"চিংড়ি দিয়ে অসময়ের বিটকপি ভাজি রেসিপি"
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো"চিংড়ি দিয়ে অসময়ের বিটকপি ভাজি রেসিপি"।
আসলে বিটকপি একটি শীতকালীন সবজি।কিন্তু অসময়ে খেতে এটি বেশ ভালোই লাগে।যদিও এই সময় এর রংটা গারো লাল থাকে না।তো আজ বাজারে গিয়ে দেখি বিটকপি আছে সবজি দোকানে।একটু তাজা মনে হওয়ায় নিলাম কিনে 500 গ্রাম।দামটাও চড়া ছিল।অসময়ের সবজি খেতে কার না ভালো লাগে। তো চলুন রান্না শুরু করা যাক---
উপকরণ:
1.বিটকপি- 500 গ্রাম
2.চিংড়ি - 150 গ্রাম
3.লবণ - 1.5 টেবিল চামচ
4.হলুদ - 1 টেবিল চামচ
5.লঙ্কা - 7 টি
6.পেঁয়াজ ও রসুন কুচি - 1 টি ও 5 কোয়া
7.তেল - 4 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন- 1/2 টেবিল চামচ
9.জল - 5 টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রনালী:
◆ধাপঃ 1
1.আমি এখানে 500 গ্রাম বিটকপি নিয়েছি।এবার বিটকপির খোসাগুলি ছাড়িয়ে নিলাম।
2.বিটকপির খোসা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে বটির সাহায্যে কুচিয়ে নেব সবগুলো।
3.এবার দুই- তিন বার ধুয়ে নেব পরিষ্কার জল দিয়ে।
◆ধাপঃ 2
4.এরপর লঙ্কাগুলি কেটে নিয়ে, রসুন ও পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম।
◆ধাপঃ 3
5.আমি এখানে 150 গ্রাম চিংড়ি নিয়ে ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।তারপর পরিষ্কার করে কেটে নিয়েছি।কেটে নেওয়ার পর আবার ধুয়ে নিতে হবে জল দিয়ে।
◆ধাপঃ 4
6.প্রথমে আমি চুলায় একটি পরিষ্কার কড়া বসিয়ে তাতে 1/2 কাপ জল দেব।জলের মধ্যে এক চিমটি লবণ ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে জলটি হালকা ফুটিয়ে গরম করে নেব।এরপর তাতে কেটে রাখা চিংড়িগুলো দিয়ে দেব।জল পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে চিংড়ি নেড়েচেড়ে একটি পাত্রে ঢেলে নেব।
◆ধাপঃ 5
7.ওই একইকড়াইতে একটু তেল দিয়ে তার মধ্যে রসুন, পেঁয়াজ কুচি এবং পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেঁজে নিলাম।তারপর বিটকপি দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে জ্বাল দেব 10 মিনিট মতো। 10 মিনিট পর ভেঁজে রাখা চিংড়ি এবং কেটে রাখা লঙ্কা দিয়ে দেব।পরে আবারো একটু তেল দিয়ে নেড়েচেড়ে 10 মিনিট সময় জ্বাল করে নেব মিডিয়াম আঁচে।আমি এখানে আলাদাভাবে জল ব্যবহার করিনি।আমার বিটকপি ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
এবার আমার বিটকপি ভাজিটি পুরোপুরি রেডি এবং এটি নামিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।বিটকপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে।এছাড়া এটি শরীরের জন্য ভীষন উপকারী একটি সবজি, যা শরীরে রক্ত হতে সাহায্য করে।আশা করি আমার "চিংড়ি দিয়ে অসময়ের বিটকপি ভাজি রেসিপিটি" সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এলো। অনেক সুন্দর একটা রেসিপি। তবে এই রেসিপিটা আমি আগে কখনও দেখি বা এখনও খায় নাই। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে একদিন খেতে হবে।
ধন্যবাদ বোন এতো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
অবশ্যই একদিন খাবেন দাদা।ভালো লাগবে।আসলে এটি হালকা হালকা মিষ্টি লাগে খেতে।তবে এই বিটকপিতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুন আছে।আর এটি মূলত এই সময়ের সবজি নই, শীতকালের সবজি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ বোন সবজিটা সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
দিদি বিটকপির কি অন্য কোনো নাম আছে?ঠিক চিনে উঠতে পারলাম না😔
এই সবজিটি বিটরুট নামেও পরিচিত।
হ্যাঁ, এই নামটি হতে পারে।তবে আমরা বিটকপি বলে চিনি।যাইহোক এক এক এলাকায় এক এক নাম হতেই পারে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বিটকপির অন্য কোনো নাম আছে কিনা আমার জানা নেই।তবে আপনি এটি অবশ্যই চিনবেন।কারণ এটি শীতকালের সবজি।ওলকপির সময়ে চাষ করা হয়।তখন এর গায়ের রং রক্তের মতো লাল থাকে।কিন্তু এখন অসময়ের বলে গায়ের রঙটি পরিবর্তন হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা( @farhantanvir),আপনার মন্তব্যের জন্য।
জানানোর জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।❣️
নাহ এটা খাওয়ার কিংবা স্বাদ নেয়ার সুযাগ এখনো পাই নাই, তবে দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদের হবে। দেখা যাক সুযোগ মতো এটার স্বাদও চেক করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া, আমি যতদূর জানি এটি বাংলাদেশীদের কাছে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি শীতকালীন সবজি।কিন্তু আপনি এখনো এই সবজির স্বাদ গ্রহণ করেননি।সবাই একই কথা বলছে।ভাবতে কেমন অবাক লাগছে।যাইহোক অবশ্যই একদিন এর স্বাদ চেক করবেন।ভালো লাগবে।এটি খুবই স্বাদের।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিট দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজি এই প্রথম দেখলাম।খেতে নিশ্চয় ভালোই হয়েছে।সবাই বিট খায় আর আমি এটা মাথায় নেই। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, আপু এটি খেতে খুবই ভালো হয়েছিল।বিটকপি ঝোল করেও খাওয়া যায়, কিন্তু আমরা ভাজিটাই বেশি পছন্দ করি।আর এটি মাথায় চুলের কালারের জন্য ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আমার সবসময় প্রিয় একটি রেসিপি। খুব পুষ্টিগুন সম্মত রেসিপি। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, দাদা সত্যি এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।ধন্যবাদ দাদা।
খুবই মজাদার এবং পুষ্টিকর একটি খাদ্য বানিয়েছ, দেখতে খুব সুন্দর লাগছে ধন্যবাদ তোমাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ খুবই আনকমন একটি রেসিপি মনে হচ্ছে। আগে কখনো খাইনি আমি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
এটি আমার কাছে খুবই আচার্য্যজনক।যে বাংলাদেশের মানুষরা এটা চেনে না বা খায়নি। কেনোনা বাংলাদেশে শীতকালে প্রচুর পরিমানে ওলকপির পাশাপাশি বিটকপি ও চাষ করা হয়।আমার বিশ্বাস, আপনি ও এটি খেয়েছেন দাদা।শুধু অসময়ে বিটকপির গায়ের রঙ পরিবর্তনে আনকমন মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ দাদা,আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।