"অভাবকে ভালোবাসুন" (10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে আমার কিছু অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি।সেটি আপনাদের অনেকের চিন্তাধারা ও মনের সঙ্গে মিল ও অমিল হতেও পারে।যাইহোক আমি এইসব চিন্তাভাবনা নিয়ে কম লেখালেখি করি।কারণ আমি অঙ্কন, রেসিপি ,টুকটাক কাঁচা হাতের ফটোগ্রাফি ও মাঝে মাঝেই কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করি।তবুও মাঝে মাঝে আমার মন চায় কিছু ভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করতে।
যেটি আমাকে চিন্তা করতে সাহায্য করে,
ভাবতে সাহায্য করে এবং
হঠাৎ করেই ভাবাতে সাহায্য করে।
হঠাৎ করেই মাথায় ঘুরপাক খায় আরকি!তো আমি আজ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি অবশ্যই আপনারা নিশ্চয়ই টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন।তো চলুন শুরু করা যাক---
অভাব বা অভাববোধ
আমার চিন্তাশক্তি বলে অভাববোধ বলতে কোনো কিছুর প্রয়োজনীয়তাকে বোঝায় অর্থাৎ যেটা নিজের কাছে থাকে না।কিন্তু এই অভাববোধ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে।কারো কাছে কোনো কিছু না থাকার ফলে অভাববোধ হতে পারে আবার কোনো কিছু সল্প থাকার জন্য আরো পাওয়ার আশায় মনে অভাববোধের জন্ম নিতে পারে।তবে এই অভাববোধটা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বিদ্যমান আছে,সেটা কোনো কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।কম-বেশি হলেও অভাব জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। চলমান জীবন মানেই অভাববোধ থাকবে। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে সেই ব্যক্তির মনবাসনা ও চিন্তাভাবনার উপর ভিত্তি করে।কিন্তু আমি বলবো অভাবকে ভালোবাসুন এবং অভাবকে জীবনের সঙ্গী করুন।
অভাবকে ভালোবাসতে শিখুন
আমরা সবাই মানুষ এটিই আমাদের বড়ো পরিচয়।কিন্তু আমাদের সকলের অবস্থান একই রকম নয়, কেউ ধনী কেউবা গরিব। অভাব সবসময় চোখে দেখে বিচার করা যায় না।সাধারণভাবেই আমরা মনে করি গরিবদের ক্ষেত্রে বেশি অভাব থাকে,কারণ তাদের অর্থকষ্ট ও খাওয়ার কষ্ট থাকে। কিন্তু ধনী মানুষের অর্থনৈতিক অভাব না থাকলে ও মনের দিক থেকে অভাববোধ থাকতে পারে।এক্ষেত্রে আমাদের অভাবকে ভালোবাসতে শিখতে হবে, তবেই অভাব আমাদের জীবনের আসল মূল্য সম্পর্কে শিক্ষা দেবে।অভাবকে যতটা ভালোবাসা যাবে,অভাব ততটা আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে।
এক্ষেত্রে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই---
1.আপনি আপনার সন্তানকে কিছু না চাইতেই দিয়ে দিন,কিংবা 2.আপনার সন্তানেরা আপনার কাছ থেকে কিছু চাওয়ার পূর্বেই সেটির অভাব পূরণ হয়ে যায় অথবা 3.আপনার সন্তান যখন যেটি আবদার করে সেটিই সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যায়।তবে এক্ষেত্রে সেই সন্তানেরা অভাব সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারবে না বা অভাববোধের আসল ব্যাখ্যা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবে না।ফলে ভবিষ্যতে যখন কোনো অভাবের মুখোমুখি হতে হবে তারা সেটি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকবে না এবং মানসিকভাবে দুর্বলতাবোধ করবে।এভাবে অনেক সন্তানেরা ঝরে পড়ে তাদের জীবনের প্রকৃত মূল্য ও নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে। এখানে অভাববোধ মানে কাউকে না খেয়ে থাকা নয় কিংবা কোনো কিছু ব্যবহার না করাও নয়। তাই আপনি আপনার সন্তানকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কিছু না দিয়ে অভাববোধের মূল্য সম্পর্কে অবগত করুন।
অভাববোধের আসল মূল্য প্রতিষ্ঠিত
যখন একজন মানুষ তার অভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং সেটির প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে অবগত হবেন তিনিই জীবনে সফল বা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।জীবনে যারাই বড়ো কিছু হয়েছে বা জীবনে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা কোনো না কোনো অভাববোধের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন। অভাবের কষ্ট বা তাড়না তাদের মনের যন্ত্রণাগুলিকে আরো তীব্রতর করে তোলে।ফলে তার মধ্যে অভাববোধের একটি জেদ সৃষ্টি হবে, কোনো কিছু না পাওয়ার চাহিদা সৃষ্টি হবে এবং মনে প্রবল আকাঙ্খা জন্ম নেবে।যা তার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।অভাববোধ মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ,সহজ ভাষায় নিজেকে সাবলম্বী করে তোলার শিক্ষা দেয়।যেটি তার লক্ষ্য থেকে এক ধাপ উপরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।তাই অভাবকে ভালোবাসুন, জীবনের সঙ্গে লড়াই করে লক্ষ্য গড়ুন।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের অনুভূতিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনার এই লেখাগুলি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অভাব আছে বলেই সুখের এত মূল্য। যদি অভাব না থাকতো তাহলে এই সুখ শান্তি কে মূল্যহীন মনে হতো। একমাত্র অভাব আসলেই এর মূল্য উপলব্ধি করা যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো বলেছেন।
সীমিত সম্পদ এবং সীমাহীন অভাব । এই সীমিত সম্পদ এবং সীমাহীন আভাবের মধ্যে যদি সমাঞ্জস্য বিধান না করা যায় তবে কখনই মানসিক ভাবে পরিপূর্নতা পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত মনের ক্ষুধা একটি অভাব । সব কিছু থাকা সত্ত্বেয় মনের ভিতর যদি কোন পরিপূর্নতা না থাকে তবে সেটিও অভাব বলে বিবেচিত হবে। কেউ আর্থিক ভাবে কেউ মানসিক ভাবে কিংবা কেউ অন্য যে কোন ভাবে অভাব বোধ করে থাকে প্রতিনিয়ত। অভাব তৈরী হয় একের পর এক । এটা ইউনিভার্সেল ট্রুথ। সন্তানদের ছোট বেলা থেকে একটু অভাব বোধের মধ্যে বড় করলে তাদের মানসিক বৃদ্ধি হয় পরিপূর্ন । কারন তাড়া বুঝতে শেখে কোন কিছু পেতে হলে কি করতে হবে। লেখার বিষয়বস্তুু সুন্দর বাছাই করেছেন। শিক্ষনীয় একটি বিষয় এবং আমাদের এখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। ধন্যবাদ বোন। শুভেচ্ছা।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,সুন্দর কথা বলেছেন।
ভালো লেগেছে আপনার লিখনি।
সত্যিই অভাব না থাকলে অভাববোধ হতো না, আর অনেক তৃপ্তি নিয়ে কোন কিছু পাওয়া হতো না। অভাববোধ সত্যিই ভেতরে থাকতে হবে আর অভাবকেও ভালোবাসতে হবে 💜
চমৎকার সবকিছু 🪄
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে😊💐.
আপু আপনি খুবই সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু।আমাদের সকলের জীবনে অভাব অর্থাৎ কোনো কিছুর প্রয়োজনীয়তা থাকার প্রয়োজন রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে অভাব ছাড়া কেউ নাই এই পৃথিবীতে। যার যতো কিছুই থাকুক না কেন তার মধ্যে কোনো না কোনো দিক থেকে অভাব থাকবেই। এই অভাব বোধ যদি না থাকতো তাহলে মানুষ সৃষ্টি কর্তাকে ভুকে যেতো। আপনার অভাববোধের উদাহরণ অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর কথা বলেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much.💝🤗🥰