"মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুশাকের রেসিপি"
নমস্কার
মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুশাকের রেসিপি:
বন্ধুরা, কচুশাক অনেক ভিটামিনযুক্ত একটি সবজি।এটা ঘন্ট বা গা মাখা ঝোল সকল অবস্থাতেই ভালো লাগে খেতে।কচুশাক অনেক উপকারী একটি সবজি,এছাড়া এটি বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে।আমি পূর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম কৈ মাছ দিয়ে কচুশাক ঝোল রেসিপি।তো আজ একটি ভিন্ন রেসিপি তৈরি করেছি মাছের ডিম দিয়ে।মাছের ডিম আমার কাছে খুবই প্রিয়।তো এটি আমি প্রথমে পিজ্জার আকারে ভেঁজে নিয়ে কচুশাক দিয়ে মাখা মাখা ঝোল করেছি।এমনিতেই মাছের ডিম ভাজি অনেক মজার খেতে,আর এভাবেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণসমূহ:
কচুশাক- 2 ডাগ
পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
কাঁচা মরিচ কুচি- 7 টি
লবণ- 2 টেবিল চামচ
হলুদ- 1.5 টেবিল চামচ
আদা রসুন বাটা-1 টেবিল চামচ
পাঁচফোড়ন- 1/3 টেবিল চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- 1/3 টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ বাটা- 1 টেবিল চামচ
জিরে বাটা-1টেবিল চামচ
সরিষার তেল-80 গ্রাম
জল
প্রস্তুত-প্রণালি:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কচুশাকগুলি জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে হালকা আশ ছাড়িয়ে কেটে নিলাম পিচ পিচ করে।
ধাপঃ 2
এখন মাছের ডিমগুলো ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
ডিমের মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ, পাঁচফোড়ন,ঝাল ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এখন সব উপকরণের সঙ্গে ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াই মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দিয়ে তেল দিলাম।সরিষার তেল হালকা গরম করে নেব।
ধাপঃ 6
এরপর মাছের ডিমগুলো তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম কড়াইতে।
ধাপঃ 7
ডিমগুলো উল্টেপাল্টে ভেঁজে নিলাম বাদামি রঙের করে।
ধাপঃ 8
এবারে একটি পাত্রে ভেঁজে নেওয়া ডিম তুলে নিলাম।
ধাপঃ 9
এরপর ডিম ভাজিটি একটি ছুরির সাহায্যে কেটে পিচ পিচ করে নিলাম পিজ্জার মতো করে।
ধাপঃ 10
এবারে পুনরায় কড়াইতে তেল দিয়ে তার মধ্যে ঝাল,পেঁয়াজ কুচি ও সকল গুঁড়া মসলা দিয়ে নিলাম।
ধাপঃ11
এরপর পেঁয়াজ হালকা নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিয়ে তার মধ্যে সব বাটা মসলা দিয়ে দিলাম ।এবারে সামান্য জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিলাম।
ধাপঃ 12
এখন মসলার মধ্যে কচুশাকগুলি দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 13
তো কচুশাক ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দেব।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিলাম 10 মিনিট মতো।
ধাপঃ 14
কচুশাক সেদ্ধ হয়ে গেলে পিচ করা ডিমগুলো দিয়ে দিলাম তরকারির মধ্যে।এখন ফুটিয়ে নেব আরো 5 মিনিট ধরে।
শেষ ধাপঃ
5 মিনিট ফুটিয়ে নেওয়ার পর তরকারীটি একটি পাত্রে ঢেলে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুশাকের রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন মজাদার রেসিপিটি ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
দিদি কচু শাখে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে ৷ আপনি তো দেখি অনেক সুন্দর ইউনিক রেসেপি শেয়ার করেছেন ৷ মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুশাকের রেসিপি দারুন ছিল ৷ ভালো লাগলো দিদি রেসেপি টি দেখে ৷
সত্যিই কচুশাক অনেক উপকারী।ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমেই অবাক হয়েছিলাম মাছের ডিমের পিজ্জার নাম শুনে। কচু শাক দিয়ে কখনো এভাবে খাইনি, এটা একদমই আমার কাছে ইউনিক একটি রেসিপি। পরিবেশন বেশ সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাইয়া, সময় পেলে অবশ্যই এভাবে তৈরি করে খাবেন।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আইডিয়াটা দারুন ছিল মাছের ডিমের পিজ্জা তার সাথে কচুর শাকের দারুন একটা রেসিপি করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আসলে সবাই দেখছি এখন ইউনিক ইউনিক রেসিপি তৈরি করছে যেগুলো স্বাদ ভিন্ন অনেক ভালো লেগেছে।
ভাইয়া, আমি বরাবরই চেষ্টা করি ইউনিক রেসিপি তৈরি করার নিজের মনমতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
মাছের ডিম যেভাবেই রেসিপি প্রস্তুত করা হোক না কেন খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।।
মাছের ডিম আর কচু শাকের মিশ্রনের পিজ্জা প্রস্তুত করেছেন দেখেই ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।।
খেতে যে খুব মজাদার হয়েছিল এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।।
সুযোগ পেলে অবশ্যই এভাবে এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুর শাকের এরকম একটা লোভনীয় রেসিপি দেখে, জিভে জল চলে আসলো দিদি। আপনার মত মাছের ডিম খেতে আমিও অনেক বেশি পছন্দ করি। মাছের ডিম আমারও অনেক বেশি পছন্দের। মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুর শাকের রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। খুবই ইউনিক ছিল আপনার রেসিপিটা বলতে হয়। ভাবছি এই রেসিপিটা একবার তৈরি করে দেখব, টেস্টটা তো করতেই হয়। সম্পূর্ণ রূপে এত সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
অবশ্যই তৈরি করবেন আপু,বেশ স্বাদের রেসিপি এটা।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
মাছের ডিম দিয়ে যেভাবে পিজ্জা তৈরি করা যায় সেটাই তো আমি জানতাম না। আর সেই পিজ্জা দিয়ে আবার কচুর শাকের এত চমৎকার একটি রেসিপি দেখে তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম আনকমন রেসিপি দেখলে আমার খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়।
এখন জেনে গেলেন ,এইবার খুব সহজেই বানিয়ে খাবেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু শাক আমার কাছে খুবই পছন্দের। বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে ঘন্ট করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার মাছের ডিমের পিজ্জা তৈরি করার আইডিয়া আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার উপরে আবার কচু শাক দিয়ে রান্না করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে যে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,কচুশাক দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি দারুণ খেতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
মাছের ডিমের পিজা দিয়ে কচু শাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে দেখে তাই শিখে নিলাম, পরবর্তী তৈরি করবে ইনশাআল্লাহ।
আপনি শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া,ধন্যবাদ।
মাছের ডিম দিয়ে কচুর শাক দিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছের ডিম দিয়ে কচুর শাক রান্না এরকম ইউনিক রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি। মাছের ডিম ভেজে পিজ্জা সেইফ তৈরি করেছেন এবং কচু দিয়ে রান্না করেছেন খুবই দুর্দান্ত লাগছে। মাছের ডিম খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। একদম ঠিক বলেছেন কচু অনেক উপকারী একটি সবজি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার ও মাছের ডিম পছন্দের জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুবই ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। মাছের ডিমের পিজ্জা দিয়ে কচুর শাকের রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় শুধু মাছের ডিমের পিজ্জা খেতেও অনেক সুস্বাদু। মাছের ডিম খেতে খুব ভালো লাগে তাই, এই পিজ্জা দেখে অনেক বেশি লোভ লেগেছে। আর এই পিজ্জা কচুর শাকের সাথে রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুবই দুর্দান্ত ছিল আপনার আজকের রেসিপিটা। অনেক ভালো লাগলো সম্পূর্ণ রেসিপিটা।
আপনার সুমতামত তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।