"কুমড়ো ফুলের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী প্রিয় লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আজ আমি আবারো নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।সেটি হলো "কুমড়ো ফুলের পকোড়া"।
বন্ধুরা, আজ সকালে যখন বাড়ির উঠানে হাঁটতে হাঁটতে ঘরের চালের দিকে চোখ রাখি তখনই দেখতে পাই কুমড়ো গাছে বেশ ফুল ফুটেছে।তাই সেগুলো তুলে আনলাম পকোড়া তৈরির জন্য।আসলে কুমড়ো খেতে যেমন মজার তেমনি তার ফুল খেতেও বেশ মজা ।এছাড়া কুমড়োর মতোই তার ফুলেও নানান পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।যাইহোক আমি কিছুদিন আগে কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।তো আজ আর বড়া নয়,চলুন কথা না বাড়িয়ে পকোড়া রেসিপি শুরু করা যাক--
উপকরণ:
1.কুমড়ো ফুল
2.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
3.রসুন কুচি -7 কোয়া
4.কাঁচা মরিচ কুচি - 5 টি
5.লবণ - 1 টেবিল চামচ
6.হলুদ - 1/2 টেবিল চামচ
7.শুকনো মরিচ গুঁড়া - 1/2 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন -1/3 টেবিল স্পুন
9.বেসন - 4 টেবিল চামচ
10.সাদা তেল - 200 গ্রাম
11.জল - 3 টেবিল চামচ
12.গরম মসলা গুঁড়া - 1/3 টেবিল স্পুন
প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
1.ঘরের চালে কুমড়ো ফুল ফুটেছে।
2.কুমড়ো ফুলগুলি তুলে নিয়ে একটি একটি করে বেছে নিলাম।
ধাপঃ 2
3.বেছে নেওয়ার পর কুমড়ো ফুলগুলো বটির সাহায্যে কুচি করে কেটে নেব।এরপর ফুলগুলো ধুয়ে নেব পরিষ্কার জল দিয়ে 2 বার।
ধাপঃ 3
4.এরপর পেঁয়াজ ,রসুন ও কাঁচা মরিচ ছোট ছোট কুচি করে নিয়ে কুচানো ফুলের পাত্রে রাখবো।এরপর পরিমাণ মতো হলুদ ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দেব ।
ধাপঃ 4
5.এবার পরিমাণ মতো লবন ,শুকনো মরিচ গুঁড়া এবং বেসন নিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
6.সব মসলা নেওয়ার পর সামান্য জল দিয়ে একটি চামচ কিংবা হাত দিয়ে মিশিয়ে নেব সব একত্রে।
ধাপঃ 6
7.তো আমার কুমড়ো ফুলের সঙ্গে সব উপকরণ মেশানো হয়ে গেছে ভালোভাবে।
ধাপঃ 7
8.এরপর একটি কড়াই ধুয়ে চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে গরম করে নেব ভালোভাবে।তারপর কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে নেব।এরপর অল্প অল্প মসলা মিশ্রিত কুমড়ো ফুল নিয়ে ডুবো তেলের মধ্যে ছেড়ে দেব।
9.এবার একটি খুন্তির সাহায্যে ওলটপালট করে পকোড়াগুলি ভেঁজে নেব লাল বাদামি কালার করে।তারপর ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে পকোড়াগুলি একটি পাত্রে তুলে নেব।
ধাপঃ 8
10.পকোড়াগুলি অনেকটা ফুলে গিয়েছে এবং মুচমুচে হয়েছে।এছাড়া কালারটি ও খুব সুন্দর এসেছে বন্ধুরা।
11.তো তৈরি হয়ে গেল আমার "কুমড়ো ফুলের পকোড়া"রেসিপি।এবার এটিকে গরম গরম চা কিংবা এমনি পরিবেশন করতে হবে।এটি কিন্তু দারুণ স্বাদের খেতে হয়।আপনারা ও চেষ্টা করে দেখতে পারেন একবার।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
পাকোড়া অনেকরকম খেয়েছি কিন্তু কুমড়ো ফুল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে এবং বিকালের নাস্তা হিসেবে অসাধারন হবে ঠিক। এখানে কুমড়ো ফুল খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না। যদি পায় তাহলে অবশ্যই একবার চেষ্টা করে দেখব গিন্নিকে দিয়ে
হ্যাঁ ভাইয়া, এটি খুবই স্বাদের হয়েছিল এবং বিকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত।অবশ্যই, চেষ্টা করে দেখবেন ভাইয়া।খুবই ভালো লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কুমড়ো ফুলের রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে, এবং এর আগে এরকম পোস্ট দেখেননি। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল। আপু ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুমড়ো ফুলের মচমচে পাকোড়া অনেক সুন্দর ছিল আপ। অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন খুবই মার্জিত সাবলীলভাবে খুবই আমাদের বুঝতে সহজ হয়েছে।এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। আমি অনেকবার খেয়েছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
হ্যাঁ ভাইয়া, এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
এটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। আমি অনেকবার এই রেসিপিটি বাসায় বানিয়েছি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার টা অনেক ভাল লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা রেসিপি। আমার কাছে এই বরা বেশ ভালো লাগে। শুভ কামনা রইল বোন এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই খাবারটা আমার বেশ পছন্দের। কয়েকদিন আগেই খেয়েছি। আপনার পাকোড়া দেখতে সুন্দর হয়েছে। খেতেও আশা করি ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া, খেতে অনেক মজার হয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পাকোড়া গুলো দেখে খিদে পেয়ে গেল। আমিও এ পাকোড়ার স্বাদ গ্রহণ করতে চাই। আপনার প্রতিটি পোস্টই খুব ভালো হয়। জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা স্বাদ গ্রহণ করতে চাইলে চলে আসুন বর্ধমান।আমার পোষ্টগুলি আপনার ভালো লাগে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।কালকে এটি বাড়িতে চেষ্টা করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই, চেষ্টা করে দেখবেন ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
আমার কখনো এই কুমড়ো ফুলের পকোড়া খাওয়াই হয়নি।
তবে আপনার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগছে।
খেতেও ইচ্ছে করছে।
একদিন দাওয়াত দিবেন কিন্তু। 🥰
এখনি দাওয়াত দিলাম আপু,চলে আসুন বর্ধমান।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার কাছে এই সিপিটি একদম নতুন।আপনার রেসিপি গুলো অনেক লোভনীয়। কুমড়োর পাকোড়া গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। যাই হোক আপু আপনার থেকে আমি একটি নতুন রেসিপি শিখলাম আর আপনি আমাদের নতুন নতুন রেসিপি উপহার দিবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু ,খুব স্বাদের হয়েছিল।অবশ্যই আমি নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।আপনার কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে তাতেই আমার রেসিপি বানানোর সার্থকতা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।