকে। এটা শুনে ভালো লাগলো এক্সাম শেষ হয়েছে খানিকটা চিন্তা মুক্ত হয়ে গেলেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা বাস্তব জীবনে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই এবং সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি, এগুলো কিন্তু প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষভাবেই হোক এক ধরনের পরীক্ষা। তবে সাধারণত স্কুল কলেজের পরীক্ষা থাকলে মাথার ভেতর একটা মানসিক চাপ থাকে। এজন্য কোন কাজই ঠিক করে করা হয়ে ওঠে না। তবে শেষ পর্যন্ত তোমার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল, এখন তো রিলাক্সে কাজ করতে পারবে বোন। আসলে আমাদেরও যখন পরীক্ষা থাকত তখন মাথার ভিতর অন্য কোন চিন্তা ঢুকাতে পারতাম না। সবসময় একটা ভয় কাজ করতো, কিভাবে পরীক্ষা ভালো করে পার করা যায়।
সত্যিই দাদা, এক্সাম মানে ভয়াবহ চাপের।পরীক্ষার সময় আমি কাজ ঠিক করতে পারি কিন্তু পরীক্ষার পর যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ি কয়েকদিনের জন্যই।কিছুটা উল্টো রকমের ☺️☺️, ধন্যবাদ দাদা।
কিছু দিন একটু রেস্ট নিয়ে নাও বোন তাহলে আস্তে আস্তে ভালো লাগবে।
পরীক্ষার চিন্তাটা যার থাকে শুধু সেই বুঝে কতটা টেনশন হয় মাথায়। যেদিন পরীক্ষা শেষ হয় সেদিন যে মনের ভিতরে কতটা আনন্দ হয়। কারণ এই দিনটা আমাদেরও ছিল সেজন্যই বুঝতে পারছি। এখন রিলাক্সে সবকাজ করতে পারবেন একটা টেনশন চলে গেল। খুব সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার অনুভূতি জেনেও ভালো লাগলো আপু,ধন্যবাদ আপনাকে ও।