"টাইম-কলের নতুন নিয়ম"
নমস্কার
টাইম-কলের নতুন নিয়ম:
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সঙ্গে একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম,যার মাধ্যমে টাইম-কল কি এবং টাইম-কল বসানোর প্রস্তুতি সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলাম ছবিসহ।তো টাইম-কল সরকারিভাবে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি বসিয়ে দেওয়া অব্দি বিষয়টি থেমে থাকেনি।বরং টাইম-কলটি যেহেতু সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে তাই বহুবার সেটা তদারকি করার জন্য বিভিন্ন মানুষ এসেছে আমাদের বাড়িতে।
ধরুন, দুইজন মানুষ এসে টাইম-কলে কেমন জল পড়ছে সেই বিষয়ের উপর কলের ছবি তুলে নেওয়া, তো আধার কার্ড এর মাধ্যমে অনলাইনে সেটাকে স্ক্যান করা।আবার কিছু অফিসাররা জলের অপচয় হচ্ছে কিনা,জলের গতি কেমন তার ছবি ফোনে তুলে নেওয়া, কত সময় জল পাই আমরা সেটা নিয়ে কথোপকথন করা।এভাবে নানা সময়ে নানা মানুষ খোঁজ নেন যাতে জলের অপচয় না হয়।এটা শুধুমাত্র আমাদের ক্ষেত্রে নয়,প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই।
যাইহোক পরশুদিন হঠাৎ করেই দুইজন লোক আসলো ভ্যান নিয়ে।ভ্যানের উপর বস্তায় কি যেন রাখা রয়েছে।লোক দুইজন এসে আমাদের বাড়ির সামনে ভ্যান থামলো।তারপর ভ্যান থেকে একজন লোক নীচে নেমে করুই হাতে নিল।তারপর করুইটি কালো খোয়া ও বালি ভরে অন্যহাতে কর্নিক নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসলো।প্রথমে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারছিলাম না।তারপর জিজ্ঞাসা করতেই লোকটি বলল যে,সরকারিভাবে সব বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাইম-কলের নিচটা পাকা করে দেওয়া হচ্ছে।তারপর লোকটি আমাদের টাইমকলের নিচ থেকে ইট সরিয়ে খোয়া ও বালি জল দিয়ে ভিজিয়ে মেখে দিয়ে দিল।
মূলত টাইম-কলের নীচের অংশ যাতে কোনোভাবেই নড়ে না যায় তার জন্য এই ব্যবস্থা বুঝলাম।কিন্তু লোকটি কোনোভাবে কাজটি সম্পন্ন করার পরই দ্বিতীয় লোকটি বাড়ি ঢুকলো।তারপর আমাদের টাইম-কলের নিচের একটা ছবি ফোনে ধারণ করে নিল।মনে হয় প্রত্যেক বাড়ি তারা এই কাজটি করছে তারই প্রমাণস্বরূপ।
যাইহোক সেদিন আমরা টাইমকলের নীচে একটুও জল ফেললাম না ।যাতে করে খোয়া-বালি ভালোভাবে সেট হয়ে যায়।কিন্তু এই লোকগুলো তাদের কাজগুলো করছে ঠিকই কিন্তু সেটা কতটা স্থায়ী হবে সেটার কোনো মাথাব্যথা তাদের ছিল না।কারন পরের দিনই দেখা যাচ্ছে টাইমকলের নিচ থেকে বালিগুলি সরে যাচ্ছে একটু জল পেয়েই।এতে বোঝা গেল সেট হওয়ার আসল উপাদান সিমেন্ট এরা ইউজ করেইনি।যদিও সিমেন্টের বেশ দাম এখন,আর কি করার! আমরাই দিয়ে নেব সিমেন্ট যাতে ভালোভাবে সেট হয়ে যায় টাইম-কলের নিচের অংশ।
টাইম-কলের এই নতুন সরকারি উদ্যোগটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।তবে এটা আমি শহরে থাকাকালীন সময়ে দেখিনি।যদিও গ্রামে কিছু মানুষ সেই টাকার অপব্যবহার করে কাজে ফাঁকি দিচ্ছে।যাইহোক আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য এটাই ভালো।তো আজ এই পর্যন্তই।পরের দিন আবারো হাজির হবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের পোষ্টটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
টুইটার লিংক
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু টাইম কল অনেক বাড়িতে হয়েছে বর্তমান। আর উনারা মাঝে মাঝে এসে ফটোগ্রাফি করে নিয়ে যায় প্রামাণস্বরুপ। আর সিমেন্টের দাম যায়হোক উনাদের কাজ এমনি আপু সব জায়গায় থেকে কিছু খেতে হবে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু👍,ধন্যবাদ আপনাকে।
সরকারি কাজ মানেই সরকারি কর্মকর্তাদের অবহেলা। আসলে কলের গোড়ার ইট বালু সিমেন্ট খুলে পড়ে যাবে কিনা এটা দেখার মত কেউ নেই। শুধু তারা ক্ষণিকের জন্য সব কাজ করে যাচ্ছে এবং ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতেই তাদের দায়িত্ব শেষ। কিন্তু সব কাজ স্থায়ী হবে কিনা সেটা বুঝতে পারা সত্যিই অনেক কঠিন।
সরকারি কাজগুলি সরকারি ভাবেই বেগার দিয়ে করা হয় এটা বোঝা গেল,ঠিকই বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের ওখানে টাইম কল বেশ পরিচিত একটি শব্দ।এবং বেশ ভালো একটা উদ্যোগ। বাংলাদেশে গ্রামে সবাই যার যার মতো টিউবওয়েল ও পাম্প বসিয়ে নিচ্ছে। এর ফলে পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। আর সরকারী কাজ দেখি সব জায়গায় একই রকম। তারা যেন কাজ করে যেতে পারলেই বাঁচে। সে কাজের স্থায়িত্ব কতদিনের সে খেয়াল নেই।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের বাড়িতেও টিউবওয়েল আছে আপু।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত উপস্থাপন করার জন্য।
সরকারি কাজগুলোতে এত অবহেলা থাকে বলে তাদের কোনো কাজ আমার কাছে ভালো লাগে না। অফিস আদালত থেকে হাসপাতাল পর্যন্তেও একই অবস্থা। যাই হোক তারা ঠিক মতো করুক বা নাই করুক উদ্যোগ নিয়েছে এটাই যথেষ্ট। দিদি কি আর করবেন আপনারাই সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে নিয়েন।
হ্যাঁ আপু,আমরাও সেটাই চিন্তা করেছি নিজেরা সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করার।ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
এই কল সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া ছিল না, আজকের পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটা জিনিস শিখতে পারলাম, নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। আমাদের এখানে এরকম কল আছে কিনা আমার ধারণা নেই।
ভাইয়া, আমার এই কল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ধারণা পিছনের একটি পোষ্টে দেওয়া আছে।আপনি চাইলে সেটা পড়ে আরো জানতে পারবেন।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকেও।
বাহ বেশ ভালো ব্যাপার তো টাইম কল সেট করে দিয়ে আবার সেটা মাঝে মাঝে তদারকি করা ।সত্যিই বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা ।আমাদের এখানেও টাইম কল আছে কিন্তু এখানে কেউ তাদের তদারকি করতে আসে না। যার যেমন ইচ্ছা পানি সারাক্ষণ ছেড়ে রেখে দেয়। যত সময় পানি থাকে ততক্ষণই পারলে ছেড়ে রাখে। আর পাকা করার ব্যাপারটা তো একদমই নেই ।আপনাদের ওদিকে ফাঁকিবাজি করে পাকা করার কাজটি করলেও সরকার তো উদ্যোগ নিয়েছে এটাই বড় কথা। দুর্নীতি মানুষের মধ্যে থাকবে এটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছে ।যাইহোক ভালো ছিল ধন্যবাদ।
আপু, পাকা করার ব্যাপারে এই নিয়মটি যখন আমরা শহরে ছিলাম তখন সেখানে দেখিনি ।কিন্তু গ্রামে নতুন টাইম কল দেওয়ার পর বিষয়টি দেখে আমিও অবাক হলাম, ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
টাইম কলের নতুন নিয়মটা আসলে আমার একদমই জানা নেই। কারণ শহর এলাকায় এরকম হয় কিনা আমি জানিনা। তবে তারা এসে যে তোমাদের টাইম কলের নিচটা পাকা করে দিয়ে গেল কিন্তু এটা যে কতদিন টিকবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ সরকারি কাজ খুব বেশি একটা সুবিধাজনক হয় না। ওর থেকে নিজে করে নিলেই আরো ভালো।
সরকারি কাজের সঙ্গে নিজেদের কাজের ব্যাপক পার্থক্য দাদা।তাই নিজেকেই করে নিতে হবে।যাইহোক শহরে আমারও চোখে পড়েনি কখনো এই কাজগুলো।ধন্যবাদ তোমাকে।