ইউনিক রেসিপি:🥬"মজাদার পালংশাকের চাটনি"🥬(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আজ সকাল থেকেই একবার আকাশের মন ভার করে কুয়াশা বৃষ্টি পড়ছে আবার কখনো মিষ্টি রোদের সঙ্গে ঝড়ো হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস বইছে।যাইহোক আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো একটি ইউনিক রেসিপি।
সেটি হলো- "পালংশাকের চাটনি"🥬🥬।
পালংশাক
পালংশাক একটি শীতকালীন সবজি।এই শাক অনেকের কাছে খুবই পছন্দের।পালংশাক দুই প্রকার হয়ে থাকে।সাধারণ খাওয়ার পালংশাক আরেকটি টক পালংশাক ।টক পালংশাক দিয়ে মূলত চাটনি করা হয়।কিন্তু এই টক পালংশাক সবসময় সব জায়গায় পাওয়া যায় না।পালংশাকের চাটনি কিন্তু খুবই মজার খেতে হয়, এটি না খেলে এর প্রকৃত স্বাদ মুখে বলে বোঝানো যাবে না।আমি পালংশাক এমনি তেমন খেতে পছন্দ করি না তাই যখনই মন চায় এভাবে চাটনি বানিয়ে খাই।এটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে।তাই আপনারাও পালংশাকের চাটনি রেসিপি বাড়িতে অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।যেহেতু আমাদের এখানে টক পালংশাক পাওয়া যায় না সেইজন্য আমি সাধারণ খাওয়ার পালংশাক দিয়ে চাটনি রেসিপিটা তৈরি করবো।তো চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণ
●পালংশাক
●চিনি - 100 গ্রাম
●গোটা সরিষা - 1.5 টেবিল চামচ
●লবণ - 1/2 টেবিল চামচ
●হলুদ -1/2 টেবিল চামচের কম
●শুকনো লঙ্কা - 2 টি
●সরিষার তেল - 2 টেবিল চামচ
●জল - 1.5 কাপ পরিমাণ
প্রস্তুত প্রনালী
প্রথমে আমি আমার একমুঠি পরিমাণ পালংশাক নিয়ে নেব।
পালংশাকের পাতা ভালোভাবে বেছে নিয়ে ছোট ছোট খন্ড করে কেটে নেব।এরপর জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে জল সরাতে রেখে দেব।
এবারে চাটনির উপকরন যেমন- গোটা সরিষা, লবণ, হলুদ এবং দুইটি শুকনো লঙ্কা নিয়ে নিলাম।
এরপর চিনি নিয়ে নিলাম 100 গ্রামের মতো, চাইলে গুড় ও ব্যবহার করা যায়।
এরপর একটি কড়াই ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দেব মিডিয়াম আঁচে।কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে দেব।
তেল হালকা গরম হয়ে গেলে তার মধ্য শুকনো লঙ্কা দুটি দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা ভেঁজে নিয়ে গোটা সরিষা দিয়ে দেব।
এরপর গোটা সরিষা পটপট শব্দে ফুটতে শুরু করে ভেঁজে নিয়ে ধুয়ে রাখা পালংশাকগুলি দিয়ে দেব কড়াইতে।
পালংশাকের মধ্যে সামান্য লবণ ও হলুদ স্বাদ অনুযায়ী দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
এরপর পালংশাকে জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব সেদ্ধ হওয়ার জন্য 10 মিনিট মতো।
10 মিনিট পর ঢাকনা খুলে পালংশাকগুলি নেড়েচেড়ে ঘেঁটে গলিয়ে নেব।
10 মিনিট পর চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব পালংশাকগুলি।এরপর আবারো 5 মিনিট ধরে ফুটিয়ে নেব।
5 মিনিট পর চাটনি একটু গাড়/ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মজাদার পালংশাকের চাটনি রেসিপি"।দেখুন বন্ধুরা- কালারটি ও কি সুন্দর হয়েছে।এরপর গরম কিংবা ঠান্ডা সবরকমভাবেই এটি ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।আর এটি খুবই মজার খেতেও হয়।
আশা করি আমার আজকের চাটনি রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
এমন রেসিপি দেখলে সত্যিই খুব ভালো লাগে যেটা একদম ইউনিক কিছু। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ কখনো এই রেসিপির না নাম শুনেছে না কেউ খেয়েছে। একবার ট্রাই করে দেখতে হবে আপনার রেসিপিটি সত্যি কেমন লাগে🥰🥰🥰🙏
এখন জেনে গেলেন,অবশ্যই 👍একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাইয়া একদম সহজেই।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। অবশ্যই আমি একবার ট্রাই করে দেখব।🤗🤗🙏🥰🥰
😊💐
সবুজ শাক এর মধ্যে পালং শাক খেতে মজা ও পুষ্টিসমৃদ্ধ । কিন্তু পালং শাকের চাটনি কখনো খাওয়া হয়নি দিদি । একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন । খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য রেসিপিটি দিদি ।
হ্যাঁ ভাইয়া, খুবই মজা হয়েছিল খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পালং শাকের অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি পালং শাক খেতে এমনিতে খুবই ভালো লাগে। আপনার পালং শাকের চাটনি রেসিপি টা আমার কাছে খুব ইউনিক মনে হয়েছে। সত্যি আপু আজকে রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখতে মনে হচ্ছে পালং শাকের চাটনি টা খেতে ও খুব সুস্বাদু হয়েছে। অসাধারন লেগেছে আপনার রেসিপি টা আমার কাছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু,খুবই মজার হয়েছিল।ট্রাই করে দেখতে পারেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুবই দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। অনেক চাটনি খেয়েছি কিন্তু এভাবে পালংশাকের চাটনি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু এটা দেখতে খুব লোভনীয় যেটা খেতে খুবই মজার হবে। আর কালারটা একদম সবুজ দেখতে সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাইয়া একদম সহজেই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনি অনেক মজাদার এবং ইউনিক একটি পালং শাকের চাটনি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে শেয়ার করেছেন। পালং শাক দিয়ে যে এরকমভাবে চাটনি তৈরি করা যায় সত্যিই আমি সেটা জানতামইনা আপনি অনেক ইউনিক একটি রেসিপি পোষ্ট আমাদের সকলের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেটা দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এখন জেনে গেলেন,অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাইয়া একদম সহজেই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
এটা কোনো কথা,শাক দিয়ে চাটনি, চোখ কপালে উঠে গেল আপু।মানে এতকিছুর চাটনি থাকতে শাক দিয়েও চাটনি করে পেল্লেন। এগুলো খেতে কেমন হবে তা চিন্তা করতে করতে আমার খুদা লেগে গেল।তবে আজকে একদমই নতুন একটি রেসিপি শিখলাম,ধন্যবাদ আপু।
আপু,আপনার আরো অবাক লাগবে যখন আমি নতুন অন্য শাক দিয়ে ও চাটনি বানাবো।তাই বলে সব শাক দিয়ে চাটনি করা সম্ভব হয় না।এটি আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন সহজেই একদিন,আশা করি মন্দ লাগবে না।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি একদম ইউনিক রেসিপি কেননা এর আগে কখনও পালং শাকের আচার রেসিপি খাওয়া হয়নি। দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। মজাদার এই লোভনীয় ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।
চাটনি রেসিপি ভাইয়া,আচার নয়।হ্যাঁ,খুবই মজার হয়েছিল,ট্রাই করে দেখতে পারেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চাটনি আর আচার তো মনে হয় একই জিনিস।
যাইহোক আপনাকে স্বাগতম দিদি ভাই।
হ্যাঁ ভাইয়া,কিছুটা এক জিনিস ।😊একটু পার্থক্য যে, আচার দীর্ঘদিন ধরে প্রায় 1 বছর ধরে রেখে খাওয়াও যায়।কিন্তু চাটনি বেশি দিন রেখে খাওয়া যায় না।তবে অঞ্চলভেদে অনেকেই আচারকে চাটনিও বলে থাকেন।💐
আপনি খুবই দারুন একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পালং শাক কোন সোম চাটনি করে খাইনি তবে পালংশাক আমরা অনেক খেয়েছি রান্না করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। সত্যি আপু আজকের রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া, মন্দ লাগবে না।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও চাটনি। চাটনি আমার অনেক পছন্দের বাড়িতে সবসময় সব সময় না হলেও কমবেশি চাটনি তৈরি হয়ে থাকে। তবে আমি কখনো পালং শাকের চাটনি নামটা কখনো শুনিনি। খাওয়া তো দূরের কথা। পালং শাক দিয়ে যে চাটনি তৈরি করা যায় কাজেই দেখলাম। আমি সচরাচর টমেটোর চাটনি খেয়ে থাকি। আজ নতুন একটা চাটনির সাথে পরিচিত হয়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখন জেনে গেলেন,অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ভাইয়া একদম সহজেই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি ইউনিক মনে হলো আমার কাছে। এরকম চাটনি এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি করে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া, মন্দ লাগবে না।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।