"মানকচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"মানকচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি"।
বেশ অনেকদিন পর মাছের রেসিপি নিয়ে আসলাম আপনাদের সামনে।সময় সল্পতার কারনে রেসিপি পোষ্ট করতে পারিনি।যাইহোক আজ আমি আমাদের বাড়ির মানকচু দিয়ে রুই মাছ রান্না করেছি।আর এই মানকচু অনেকে প্রথমে সেদ্ধ করে নিয়ে জল ফেলে দিয়ে তারপর রান্না করেন।তারপর ও দেখা যায় গলা ধরে কিংবা সেদ্ধ হয় না।কিন্তু আমরা সবসময় সরাসরি অন্যান্য তরকারীর মতোই মানকচু রান্না করি।যেখানে আমরা কোনো সেদ্ধ করে নেওয়ার পর জল ফেলে দিইনা।কিন্তু এটি পুরো আলুর মতো সেদ্ধ হয়ে যায় আর কোনো গলাও ধরে না।আর খেতেও বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়।রুই মাছকে মাছের রাজা বলা যায়, যেটি সকলেই পছন্দ করেন খেতে।আমি এখানে রেসিপিটা একটু বেশি ঝোল করেছি কারন কচু,ওল ,বড়ো আলু এই জাতীয় তরকারী ঝোল থাকলেও কিছু সময় পর ঝোল ঘন হয়ে যায়।তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটি------
◆উপকরনসমূহ:
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | রুই মাছ | 7 পিচ |
2 | মানকচু | 800 গ্রাম |
3 | লবণ | 2 টেবিল চামচ |
4 | হলুদ | 1.5 টেবিল চামচ |
5 | পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
6 | রসুন কুচি | 6 কোয়া |
7 | কাঁচা মরিচ | 7 টি |
8 | সরিষার তেল | 100 গ্রাম |
9 | জিরা,শুকনা মরিচ ও আদা বাটা | 1/2 বাটি |
10 | জল | পরিমাণ মতো |
◆প্রস্তুত প্রণালি:
➤প্রথমে আমি আমাদের বাড়িতে লাগানো মানকচুর কিছু অংশ কেটে নেব।
➤এবারে মিডিয়াম সাইজে টুকরো করে কেটে নেব কচুটি বটির সাহায্যে।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
➤এরপর আমি কিছু কাঁচা লঙ্কা কেটে নেব বটির সাহায্যে ও সঙ্গে পেঁয়াজ-রসুন কুচি করে নেব।এরপর জিরা,শুকনা মরিচ ও আদা একত্রে বেঁটে নেব শীল-পাটায় হাতে।
➤এখানে আমি একটা বড় টাটকা রুই মাছ নিয়ে নিয়েছি।এরপর এটি বটির সাহায্যে আশ ছাড়িয়ে পিচ পিচ করে কেটে নেব এবং কেটে নেওয়ার পর ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে।
➤এবারে আমি মাছগুলোকে একত্রে লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নেব পরিমাণ মতো।তারপর কয়েকটি আলাদা করে নেব রান্নার জন্য।
➤এরপর মিডিয়াম আঁচে একটি পরিস্কার কড়াই বসিয়ে দেব।কড়াইটি হালকা গরম করে তেল দিয়ে আবারও গরম করে নেব কিছুসময় ।এরপর মাছগুলি নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ভেঁজে নেব বাদামি রঙের করে।
➤ভেঁজে নেওয়া মাছের পিচগুলো একটি পাত্রে তুলে নেব।তো আমার রুই মাছের পিচগুলো ভাজি করা হয়ে গেল।
➤পুনরায় কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে নেব।এরপর কেটে রাখা কচু কড়াইতে দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা ভেঁজে নেব।
➤এরপর জল দিয়ে দেব কচুর মধ্যে পরিমাণ মতো।5-7 মিনিট পর আমি পরিমাণ মতো লবণ-হলুদ ও লঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।এবারে 15-20 মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
➤কচুটি সেদ্ধ হয়ে গেলে গলিয়ে দেব কিছু কচুর পিচ।এরপর ভেঁজে রাখা মাছগুলি দিয়ে দেব তরকারীর মধ্যে।এবারে একটি পাত্রে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নেব।
➤এবারে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে তার মধ্যে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দেব।পেঁয়াজ হালকা ভেঁজে নেওয়ার পর বেঁটে রাখা মসলাগুলি দিয়ে দেব ।এরপর কষিয়ে নেব নেড়েচেড়ে।
➤তো আমার মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়া হয়ে গেছে।
➤এবারে পুনরায় তরকারীটি আবার ঢেলে দেব কষিয়ে নেওয়া মসলার মধ্যে।তারপর 5 মিনিট ধরে ফুটিয়ে ছোট ছোট বলক চলে আসলে নামিয়ে নেব তরকারীটি একটি পাত্রে।
➤তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "মানকচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি"।এবারে এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনার পোস্টের মাঝে ভালো একটা পরামর্শ পেলাম।অনেক সময় গলা ধরার জন্য কচু খেতে ভয় লাগে।যাই হোক আপনার রেসিপি টা বেশ ভালো লেগেছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ
জল জায়গার কচু গলা ধরে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছ এ খুবই ফেভারিট তবে কখনো মান কচু দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি খেতে ভারি মজা হয়েছিল সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রন্ধনপ্রণালী শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া, রুই মাছ কচুর সঙ্গে খুবই টেস্টি হয়, খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
মান কচু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি টা অনেকদিন আগে একবার খেয়েছিলাম আজকে আবার আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে খুবই ভাল লাগতেছে। রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আমি যদি সময় পাই রেসিপি টা একবার ট্রাই করে দেখব ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এমন সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মানকচু আর রুই মাছ দিয়ে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করলেন। আপনার তৈরি করার রেসিপি টিপ দেখেই তো আমার খুব লোভ হচ্ছে। মান কচু খেতে তো আমার ভীষণ ভালো লাগে। সেজন্য আপনার পুরো রেসিপিটি ও আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লাগলো। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার ও মোটামুটি ভালোই লাগে আপু কচু খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
মান কচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু তরকারি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে আপু ।আমার খুব ভালো লাগে খেতে। আমার আম্মু মাঝে মাঝে কচু রান্না করে লেবু দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে খুব ভালো লাগে ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রুই মাছ দিয়ে মান কচুর সুস্বাদু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হুম আপু,যেকোনো তরকারীতে লেবু খেতে ভালোই লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কচু জাতীয় যে কোন তরকারি খুব পছন্দ। খুবই সুস্বাদু লাগছে আপু মানকচুর তরকারি দেখতে। আর এমন মজাদার মাছ দিয়ে রান্না করলে তো কোন কথাই নেই। সবমিলিয়ে আমার কাছে রেসিপিটি খুব লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
মান কচু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন ।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। এমনিতে রুই মাছ আমি অনেক পছন্দ করি । ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু দিয়ে আপনি খুবই সুন্দরভাবে রুই মাছের রেসিপি প্রস্তুত করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এছাড়াও আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছু পরামর্শ আমরা জানতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে রুই মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুমন্তব্যের জন্য।
মানকচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি 😋
খাবারটা বেশ স্বাদের হয়েছে মনে হলো 🤤
মানকচু খুব পুষ্টিকর একটি সবজি আর এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে।
নিঃসন্দেহে চমৎকার রেসিপি।
হ্যাঁ ভাইয়া,সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।😋 ধন্যবাদ আপনাকে।