"দামোদর নদীর পাড়ে উচ্ছে ক্ষেতের আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন ধরনের প্রকৃতির কিছু ছবি নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো-"দামোদর নদীর পাড়ে উচ্ছে ক্ষেতের আলোকচিত্র"।
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলাম বড়শুলে।অনেকদিন আগে থেকেই আমার মায়ের খুবই ইচ্ছে দামোদর নদী দেখার।তাই বড়শুল বাজারে দুর্গাপূজা দেখার পর যদিও আমার কোনো ইচ্ছে ছিল না তবুও বাধ্য হয়ে গেলাম দামোদর নদী দেখতে।কারণ মা সবসময় বাড়ির কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাই বাড়ি থেকে খুব বেশি বের হন না।তাছাড়া বড়শুল বাজার থেকে দামোদর নদী খুব বেশি দূর নয় তাই হেঁটে হেঁটেই গেলাম।সেখানে গিয়েই দেখলাম নদীর পাড়ে সুন্দর উচ্ছে ক্ষেত।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
লোকেশন
●●●দামোদর নদীর পাড়ে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে উচ্ছে ক্ষেত রয়েছে।এটা শুধুমাত্র একদিকের ক্ষেত এবং এই উচ্ছে ক্ষেতের চাষীরা দামোদর নদীর পাড়েই ঘর বেঁধে থাকে।কারন এখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করে দামোদর নদী দেখার উদ্দেশ্যে।তাই উচ্ছে ক্ষেতের পরিচর্যা, দেখাশুনা করার জন্য তাদেরকে সবসময় এখানে থাকতে হয়।
●●●এটা মেঠো পথ ।আর মেঠো পথ ধরে আমার মা হেঁটে চলেছে দামোদর নদী দেখার জন্য।এই পথের দুইপাশেই উচ্ছে ক্ষেত রয়েছে।এখানে প্রচুর সাপের উপদ্রব ও রয়েছে।তাছাড়া মাঠের পাশে কচি ঘাস ছাগল খাচ্ছে।মেঠো পথ ধরে হাঁটতে আমার খুবই ভালো লাগে।
লোকেশন
●●●এই উচ্ছে ক্ষেতের গাছগুলো প্রায় মৃত অবস্থা।গাছে তেমন উচ্ছে ও নেই।তাছাড়া চাষীরা ক্ষেতটি ছেড়ে দিয়েছে বিধায় এই ক্ষেতের মধ্যে ছাগল চলাফেরা করছিল।
লোকেশন
●●●দূর থেকে উচ্ছে ক্ষেত দেখলে মনে হয় যেন সবুজ বিছানার চাদর মেলে দেওয়া রয়েছে।উচ্ছে গাছ যেহেতু লতানো টাইপের সেইজন্য সারি সারি বাঁশের খোঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লোকেশন
●●●এটা ছোট দেশি জাতের উচ্ছে।আর এই উচ্ছেগুলি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অনেক সুন্দর দেখতে লাগে।উচ্ছের আবার ভাগ রয়েছে ।যেমন-করলা উচ্ছে যেটি অনেক বড় সাইজের হয়।আমার কাছে দেশি উচ্ছে খেতে বেশি টেস্ট লাগে।
●●●এখানে কিছু পাকা উচ্ছে ঝুলছে।হলুদ রঙের পাকা উচ্ছের ভিতরে টুকটুকে লাল রঙের দানা রয়েছে।তাছাড়া প্রত্যেকটা উচ্ছে গাছ সারিবদ্ধভাবে এখানে লাগানো রয়েছে।দামোদর নদীর জল দ্বারা সেচ ব্যবস্থা ও রয়েছে।
লোকেশন
●●●এখানে বড়ো বড়ো গাছের নিচে উচ্ছে ক্ষেত করা হয়েছে।তাছাড়া সামনে কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছে অন্য কিছু চাষ করার জন্য।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের প্রকৃতির ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপু আপনাদের দামোদর নদীর তীরে উচ্ছে ক্ষেতের আলোকচিত্র দেখে বেশ ভালই লাগলো । দামোদর নদীর কয়েকটি ফটোগ্রাফি থাকলে ভালো হতো, নদীটি দেখতে পেতাম। এই নদীটির নাম নতুন শুনলাম। আর মেঠো পথ ধরে আপনার মা হেঁটে চলেছে ছবিটি বেশ চমৎকার হয়েছে। এ ধরনের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে । আর আপনার উচ্ছে সেটাকে আমরা আমাদের এখানে করল্লা বলে থাকি। আমি প্রথমে উচ্ছে কি তা বুঝতে পারিনি পরে ছবি দেখে বুঝতে পারলাম । সব মিলিয়ে বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু পরের পোষ্টে অবশ্যই দেব ,দেখার আমন্ত্রণ রইলো।আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
দুর্গাপূজার উপলক্ষে অনেকেই অনেক জায়গা ঘুরতে যায় আর আপনি আপনার মায়ের সাথে দামোদর নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আর সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে চাষ করা বিভিন্ন সবজির আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও প্রিয়জনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বাধ্য হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় যার মাধ্যমে আপন মানুষের মুখের উজ্জ্বল হাসি দেখতে পাওয়া যায় যেমনটা আপনি আপনার মায়ের সাথে দামোদর নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদিভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনজনের খুশিতে নিজের মনে ও প্রশান্তি মেলে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এদিকেও প্রায় একই ভাবে উচ্ছে চাষ করা হয়্ । বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকে এভাবে মাচা তৈরি করে তাতে উচ্ছে চাষ করা হয়। সত্যি বলতে কি প্রকৃতির প্রত্যেকটা জিনিসই সুন্দর। দাদোদর নদীটি দেখতে পারলাম না দিদি তাই একটা আপসোস রয়ে গেল।
অবশ্যই দেখতে পাবেন ভাইয়া, কেন নয়।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি দামোদর নদীর নামটি সত্যি চমৎকার একটি নাম ৷ আর নদীর চর এলাকা গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে প্রকৃতি আপন রূপে মেতে উঠেছে৷ তবে চর গুলোতে মনে হয় সবজি চাষ করেছে ৷ পানি বিহীন মনে হয় মনে যাচ্ছে ৷ তবে মেঠো পথ টি দেখে অনেক সুন্দর ৷
ধন্যবাদ প্রিয় দিদি ৷
না দাদা,পানিবিহীন নয়।দামোদর নদীতে চড়া হলেও পানি থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কিন্তু নদীর কথা বলি নি ৷ বলেছি চাষ করা জমি গুলোর কথা
ও আচ্ছা দাদা।চাষ করা জমিতে সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়া হয়।
পুজো দেখা উপলক্ষ করে বাসা থেকে বের হয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ছেলেদের মত মেয়েরা হয়তো বাসা থেকে তেমন একটা বের হতে পারে না। শুধুমাত্র কোন উৎসব উপলক্ষে তারা বাসা থেকে বের হতে পারে এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম। তবে যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল প্রতিটি ফটো অনেক বেশি সুন্দর করে আপনি ক্যাপচার করেছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে উচ্ছে ক্ষেতগুলো প্রায় মৃত গাছগুলো লাল হয়ে গিয়েছে।
এটা সব ক্ষেত্রে একই নয়,আসলে মা ঘুরতে কম পছন্দ করেন ভাইয়া এইজন্য।তাছাড়া কিছু উচ্ছে গাছ বেশ সতেজ ভাইয়া আবার কিছু অর্ধমৃত।ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you💝.
দামোদর নদীর পাড় কথাটা শুনে ভেবেছিলাম নদীর কোন দৃশ্য থাকবে। কিন্তু করোলা বাগানটি বেশ ভালোই লেগেছে আমি এত বড় বড় বাগানের আগে কখনো দেখিনি। আপনার মায়ের ইচ্ছে ছিল আমাদের নদীর পাড়ে যাবে এটা বেশ ভালো লাগলো। অনেকগুলো পাকা কাঁচা সব ধরনের করলা দেখতে পেলাম। আপনাদের ঘোরাঘুরি মুহূর্ত বেশি ভালো লেগেছে।
আপু, পরে দামোদর নদীর দৃশ্য শেয়ার করবো অবশ্যই দেখবেন।আর মায়ের নদী দেখার ইচ্ছে ছিল নদীর পাড় নয়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর ভাবে আপনি ধারন করেছেন যা আমার কাছে ভিশন পছন্দ হয়েছে।আপনি যে বিষয়টা নিয়ে লিখেন সে বিষয়টি সিলেকশনে অনেক বেশি যত্নশীল যা বমার কাছে অনেক ভালো লাগে দিদি।
ধন্যবাদ আপু আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্যের জন্য।
এক সাথে দুই কাজ হয়ে গেলো দিদি। দামোদর নদী দেখাও হয়ে গেলো সাথে করলার ক্ষেত ও দেখা হলো। এই নদীর নাম আগে কখনো শুনিনি। অবশ্য শোনার কথাও না আমাদের দেশের অনেক নদীর নামই তো চিনিনা। নদীর যদি আরো ছবি তোলা থাকে আরো একটি পোস্ট এ শেয়ার করিয়েন। দেখতে পারলে ভালো লাগবে অনেক।
হ্যাঁ ভাইয়া, নদীর ছবিগুলো তো বাকিই আছে।অবশ্যই শেয়ার করবো,দেখবেন ভাইয়া কেমন!ধন্যবাদ আপনাকে।