"একই ধাঁচের কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"একই ধাঁচের কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
একই ধাঁচের কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
প্রত্যেকটি পেইন্টিং একই ধাঁচের দেখতে লাগলেও কিছুটা ভিন্ন মাত্রা ও আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এখানে একই ধরনের প্রতিচ্ছবি দুইভাবে পেইন্টিং করা হয়েছে।রঙিন এবং কালো দৃশ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি মহিলা তার ছাগলের গলায় থাকা দড়ি ধরে টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।যেমনটি গ্রামে দেখা যায়।
এখানে ন বর্ণের একটি ছন্দ মিল দেওয়া হয়েছে।আসলে ছাগলটি কিছুতেই বাড়ি যেতে চাইছে না সেটারই প্রতিচ্ছবি এটা।প্যান্ডেলের থিম যেহেতু সহজপাঠ ছিল তাই অনেক বর্ন ছন্দের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।যাতে বাচ্চারা মজার ছলে পড়তে উৎসাহ পায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম সংস্করন।
এই ছবিটি হচ্ছে দুটি ময়ূরের প্রতিচ্ছবি।ময়ূর দুটি ডানা মেলে বিপরীত দিকে মুখ করে বসে আছে।এখানে একটি কালো ও একটি রঙিন প্রতিচ্ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।এই আর্টগুলি নিঃসন্দেহে অনেক দক্ষতা দিয়ে করা হয়ে থাকে।
এখানে কিউট কৃষ্ণ বা গোপালের কালো দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।আসলে গোপাল আমাদের খুবই প্রিয়।আর তার একদম বাল্যবেলার দৃশ্য এখানে ফুটে উঠেছে।গোপালের গায়ে রয়েছে অনেক অলংকার ও মাথায় রয়েছে ময়ূরের পালক।
এখানে একটি ভুতুড়ে বাড়ির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।অর্থাৎ পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদে শেওলা ও আগাছা জমেছে আর পাশেই ঝোপ-ঝাড়ে ভরে গেছে।
এখানে একজন মহিলার রান্নার দৃশ্য ফুটে উঠেছে।অর্থাৎ একজন মহিলা কাঠের জ্বলন্ত আগুনে মাটির উনানে ভাত রান্না করছে।আর হাঁড়িতে একটি কাঠি দিয়ে নাড়ানো হচ্ছে ও তার উপর থেকে ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে এমনটাই দেখানো হয়েছে।আগে হলুদ রঙের কাগজের উপর অঙ্কিত এই ছবিটি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।
এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজ পাঠে প্রথম ভাগ ,দ্বিতীয় ভাগ ও তৃতীয় ভাগের সুন্দর দৃশ্য পেইন্টিং ও বর্ণের মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।এখানে তৃতীয় ভাগের উল্লেখ করা হয়েছে গাছের একটি প্রতিচ্ছবিও রয়েছে মাঝে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,পুলিশ লাইন |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
ফটোগ্রাফির মজাই তো এরকম। অনেকদিন পরেও সেই সময়টাতে ফিরে যাওয়া যায়। এজন্যই তো পূজা শেষ হয়ে গেলেও পুরনো ছবিগুলো দেখে সেই সময়টাতে ফিরে যেতে পেরেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের পেন্টিং এর খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।। পেইন্টিং গুলো আসলেই একেবারে ভিন্ন ধরনের লেগেছে আমার কাছে। দেখতেও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু,সত্যিই পূজা শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ যেন থেকে গেছে আগের মতোই।ধন্যবাদ আপনাকে।
দুর্গাপূজা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও স্মৃতিগুলো আপনার ফোনে রয়ে গেছে। আর আপনার ফোনে রয়ে গেছে জন্যই আমরা এত সুন্দর কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ পেলাম।
ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু,সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য।
আপনি তো একই ধাঁচের কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করলেন। আসলে আপনাদের দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাবার পরেও তার অনেক সুন্দর কিছু স্মৃতি আপনি আপনার ফোনের মধ্যে ধরে রেখেছেন দেখে এটা বেশ ভালই লাগলো। আমাদের যা কিছু সবচেয়ে বেশি প্রিয় থাকে সেগুলোই আমরা সবসময় আমাদের ফোনের মধ্যে বন্দী করে রাখার চেষ্টা করি। আসলে কখনো কখনো মনে পড়লে স্মৃতিগুলো দেখা যায়। এই ধরনের পেইন্টিং গুলো কাগজের মধ্যে অথবা কাপড়ের মধ্যে করা হয় সেটা জানতে পেরে আরো ভালো লাগলো। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের কিছু পেইন্টিং দেখতে পারলাম আজকে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত পেয়েও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।