"শৈশবের ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"শৈশবের ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
শৈশবের ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
বন্ধুরা, আজকের এই ফটোগ্রাফিগুলি আমাদের আরো একবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে অতীতের সেই আনন্দময় জগতে।যেখানে আমাদের শৈশবের নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।এই ছবিটি হচ্ছে দুস্টু ছেলের।যে পড়াশুনা না করার বাহানায় বইয়ের পাতা ও খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিড়ে ফেলছে।
এটি ছোট বাচ্চা ছেলের।যেখানে ব্যাঙের কথা বলে ভয় দেখানো হতো।ছোটবেলায় আমরাও এমন ছুটে পালাতাম ব্যাঙের ভয়ে মজার মুল্লুকের মতো।
এখানে একজন অলস ছেলে বাঁশের উপর পা ছড়িয়ে বসে আছে।যখন আমাদের মন খারাপ হতো কিংবা কোনো কাজ করতে মন চাইতো না অথবা বই পড়তে মন চাইতো না তখন বিভিন্ন গাছে কিংবা বাঁশের চাতালে উঠে বসে থাকতাম পা শুন্যে ছড়িয়ে। তেমনই দৃশ্য ছেলেটির দেখানো হয়েছে।
এটি হচ্ছে ফেরিওয়ালার।অর্থাৎ যখন কোনো আইসক্রিমওয়ালা গ্রামে আসতো তখন গ্রামের ছেলেমেয়েরা দৌড়ে সেটা খাওয়ার জন্য ছুটে যেত সেই দৃশ্য-ই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও আমি ছবিটি ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি।তবুও আমার মনে হচ্ছে এটা কোনো আইসক্রিমওয়ালার।
এটা হচ্ছে একটি ফুলের ঝুড়ির কালো চিত্র।অর্থাৎ একটি ঝুড়িতে অনেকগুলো ফুল রয়েছে।
এটা হচ্ছে একজন ছেলে ঢাক বাজাচ্ছে।আর তাতে জোরে জোরে আওয়াজ হচ্ছে। এটা অবশ্য শৈশব জীবন পার করা একজন যুবকের।যদিও ছোটবেলায় সুযোগ পেলে সব বাচ্চারাই একটু ঢাকে বারী দিয়ে মজা নিতে চায়।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
প্রতিটি পেইন্টিং ই শৈশব এর মজার মজার স্মৃতি ধারণ করছে আপু! আমার তো প্রতিটি ছবিই দেখে দেখে হাসি পাচ্ছিলো! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন দারুণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু, আপনি যেটাকে আইসক্রিম ওয়ালার ছবি বলছেন, ওটা সম্ভবত বায়োস্কোপ এর ছবি। আগে ওমন যন্ত্রে বিভিন্ন ছবি দেখানো হতো। আমার বাবা-মায়েরা পেয়েছে বায়োস্কোপ, তাই হয়তো আমাদের কাছে তেমন পরিচিত না!
ঠিক বলেছেন আপু,আমার কাছেও সেটাই মনে হচ্ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই এই ছবিগুলো দেখার পরেই নিজের ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ছোটবেলার মজার সব অতীতগুলো মনে পড়ে যায়।
সেটাই তো বললাম লেখাতে ভাইয়া।
বোন গত বছরের দুর্গা পুজোতে আমাদের বারাসাতের একটি পুজো প্যান্ডেলে এই সহজপাঠ থিমটি করেছিল। যেখানেও শৈশবের বিভিন্ন জিনিসকে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছিল। যাইহোক, তোমার শেয়ার করা দূর্গা পুজোর প্যান্ডেল থেকে তোলা এই শৈশবের পেইন্টিং গুলোর ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগলো। হারিয়ে যাওয়া শৈশবের এক ঝলক দেখার সুযোগ হলো ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে।
দাদা ,এই প্যান্ডেলে শুধু শৈশবের জিনিস নয় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং করা হয়েছে।ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যাঁ বোন, তার কিছু কিছুই দেখতে পেলাম তোমার এই পোষ্টের মাধ্যমে।
ও আচ্ছা।
শৈশবের ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং প্রত্যেকটি পেইন্টিং বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করলাম। শৈশবের স্মৃতি বড় মধুময়। তাইতো ছবিগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই শৈশবের স্মৃতি মধুর, ধন্যবাদ আপনাকে।