ক্যানেল থেকে ধরা "দেশি পুঁটি মাছের টক রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও ভালো আছি।তাই আজ নতুন টক জাতীয় একটি রেসিপি শেয়ার করতে চলে আসলাম আপনাদের সামনে আমি @green015.কি বন্ধুরা, টকের কথা শুনেই জিভে জল চলে আসে তাই না?আমার তো টকের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে।
আজ সকালে আমাদের বাড়ির সামনে ক্যানেল থেকে খাপ জাল দিয়ে কিছু মাছ ধরেছিলাম।তাই কিছু দেশি পুঁটি মাছ ও একটি কৈ মাছ পেয়েছিলাম। পুঁটি মাছ আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়।যেমন-জাপানি পুঁটি, সরপুটি,চাঁদা পুঁটি ও দেশি পুঁটি ইত্যাদি।তাই আমি পেয়েছি দেশি পুঁটি মাছ।যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষন উপকারী একটি মাছ।এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে এই ছোট ছোট মাছ খাওয়ার ফলে।চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।এই মাছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ আছে এবং ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে।সবসময় আমাদের পুঁটি মাছ পেলেই ঝোল কিংবা ভাজি খাওয়া হয়।তাই আজ পুঁটি মাছ দিয়ে নতুন রেসিপি করবো বলে ভাবলাম।পুঁটি মাছের অনেক রেসিপি করা যায়।তাই আজ আমি করেছি " দেশি পুঁটি মাছের টক রেসিপি"।
"দেশি পুঁটি মাছের টক রেসিপি" খেতে অনেক মজার।কারণ এতে তেঁতুল দেওয়ার ফলে মুখে একটা আলাদা রুচি আসে খাওয়ার প্রতি রুচি বাড়ে।এছাড়া তেঁতুল মিশ্রিত হওয়ায় খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি হজমে সাহায্য করে।অনেকেই বিভিন্ন ধরনের টক খেতে পছন্দ করেন।কিন্তু এই পুঁটি মাছের টক খেতে অনেক স্বাদের হয় অনেকে কাঁকড়ার টক ও খেয়ে থাকেন।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণ:
1.পুঁটি মাছ - 150 গ্রাম
2.পুরনো তেঁতুল - 2 টেবিল চামচ
3.লবণ - 1.5 টেবিল চামচ
4.হলুদ - 1 টেবিল চামচ
5.শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো - 1.5 টেবিল চামচ
6.গরম মসলা গুঁড়ো - 1/2 টেবিল চামচ
7.গোটাসরিষা - 1.5 টেবিল চামচ
8.সরষের তেল - 150 গ্রাম
9.জল পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালী:
ধাপঃ 1
বন্ধুরা, মাছগুলো জ্যান্ত অবস্থায় একটি পাত্রে ঘোরাফেরা করছে।
ধাপঃ 2
পুঁটি মাছ যেহেতু নরম ধরনের মাছ সেহেতু এরা বেশি সময় কম জলে বেঁচে থাকতে পারে না।আমি এর মধ্যে পুঁটি মাছের সঙ্গে একটি কৈ মাছের বাচ্চা ও পেয়েছিলাম।
ধাপঃ 3
কৈ মাছের বাচ্চা অনেক সময় বেঁচে থাকতে পারে।তাই আমি একে আমাদের বাড়ির পুকুরে ছেড়ে দেব।
ধাপঃ 4
পুকুরে ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তটি ফোনে ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
ধাপঃ 5
এরপর আমি পুঁটি মাছগুলো বটির সাহায্যে কেটে নিলাম।তারপর ধুয়ে নেব জল দিয়ে 2-3 বার।
ধাপঃ 6
পুঁটি মাছগুলি ধুয়ে নেওয়ার পর মাছগুলোর গায়ে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নেব ভালোভাবে।
ধাপঃ 7
এরপর চুলায় একটি কড়া বসিয়ে তাঁর মধ্যে তেল দিয়ে নেব।তেল ভালোভাবে গরম হয়ে গেলে লবণ ও হলুদ মেশানো মাছ তেলের মধ্যে দিয়ে দেব।এবার একটি চামচের সাহায্যে ওলটপালট করে ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 8
তো মাছগুলো আমার ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেছে।এরপর ভাজা মাছের মধ্যে কিছুটা পুরোনো তেঁতুল দিয়ে দিলাম।আমি রেসিপিটিতে কোনো পেঁয়াজ বা রসুন ব্যবহার করবো না।
ধাপঃ 9
এবার কড়াতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তার মধ্যে কিছু গোটা সরিষা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব।এরপর ভেঁজে রাখা মাছগুলো ও তেঁতুল দিয়ে পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো এবং গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে মাছের সঙ্গে মিশিয়ে নেব।মেশানোর পর পরিমাণ মতো জল দিয়ে দেব এবং চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ফুটিয়ে নেব ভালোভাবে 7 মিনিট ধরে মিডিয়াম আঁচে।7 মিনিট পর একটি পাত্রে নামিয়ে নেব তরকারীটি।
ধাপঃ 10
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের মজাদার রেসিপি " দেশি পুঁটি মাছের টক"।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি।পুঁটি মাছের টক এই রেসিপিটি আমি এই প্রথম শুনলাম।মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ, আপু খেতে ভালোই লাগে।আপনি একদিন করে দেখবেন এভাবে।ধন্যবাদ আপু,আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে। তবে আমি পুটি মাছের অনেক রেসিপি খেয়েছি,কিন্তু পুটি মাছের টপ রেসিপিটা খাই নাই। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে মন চাচ্ছে। শুভ কামনা বোন।
এবার বাড়িতে গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।ভালো লাগবে ।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর অনুভূতি প্রকাশের জন্য।
দিদি আপনাদের মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন রেসিপি পাচ্ছি। এই রেসিপিটা সম্পুর্ন নতুন আমার কাছে। তবে একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে আজ দুপুরে আমিও পুটি মাছ ভাজি দিয়ে ভাত খেয়েছি। পুটি মাছ ভাজি আমার কাছে খুব মজা লাগে। তবে আপনার মতো এমন রেসিপি কখনো চেষ্টা করা হয়নি। আপনার রান্নাটি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, মনে হচ্ছে আপনার নিত্যদিনের খাবারের সঙ্গে আমার রেসিপিগুলি মিলে যাচ্ছে।কারণ কাল লইট্টা মাছ আজ পুঁটি মাছ দারুণ মজার ব্যাপার।তবে আপনি এভাবে ও চেষ্টা করে দেখতে পারেন একবার।ভালো লাগবে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া,সুন্দর মন্তব্য দ্বারা আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
এক সময় প্রচুর পুঁটি মাছ আমি নিজেও ধরেছি, মাছ ধরার মাঝে বেশ আনন্দ পাওয়া যায়, বেশ ভালো লাগে। আর টকজাতীয় রেসিপিগুলো আমার কাছে দারুন লাগে। তবে আমরা চালতা দিয়ে তরকারি টক করার চেষ্টা বেশী করি। আজকের রেসিপিটিও দারুন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
ভাইয়া, যেকোনো মাছ ধরা ভীষন মজার।মনে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।রেসিপিটি খুব স্বাদের হয়েছিল খেতে।আপনি ও একদিন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতের দ্বারা আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
খুবই পুষ্টিকর মাছ। রেসিপি খুব ভালো ছিলো। ধন্যবাদ বোন।
তোমাকে ও ধন্যবাদ আমার দাদা।
পুটি মাছ আমার অনেক পছন্দের মাছ। আর রেসিপি টা দেখে আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেল আপু আর আমি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।
আমি আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুশি হলাম।ভালো থাকবেন ভাইয়া।
জি আপা দোয়া করবেন।
পুঁটি মাছ ভাজি আমার খুব পছন্দের। একটু বেশি কাটা থাকায় ভাজি করলে বেশি ভালো লাগে। এবং পুটি মাছের টক এই রেসিপির সাথে আমরা একেবারেই অপরিচিত। তবে যেকোনো টক জিনিস আমার ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদের হয়েছে। খুব সুন্দর রেসিপি দিদি।
এটি খুবই স্বাদের রেসিপি ভাইয়া।আপনি ও একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।ভালো লাগবে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
অবশ্যই ট্রাই করব। ধন্যবাদ।
খুব ভালো একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দিদি। আমার খুব প্রিয় একটা রেসিপি, দেখে জিভে জল এসে গেলো। তবে আমার আম্মু তেঁতুলের জায়গায় কাঁচা জলপাই কেটে দিতো।
আমরা সবসময় তেঁতুল কিংবা আম দিয়েই খাই।আপনি ও এভাবে খেয়ে দেখতে পারেন।রেসিপিটি আপনার প্রিয় শুনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
খুব ভালো ও আনকমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। পুটি মাছ এভাবে করে কখনো খাই নি।আর আপনার মাছগুলো দেখলেই লোভ লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন এভাবে করে খেয়ে দেখবেন আপু।ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন আপু।ধাপে ধাপে উপস্থাপন করায় পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে।
জীবিত মাছ গুলো থালাতে খুব ভালো লাগছিল।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার পোস্টটির সার্থকতা ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।