আমার বাগানের "সুস্বাদু কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলেই ভালো আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আর ও একটি রেসিপি শেয়ার করবো।আর সেটি হলো সকলের অতি পরিচিত।আমি করেছি আজ "কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি"।
বন্ধুরা, কুমড়ো আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল।যার কোনো কিছুই বাদ বা ফেলে দেওয়ার নয়।সবকিছুই খাওয়া যায় কিছুটা কচুশাকের মতোই সব কিছুই খাওয়ার উপযুক্ত।যেমন- কুমড়ো শাকের পাতা,ডাটা,কুমড়ো ফুল,কুমড়ো ফল এবং কুমড়ো ফলের দানাও খাওয়া যায়।এটি খুবই আয়দায়ক একটি সবজি।যা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।বিশেষ করে গর্ববতী অবস্থায় মহিলারা কুমড়ো শাকের ডাটা কিংবা ডাটা জাতীয় যেকোনো শাক খেলে মায়েদের শরীরে পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের গাঁয়ে ও লোম জন্মায়।কুমড়ো ফুল ভাজি,পকোড়া ও বড়া করে খাওয়া যায়।
কুমড়ো ফুলের 3 টি উপকারীতা:
1.কুমড়ো ফুলে ক্যালোরি থাকায় এটি খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
2.কুমড়ো ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং সর্দি- কাশিও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
3.মিষ্টি কুমড়ার ফুলে ফাইবার থাকায় হজমে সাহায্য করে।
উপকরণ:
1.কুমড়ো ফুল
2.আতপ চাউল বাটা - 1/2 বাটি
3.লবণ -1/2 টেবিল চামচ
4.হলুদ - 1/2 টেবিল চামচের কম
5.পেঁয়াজ কুচি - 2 টি
6.পাঁচফোড়ন - 1/2 টেবিল চামচ
7.আদা, রসুন ও জিরা বাটা - 3 টেবিল চামচ
8.কাঁচা ও শুকনো লঙ্কা বাটা - 3 টেবিল চামচ
9.সরিষার তেল - 100 গ্রাম
প্রস্তুতপ্রনালী:
ধাপঃ 1
আমার সবজি বাগানে খুবই অল্প কয়েকটি কুমড়ো গাছ লাগানো হয়েছে।কারণ এগুলি বেশি লাগানোর প্রয়োজন হয় না।একটি গাছেই অনেক জায়গা দখল করে।তো কয়েকটি কুমড়োগাছ মাটিতে এবং কয়েকটি ঘরের চালে তুলে দেওয়া হয়েছে।যাইহোক কুমড়ো গাছে প্রথমে অনেক পুরুষ ফুল ফুটেছে যেগুলো প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে তাই আজ বাগান থেকে কিছু কুমড়ো ফুল তুললাম।
ধাপঃ 2
কুমড়ো ফুলগুলো তোলার পর ও পতঙ্গ মধু সংগ্রহ করছে ফুল থেকে।এরপর আমি ফুলগুলির দুপাশ দেখে বেছে নেব এবং সব ফুলের ডাটা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রাখবো।
ধাপঃ 3
এরপর ফুলগুলো ভালোভাবে একটি একটি করে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।কারণ কুমড়ো ফুলের গায়ে প্রচুর পরিমানে পরাগরেনু লেগে থাকে।
ধাপঃ 4
এবার আমি জিরা,আদা ,রসুন,কাঁচা লঙ্কা এবং শুকনো লঙ্কা পরিমাণ মতো নিয়ে একসাথে শিল- নোড়ার সাহায্যে বেঁটে নিলাম।এরপর আমি যেহেতু বড়াতে বেসন ব্যবহার করবো না তাই এখানে ভিজিয়ে রাখা আতপ চাউল নিয়ে একইভাবে বেঁটে নেব।বেঁটে নেওয়া হয়ে গেলে লবণ, হলুদসহ সব উপকরণ একত্রে নিয়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
সব উপকরণ মেশানো হয়ে গেলে দুই-তিনটি ফুল নিয়ে তার গায়ে ভাগ ভাগ করে মিশিয়ে নিলাম মসলাগুলি।
ধাপঃ 6
এরপর চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি কড়া বসিয়ে তার মধ্যে তেল দিয়ে গরম করে নেব।তেল গরম হলে তিন -চারটি বড়া দিয়ে দেব তেলের মধ্যে।
ধাপঃ 7
এবার বড়াগুলি বাদামি রঙের করে ওলটপালট করে ভেঁজে নেব।তো এভাবে আমি সব বড়া ভেঁজে নিলাম।এরপর একটি পাত্রে বড়াগুলি রেখে দেব।
ধাপঃ 8
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি "সুস্বাদু কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি"।এটি এমনি কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সকলকে।
সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
কুমড়ো ফুলের বড়া আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে শীতের সময় বাড়ীতে গেলে আম্মু তৈরী করে দেয়। গরম গরম সেই স্বাদ লাগে। এছাড়াও ঢাকায় নিয়ে আসি, মাঝে মাঝে কিনেও আনি বাজার হতে দশটি ফুল পনের টাকায়। আমি রেসিপিও শেয়ার করেছিলাম, অনেক আগে। ধন্যবাদ
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটি গরম গরম খেতেই বেশি স্বাদ লাগে।কিন্তু আমি এটি শুনে অবাক হলাম যে ঢাকায় কুমড়ো ফুলের এত দাম।আমাদের এইখানে তো তেমন বিক্রি করতেই দেখি না,তবে শহরে থাকাকালীন বিক্রি হত দেখতাম কিন্তু এত দাম না।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার।বাসায় আম্মু খুব বেশি না বানালেও বাড়িতে গেলেই দাদি বানায় দেয়।টাটকা উপাদানের তৈরি গরমাগরম বড়া খেতে যা লাগে,কি বলবো।😋
খুব সুন্দর বানিয়েছেন দিদিভাই।ধন্যবাদ🥰
আপনার অনুভূতি শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
[বিশেষ করে গর্ববতী অবস্থায় মহিলারা কুমড়ো শাকের ডাটা কিংবা ডাটা জাতীয় যেকোনো শাক খেলে মায়েদের শরীরে পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের গাঁয়ে ও লোম জন্মায়।কুমড়ো ফুল ভাজি,পকোড়া ও বড়া করে খাওয়া যায়।]
আসলে আপনার এই পোস্টটা পড়ে আমি অনেক জিনিস জানতে পারলাম। এই এই বিষয়গুলো আমার জানা ছিল না। আমি অনেক উপকৃত হলাম। সত্যিইএ বড়াগুলো খেতে অনেক সুন্দর লাগে অনেক সুস্বাদু লাগিয়ে শাকসবজি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি আনন্দিত আপনাকে একটু উপকৃত করতে পেরে।এতে আমার লেখা পোষ্টের সার্থকতা।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বরাবরের মত তোমার থেকে একটা লোভনীয় রেসিপি উপহার পেলাম। খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছো দাদা,এটি খুবই সুস্বাদু।ধন্যবাদ দাদা।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি বানিয়েছ আপু, দেখতে খুব সুন্দর লাগছে, অনেক আগে একবার খেয়েছিলাম, অনেক ভালো লেগেছিল, ধন্যবাদ তোমার এই রেসিপির জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার মিষ্টি সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটা আমার খুব পছন্দের। তবে মিষ্টি কুমড়ার ফুল গুলো আমাদের এদিকে শীতকালে বেশি দেখতে পাই। গত শীতে আমি এই বড়া খেয়েছিলাম। আপনার এই রেসিপি দেখে এখন আবার খেতে মন চাচ্ছে কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের এলাকায় খুঁজে এই ফুল পাওয়া যাবে না।
দূর থেকেই জাস্ট ফিল নিতে হচ্ছে😋😋😋😊
ভাইয়া, কুমড়ো বারোমাসি সবজি।তবে আমাদের এই দিকে এখন বেশি পাওয়া যায় কুমড়ো ফুল।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অনুভূতি জানানোর জন্য।
আপু খেতে কেমন লাগে, এর আগে কখনো দেখেনি আমাদের এলাকায় কুমড়ো ফলের বড়া ধন্যবাদ এরকম রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া, এটি খেতে অনেক মজার।আপনি একদিন কোথাও পেলে খেয়ে দেখবেন ,ভালো লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বরাগুলোর রংটা খুবই চমৎকার ও লোভনীয় হয়েছে এগুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে আর গাছ থেকে ফুল ছিড়ে বড়া বানানোর মজাই আলাদা। খুবই ভালো হয়েছে তোমার কুমড়ার বরার রেসিপিটি।
ঠিক বলেছেন আপু।গাছ থেকে ফুল তোলার মজাটাই আলাদা।খুবই ভালো লাগে গাছে ফুল ফোঁটা দেখলে।আপু আপনি ও একদিন বানিয়ে ফেলুন।অনেক ধন্যবাদ আপু,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি টি আমি এই প্রথম দেখলাম এবং শুনলাম। আমাকে রেসিপিটি দারুন লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু।
কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে দারুন লাগেই আর বাগানের ফসল যখন আরো ভালো লাগবেই। কোনো কেমিক্যাল ছাড়াই।
চালের গুঁড়ো দিলেই সবচাইতে মুচমুচে হয়, যা এরারুট দিয়েও আসে না।
ঠিক বলেছেন দাদা।চালের গুঁড়োতেই বেশি স্বাদ হয় বলে আমাদের বাড়িতে সবসময় চালের গুঁড়াই ব্যবহার করা হয় কুমড়ো ফুলের বড়াতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ! খুবই ভালো। সবচাইতে যেটা ভালো লাগলো ব্যবহার করার জন্য রান্নার আগেই বানিয়ে চালের গুঁড়ো বানিয়ে নাও।
হ্যাঁ, দাদা চালের গুঁড়া আমাদের কখনো বাজার থেকে কেনা হয় না, সবসময় বাড়িতে গোটাচাল ভিজিয়ে রেখে শিল-নোড়া দিয়ে হাতের সাহায্যে বেঁটে নেওয়া হয়।
ওটাই ভালো। আগে আমাদের বাড়িতে ঢেঁকিতে চাল কোটা হতো, তবে লোকাভাবে ব্যবহার আর হয় না
আমি ছোটবেলায় দেখেছি দাদা ,ঝিমার বাড়ি মানে আমার মায়ের দিদিমার বাড়িতে ।এখন ও সেটি রয়েছে তবে যাওয়া হয় না অনেক দিন।