"রাতের মিশন"
নমস্কার
রাতের মিশন:
কি বন্ধুরা, পোষ্টের টাইটেল পড়েই অবাক হচ্ছেন!আসলেই মেঘলা আকাশ তার উপরে আবার কখনো সখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।যদিও দুইদিন ধরে আবহাওয়ার তেমন ঠিক নেই ।আর এমন আবহাওয়াতে পোকাদের আনন্দের সীমা থাকে না।কারন মেঘলা দিনে পোকার আক্রমণ অনেক বেড়ে যায়।তাই আজ রাতেই আমরা মিশন শুরু করলাম।রাতে পোকা ধরার মিশন যাকে বলে একেবারে।
এখন পোকাগুলি এমন শক্তিশালী যে বিষ দিলেও কাজ হয় না ঠিকঠাক।এমনিতেই চাষীরা সবজি ক্ষেতে অতিরিক্ত বিষ ব্যবহার করে থাকেন।কিন্তু যেহেতু এই সবজি আমরা খাওয়ার জন্য ব্যবহার করবো তাই খুব বেশি বিষ দিই না।চেষ্টা করছি বিষবিহীন পোকার আক্রমণ কমানোর জন্য।কেমিক্যালগুলি খুবই ক্ষতিকর স্বাস্থ্যের জন্য।
প্রথমেই আমরা প্রত্যেকে একটি করে টর্চ বা ফোনের লাইট নিয়ে নিলাম এবং সঙ্গে একটি বালতি ও তাতে কিছুটা জল নিয়ে নিলাম।বন্ধুরা, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পোকাগুলি কিভাবে সবজির চারার পাতাগুলি ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলছে।এই পোকাগুলি খুবই ক্ষতিকর হয়ে থাকে, এগুলিকে আমরা মেরি পোকা বলে থাকি।
আমরা রাতে সবাই প্রত্যেকটা সবজির চারা একটি একটি করে চেক করে পোকাগুলি ধরে বালতির মধ্যে দিয়ে দিলাম।তারপর শাকের ক্ষেতে পোকাগুলি বেছে ফেললাম, এভাবে মোট 300 থেকে 350 এর মতো পোকা আমরা ধরলাম।দিনের বেলা পোকাগুলি মাটির নিচে লুকিয়ে থাকলেও রাতে ঠিক বের হয়ে সবজি ক্ষেতের ক্ষতিসাধন করে।
প্রত্যেকটি গাছে দুই থেকে তিনটি করে মেরি পোকা রয়েছে।এগুলো ধরে আমরা একত্রে মেরে ফেলেছি পরে।অনেকসময় বিষের দিলে তার প্রভাবে উপস্থিত পোকাগুলি মারা যায় কিংবা গন্ধে মাটির নিচে লুকিয়ে পড়ে ।তাই পোকাগুলির তেমন ক্ষতি হয় না,এইজন্য এভাবে পোকাগুলি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।তো রাতের মিশন চলবে এভাবে টানা আরো কয়েকদিন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
ভালো লাগলো আপু নিজেদের খাওয়ার জন্য নিজেরাই সবজি চাষ করেছেন ঠিকই বলেছেন এরকম সবজিগুলোকে পোকার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিষাক্ত বিষ ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। রাতে পোকার মিশনে বের হয়ে বেশ অনেকগুলো পোকা ধরতে পেরেছেন। এভাবে কি আর প্রতিদিন পাহারা দিয়ে পোকার সাথে পেরে ওঠা যাবে?
আপু পেরে তো ওঠা যাবে না, তবে এভাবে করে কিছুটা পোকা কমিয়ে তারপর বিষের স্প্রে করা হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমরা যে সমস্ত শাকসবজি গুলো ফেলানোর চেষ্টা করি তার পিছনে অনেক শত্রুতা। যেমন এ জাতীয় পোকামাকড়ের আক্রমণের শেষ নেই। কিন্তু বন জঙ্গলে অনেক গাছপালা হয়ে থাকে যেগুলো কোন পরিচর্যা করার লোক নেই। এমনিতেই কত হয়ে থাকে, সবজির মধ্যেও আগাছা স্বরূপ সেগুলো ঝামেলা সৃষ্টি করে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অযত্নে বেড়ে ওঠা গাছগুলো পোকায় খায় না অথচ আমাদের যত্নের লাগানো গাছগুলোতে পোকার আক্রমণ বেশি থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি গাছে দেখছি অনেক পোকা হয়ে গেছে ! গাছে বিষ দেওয়ার পরেও এত পোকা হয়ে যায় আসলে । তবে পোকা গুলো হলে গাছের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় । গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না । আপনারা খুব ভালো একটি কাজ করেছেন পোকাগুলো ধরতে পেরে ।
ভাইয়া, এখন বিষ খেয়েও পোকা মরে না।তাই এই ব্যবস্থা প্রথমে পোকা কমিয়ে তারপর বিষ দেব,ধন্যবাদ আপনাকে।