বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।
পেঁয়াজুর স্বাদে মুচমুচে চিচিঙ্গার পকোড়া রেসিপি:
চিচিঙ্গা আমাদের অতি পরিচিত একটি সবজি।চিচিঙ্গা এক জায়গায় একেক নামে পরিচিত।গ্রামে একে আমরা কুশি বলতাম আবার বর্ধমানের স্থানীয় বাসিন্দারা একে হুঁকা নামে ডেকে থাকেন।কেমন অদ্ভুত একটা নাম,যাইহোক আগে কখনো চিচিঙ্গার পকোড়া খাওয়া হয় নি।তাই ভাবলাম চিচিঙ্গা দিয়ে পেঁয়াজুর স্বাদে পকোড়া তৈরি করবো।যেকোনো ধরনের নতুন খাবার তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আর এই রেসিপিটি তৈরি করার জন্য জলের প্রয়োজন হয় না কারন চিচিঙ্গা থেকে জল এমনিতেই বের হয়।যারা চিচিঙ্গা খেতে পছন্দ করেন না তারা এভাবে বড়া বা পকোড়া তৈরি করে খেতে পারেন।এটা তৈরির পর দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই টেস্টি ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
★★উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
চিচিঙ্গা | 1 টি |
বেসন | 5 টেবিল চামচ |
কাঁচা মরিচ | 4 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
লবণ | 1/2 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1/3 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
গোটা জিরা ও পাঁচফোড়ন | 1/2 টেবিল চামচ |
সাদা তেল | 100 গ্রাম |
★★প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি চিচিঙ্গা, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
তারপর চিচিঙ্গার খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিলাম।একই সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ ধুয়ে কুচি করে কেটে নিলাম বটির সাহায্যে।
ধাপঃ 3
এখন একটি গ্রেটারের সাহায্যে চিচিঙ্গাটি গ্রেট করে নিলাম।
ধাপঃ 4
তো আমার গ্রেট করে নেওয়া হয়ে গেল চিচিঙ্গাটি।
ধাপঃ 5
এখন চিচিঙ্গার মধ্যে বেসন,কাঁচা মরিচ,পেঁয়াজ কুচি ও সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরণ দিয়ে মিশিয়ে নিলাম ভালোভাবে।
ধাপঃ 6
10 মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিলাম চিচিঙ্গা মাখাটি।এরপর যে জল বের হবে চিচিঙ্গা মাখা দিয়ে তা ফেলে দিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াই মিডিয়াম আঁচে চুলায় বসিয়ে দিলাম।কড়াইতে তেল দিয়ে হালকা গরম করে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর অল্প অল্প করে চিচিঙ্গা মাখা নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
এখন পকোড়াগুলি নেড়েচেড়ে বাদামী রঙের করে ভেজে নিলাম।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "পেঁয়াজুর স্বাদে মুচমুচে চিচিঙ্গার পকোড়া রেসিপি"।আমি এখানে শসা কুচি ও টমেটো সস মিক্সড করে প্লেটে সাজিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম টমেটো সস ও শসা কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি
@green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
Posted using SteemPro Mobile
আপনি অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে কয়েকটা পাকোড়া তুলে নিয়ে খেয়ে নিতে। এভাবে আগে কখনো পাকোড়া তৈরি করা হয়নি। আমি তো ভাবছি কখনো পারলে এই পাকোড়া তৈরি করে দেখব।
অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু,দারুণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
চিচিঙ্গা খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে না। তবে মাঝে মাঝে মাছের ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি খেতে দারুণ লাগে। তবে এভাবে কখনো চিচিঙ্গার পকোড়া খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। দিদি আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ,আমারও চিচিঙ্গা তেমন পছন্দ নই।তাই ভিন্নরকম ভাবে তৈরি করে খাই, খুবই মজার লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
চিচিঙ্গা এর পাকোড়ার কখন খাওয়া হয়নি, এমন কি কখনও চিচিঙ্গা এর পাকোড়ার কথা শুনিনি।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে,এমনেতেই চিচিঙ্গা সবজিটা আমার বেশ পছন্দের বিশেষ করে ভাজি করলে,প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আমি নিজ মন থেকেই এই রেসিপিটি তৈরি করলাম।চিচিঙ্গা সবজিটা আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
কুশি এবং হুঁকা দুটি নামই অদ্ভুত। এর থেকে চিচিংগা নামই ভালো। চিচিঙ্গার পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। চিচিঙ্গা আমার কাছে এমনিতে বেশি ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার পাকোড়াটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। যেভাবে পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলেই চিচিঙ্গা নামটি ভালো।অবশ্যই বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু,দারুণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি তো একদম ইউনিক একটি রেসিপি। এরকম রেসিপি সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ এরকম একটি রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব৷
অবশ্যই চেষ্টা করবেন তৈরি করার ভাইয়া, ভীষণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু চিচিঙ্গা দিয়ে যে পাকোড়া তৈরি করা যায় এই আইডিয়া কিন্তু আমার জানা ছিল না। তাই আপনার পোস্টে একদম নতুন ও ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। রন্ধন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যার কারণে, আমরা সকলেই এই রেসিপি তৈরি করে খেতে পারব। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।
চেষ্টা করলাম ইউনিক কিছু করার জন্য ভাইয়া।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
এ ধরনের পকোড়া খেতে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু চিচিঙ্গার পকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। আশা করি এই পকোড়া খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক লোভনীয় লাগছে পকোড়া গুলো দেখতে। চিচিঙ্গার পকোড়া গুলো তৈরি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এখন যে কেউ এটা তৈরি করতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এটি।খুব সহজেই আপনি এটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বেশ চমৎকার একটি রেসিপি, আপনি তৈরি করেছেন। আমরা পিঁয়াজ দিয়ে বড়া ভেজে খেয়েছি কিন্তু চিচিঙ্গা দিয়ে এত সুন্দর করে বড় ভাজা যায় এটা কিন্তু আমার জানা ছিল না। তবে চিঙ্গি দিয়ে পড়া ভেজে খেতে যাবে সুস্বাদু হয়েছে তা বুঝতে পারছি। মানিক চমৎকারভাবে আপনি এটি তৈরি করেছিলেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, আপনার মন্তব্যে অনেক খাপছাড়া শব্দের ব্যবহার হয়েছে।আশা করি পরবর্তীতে পড়ে মন্তব্য করবেন।ধন্যবাদ
আমাদের চারপাশে এমন কিছু উপকরণ আছে। আসলে খেতে চাইলে অনেক কিছু দিয়ে অনেক ধরনের কিছু তৈরি করে খাওয়া যায়। আমি তো প্রথমে মনে করেছিলাম আপনি পেঁয়াজু তৈরি করলেন। কিন্তু আপনি চিচিঙ্গার বেশ মজার করে পাকোড়া বানালেন। এই ধরনের পাকোড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার তো যে কোন ধরনের সবজি পাকোড়া খুব মজার লাগে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু, পেঁয়াজুর মতো সেপ দিয়েই তৈরি করেছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা পাকোড়া তৈরি করার পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। এর আগে আমি অনেকগুলো সবজি দিয়ে তৈরি করা পাকোড়া খেয়েছি কিন্তু কোন সময় চিচিঙ্গা এর পাকোড়া খাওয়া হয়নি।। যেহেতু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এটা শিখে গেলাম তাই একবার বানিয়ে খাবো অবশ্যই।
অবশ্যই তৈরি করে খাবেন ভাইয়া, দারুণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকেও।