"প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
শুভ সকাল বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি বসন্তের স্নিগ্ধ সকালের শীতল হাওয়ায় সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম কিছু "প্রকৃতির ফটোগ্রাফি" নিয়ে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
প্রকৃতি কার না ভালো লাগে বলুন!সবুজ প্রকৃতির মাঝে উন্মুক্ত হাওয়ায় স্বাধীনভাবে মেলে ধরতে ইচ্ছে করে সকলের।তেমনি আমিও একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি সময় কাটাতে বেশ লাগে আমার।তাই বাড়ির মধ্যে থাকতে থাকতে যখন হাঁফিয়ে যাই একটু ছুটে চলে যাই প্রকৃতি মায়ের কোলে একটু মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে।
আমাদের বাড়ি থেকে মেঠো পথ ধরে এসে কিছুটা দূরে এই তালবন।মাঝে মাঝেই আমি এখানে আসি।তবে একা কখনো নয়,কারণ এত বড়ো তালবনে সবসময় মানুষ থাকে।তাছাড়া জায়গাটা একটু ফাঁকা, তাই সবসময় বাবার সঙ্গে আসি ।কখনো কখনো তাল গাছের ফাঁকে হয়ে থাকা ছোট্ট কুল গাছ থেকে কুল পাড়তে, কখনো বা খাপ জাল দিয়ে পাশের ক্যানেল থেকে মাছ ধরতে , কখনো বা গাছ থেকে ডুমুর পাড়তে আবার কখনো বা খেজুরের সময় গাছ থেকে পাকা খেজুর পাড়তে।তবে হ্যাঁ বেশ কিছু পথ আমি একাই আসি সবসময় সেখানে ফাঁকা রাস্তা, বাড়ি থেকেই দেখা যায় তাই প্রকৃতির মাঝে নিজেকে মেলে ধরি সেই পথটুকুই।
প্রকৃতির মাঝে নিজেকে মেলে ধরার মধ্যে যে কতটা শান্তি তা অনুভূতি দিয়ে ও প্রকাশ করা যাবে না।একটা স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজে পায় তাই প্রকৃতির কোলে একাত্ম হয়ে মিশে যেতে ইচ্ছে করে বারংবার।মাঝে মাঝে সবারই প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো উচিত। মনের ভার,মনের কষ্ট ও মনের যন্ত্রণাগুলি থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়।মনকে সান্ত্বনা দেওয়া যায় এবং মনও অনেকটাই হালকা হয়।
আমাদের এখানে আদিবাসী মহিলারা সারাবছর মাঠে কাজ করে সংসার চালায়।শতকরা প্রতি এক থেকে দুইজন পুরুষ মানুষকে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়, অধিকাংশ মহিলারাই দূরদূরান্ত থেকে এসে মাঠের কাজ করে।যখন খুব ক্লান্তিবোধ করে তখন ছুটে গিয়ে ওরা বসে তালবনের ছায়ায়।ওখানেই সবাই টিফিন করে বিশ্রাম নেয় কিছুটা সময় ধরে।প্রতিনিয়ত এইরকম কয়েক শত মানুষ মাঠের কাজে এসে তালবনে বসে বিশ্রাম নেয় প্রকৃতির উন্মুক্ত হাওয়ার মাঝে।
আবার বসন্তকালের প্রচন্ড রোদ-গরমে যখন চারিদিকে "লু" পড়ে তখন রাখালেরা এই তালবনে আশ্রয় নেয় একটু প্রশান্তি পাওয়ার আশায়।তাদের গরু, ছাগল ও ভেড়াও তালবনের ছায়ায় ক্যানেল পাড়ে ঘাস খেতে থাকে।এছাড়া এই তালবন অনেক মানুষের জ্বালানি খরচ বাঁচিয়ে দেয়।অনেকেই এই তালবন থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে সারাবছর।আমরাও মাঝে মাঝে সংগ্রহ করি তালপাতা।
সবুজ ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে চলে গেছে আমাদের গ্রাম।তালবন যেমন ক্যানেলের দুইপাশ দিয়ে তেমনি বড়ো রাস্তার দুইপাশ দিয়ে বড়ো বড়ো সবুজ গাছপালায় ভর্তি।এইরকম প্রকৃতির মাঝে রাস্তা ধরে পথ চলতে খুবই ভালোবোধ হয় আমার।অবশ্য গ্রামের মানুষেরাও এখন তেমন কেউ হাঁটতে চায় না।যাইহোক আজ এই পর্যন্তই।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
সত্যিই আপু প্রকৃতির ছবি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যতবার দেখি ততবার মনটা ভরে ওঠে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। এবং ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা ও উপস্থাপনা দিয়েছেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।😊
আপু আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে দ্বিতীয় নাম্বার ফটোগ্রাফি টা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া💐।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো কৃষকের তোলা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত নিখুত ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া।💐
এই অপরূপ বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এই বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য। আর আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুবই চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যেন চোখদুটো জুড়িয়ে গেল। কি অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন তা আপনি হয়ত নিজেও জানেন না। আমরা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে উপলব্ধি করতে পারছি কতটা সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তাই 😊।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া💐।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি গ্রামে থাকেন আপু। গ্রামের নির্মল বাতাস আমাকে বারবার সেদিকে টানে। প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায় গ্রামে থাকলে। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। এতো সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু সত্যি বলতে শৈশবটা কেটেছে আমার গ্রামে ,কৈশোরটা আবার কেটেছে শহরে আর এখন গ্রামে চলে এসেছি।তবে পুরোপুরি গ্রাম নয়,আধা শহর আধা গ্রামে।অনেক ধন্যবাদ আপু😊।
দিদি ছবি দেখে আপনাদের এলাকায় বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে। এত বড় ফাঁকা মাঠ আমি বহুদিন দেখিনা। সেইসঙ্গে কি সুন্দর তাল গাছ গুলো। একসময় গ্রামে প্রচুর তালগাছে দেখা গেলেও এখন আর কেউ এগুলো লাগায় না। সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাই,চলে আসুন ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে💐.
তাল গাছে ঘেরা মেঠো পথ হাতছানি দিয়ে ডাকে।
মন ছুটে যায় সবুজের মাঠে খালের বাকে
প্রকৃতির মাঝেই থাকতে মন চায়। সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ বোন।
বাহ,😀 সুন্দর কথা বলেছেন।ধন্যবাদ দাদা।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মন ভাল হয়ে যায়। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া😊।
বাহ! দিদি খুবই চমৎকার কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখতে অনেক ভালো লাগছে। গ্রাম অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো আসলে যতই দেখি ততই ভালো লাগে। যদিও আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই ছোটবেলায় গ্রামে থাকার মুহূর্তগুলো মনে পড়ে গেলে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফির শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া💐।