"সুন্দরবনের কেওড়া ফলের স্পেশাল মজার শরবত রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন একটি ভিন্ন স্বাদের শরবত নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো -"সুন্দরবনের কেওড়া ফলের স্পেশাল মজার শরবত রেসিপি"।
যেকোনো শরবত পান করলে তৃপ্তি পাওয়া যায় শরীরে।তাছাড়া গরমে এক অদ্ভুত প্রশান্তি ও কাজ করে মনে।কিন্তু এই শরবত একদম ভিন্ন স্বাদের ,যেটি কোনো বাজার বা দোকানে পাওয়া যাবে না।এছাড়া এটি একটি সিজনারী সুন্দরবনের ফল।এটা খেতে টক জাতীয়,তাই এই ফলের শরবত গরমে বেশ আরামদায়ক।কয়েকদিন আগেই আমার এক দাদু বেড়াতে এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে সুন্দরবন থেকে।আমার আবদারে তিনি কিছু কেওড়া ফল এনেছিলেন।ছোটবেলায় এই ফলের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।যেটি অনেক বছর পর পেয়ে খুবই ভালো লাগছিল।আশা করি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।তো চলুন শুরু করা যাক---
◆◆উপকরণ:
1.কেওড়া
2.চিনি
3.লবন
4.জল
5.গোলমরিচ গুঁড়া
◆◆প্রস্তুতপ্রণালি:
ধাপঃ 1
●●প্রথমে আমি কিছু কেওড়া নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
●●কেওড়াগুলির মুটকি ফেলে দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে।
ধাপঃ 3
●●এরপর পরিমাণ মত একটি পাত্রে জল নিয়ে নেব।তারপর চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দেব।
ধাপঃ 4
●●এবারে কেওড়াগুলি হালকা করে সেদ্ধ করে নেব।কেওড়ার গায়ে হালকা ফাটল ধরলে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
●●তো আমার কেওড়া সেদ্ধ করা হয়ে গেছে ।এখন ঠান্ডা হতে রেখে দেব কিছুক্ষণ।
ধাপঃ 6
●●সেদ্ধ কেওড়াগুলি ঠান্ডা হয়ে গেলে হাত দিয়ে কেওড়ার দানা ফেলে দেব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে।
ধাপঃ 7
●●এরপর কেওড়ার খোসা চটকে রস বের করে নেব।
ধাপঃ 8
●●তো আমার কেওড়ার রস বের করে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 9
●●এখন আমি একটা পাত্রে পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
●●এরপর কয়েকটি গোলমরিচের দানা নিয়ে বেঁটে গুঁড়া করে নিলাম।
ধাপঃ 11
●●এবারে কেওড়ার রসের মধ্যে সামান্য লবণ ও স্বাদ অনুযায়ী চিনি মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 12
●●একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম কেওড়ার রস।
ধাপঃ 13
●●সবশেষে আমি কেওড়ার রস একটি গ্লাসের মধ্যে ঢেলে নিয়ে উপরে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে দিলাম।তৈরি হয়ে গেল আমার শরবত রেসিপি।
সর্বশেষ ধাপঃ
●●তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল"সুন্দরবনের কেওড়া ফলের স্পেশাল শরবত রেসিপি"।এটি খুবই টেস্টি ও মজাদার একটি পানীয় তৃপ্তি মেটানোর জন্য।এবারে এটি পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের শরবত রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
হ্যাঁ ভাইয়া, এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি স্বাদ।আর এটা কোনো দোকানে ও পাওয়া যাবে না,শুধুমাত্র সুন্দরবন এলাকায় বা সুন্দরবনে এই ফল পাওয়া যায়।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু কেওড়া ফলের নাম আমি অনেক শুনেছি বইতে কিন্তু বাস্তবে কখনো দেখা হয়নি ।এমনকি এর শরবত তৈরি করা যায় এটাও জানতাম না ।আপনার দাদু সুন্দরবন থেকে ফিরে আপনাদের আবদারে কিছু কেওড়া ফল নিয়ে এসেছিল। যা দিয়ে আপনি চমৎকার শরবত বানিয়েছেন ।আর এই ফলটি যে টক বুঝাই যাচ্ছে কতটা চমৎকার হয়েছে।
হ্যাঁ আপু, ফলটি টকযুক্ত।তবে খেতে খুবই মজার, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন দিদি টক জাতীয় শরবত গরমে খেতে আরামদায়ক। তবে দিদি এই কেওড়া ফলের শরবত আমি কখনো খায়নি। আপনার শরবত দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আশাকরি একদিন অবশ্যই তৈরি করব।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই কেওড়া ফলের শরবত শেয়ার করার জন্য।
সুযোগ পেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
কেওড়ি আমি নিজে সরাসরি কখনো দেখিনি তবে এটার কথা অনেক শুনেছি। সুন্দরবনে অনেক পাওয়া যায় এটা। কেওড়া একটু টক জাতীয় হয়ে থাকে। কেওড়া এর জুসটা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দিদি। জুস এর কালারটা তো বেশ এসেছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ইউনিক একটা জুস এর রেসিপি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ ভাইয়া, কেওড়া ফলের জুস খুবই টেস্টি ও দারুণ কালার।আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তাদের কাছে বেশ ভালো একটি আবদার করেছেন আপনি। আপনার জন্য সুন্দরবন থেকে কেওড়া ফল নিয়ে এসেছে।
আপু কখনো আমি খাইনি এই শরবতের টেস্ট সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই। টক শরবত খেতে ভালো লাগে। আচ্ছা এটা কি ফ্রিজে রাখলে অর্থাৎ ঠান্ডা করে খাওয়া সম্ভব?
হ্যাঁ আপু,এটা যেমন খুশি তেমন খাওয়া যায়।বরফ দিয়ে ও খাওয়া যায়, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.
Thank you💝.
দিদি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে কেওড়া ফল দেখতে পেলাম আগে কখনো এই ফল দেখা হয়নি। তবে এর নাম অনেক শুনেছি আর ঠিক বলেছেন গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেলে খুবই ভালো লাগে। যদি ভিন্ন স্বাদের শরবত হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কেওড়া ফল দিয়ে শরবত বানিয়েছেন। এই শরবত কখনো খাওয়া হয়নি তার জন্য এটি খেতে কেমন হয়েছে তা জানা নেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ,এটা খুবই সুন্দর টেস্টি ও ঘ্রানযুক্ত।তাছাড়া এটার স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দরবনের কেওড়া ফলের শরবত এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কিভাবে বানাতে হয় সেটাও আমি জানতাম না।আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর এই রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এইবার শিখে গেলেন অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু জীবনে কত ধরনের শরবত খেলাম কিন্তুু কেওড়া ফলের শরবত তো কখনো খেলাম না। এটি কোন বাজারে বা দোকানে পাওয়া যায় না বলেই এখনো খেতে পারলাম না। তবে এখন তো কেওড়া ফল খেতে মন চাইতেছে। কোথায় পাবো আপু।
সুন্দরবনের ফল এটি ভাইয়া সুতরাং সুন্দরবন এলাকায় পাবেন।ধন্যবাদ আপনাকে