"শীতকালে খেজুর মাতি খাওয়ার গল্প"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি আমার আজকের লেখা ব্লগটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
শীতকালে খেজুর মাতি খাওয়ার গল্প:
কি বন্ধুরা,
অবাক হলেন কিছুটা !
শীতকাল মানেই অন্যরকম অনুভূতি, অন্যরকম গল্প।শীতকালে সাধারণত সবার মুখে একটি অনুভূতিরই কথা খেজুর রস খাওয়া।কিন্তু আমি নিয়ে এসেছি খেজুর গাছের মাতি খাওয়ার ভিন্নরকমের অনুভূতি নিয়ে।আসলে ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেশ বড় বড় খেজুর গাছ কেটে মাতি খাওয়া হতো।খুবই মজার খেতে খেজুর মাতি,একটু মিঠে মিঠে। অনেকে আবার খেজুর গাছের মাতি দিয়ে রেসিপি ও বানিয়ে থাকেন।যারা গ্রামে থাকেন তারা এই আনন্দটা অবশ্যই উপভোগ করে থাকবেন।কিন্তু অনেক বছর হলো আমার খেজুর মাতি খাওয়া হয় না।
গতদিনের কথা।আমাদের ক্যানেল রাস্তার পাশে বেশ অনেকগুলো সারি সারি খেজুর গাছ রয়েছে।কিন্তু রাস্তার পাশে জমিও রয়েছে তাই কয়েকটি ছোট ছোট খেজুর গাছ দানা পড়ে এমনিই কর্মের অযোগ্য হয়ে বেড়ে ওঠেছে সেখানে।এতে জমি করতে ও যেমন অসুবিধা তেমনি ক্ষতিকারক।তাই খেজুর গাছের প্রাধান্য থাকলেও এক্ষেত্রে কোনো গুরুত্ব নেই। খেজুর গাছের কাঁটাযুক্ত পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জমির উপর।যদিও জমিটা আমাদের নিজস্ব নয় তবুও আমার বাবা সেটা চাষ করে থাকেন।তাই বাবা শাবল দিয়ে খেজুর গাছটি উপড়ে ফেললেন।আসলে অযোগ্য কিছু না রাখাই ভালো।ফলে আমার বাবার সাহায্যে খেজুর গাছের কাঁটাযুক্ত পাতা কেটে ফেলে দিলাম প্রথমে দা এর সাহায্যে।তারপর মাঝবরাবর কেটে ফেললাম।যদিও গাছটি খুবই ছোট তাই মাতি সামান্য হওয়াটাও স্বাভাবিক। খুবই স্বল্প মাতি হয়েছিল তাতে,আমি ছুরির সাহায্যে তা একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।মাতি বেশি সময় ধরে রেখে দিলে সাদা রঙের থেকে লাল রঙের হয়ে যায়। কিন্তু অনেক বছর পর খেতে পেরে বেশ ভালো লাগছিল।তাই স্বল্প মাতি খেয়েই তৃপ্তি মেটালাম বলাই যায়।
আশা করি আমার আজকের লেখা ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
খেজুরের মাতি খাবার এই বিষয়টি দেখে আমার অনেকদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল দিদি। এগুলো খেতে অনেক মিষ্টি হয়ে থাকে। সব থেকে নরম গুলো খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। এটা ঠিক বলেছেন মাতিগুলো যদি বেশি সময় রেখে দেয়া হয় তাহলে সেটা সাদা রং থেকে লাল রঙে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
ভাইয়া, এটা অনেক ছোট তো তাই নরম অংশ কম হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে
মাতি, জিনিসটা কি আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তারপর ছবি দেখে বুঝতে পারলাম এটা গাছের ভেতরের নরম কোন একটা অংশ হবে। বোধহয় জিনিসটা মিষ্টি এবং নরম হবে তাই খাওয়া যায়, এই বিষয় সম্পর্কে আমার খুব একটা আইডিয়া নেই।
ভাইয়া, মাতি হলো খেজুর গাছের মাথার ভিতর থাকা সুন্দর শাঁস।ধন্যবাদ আপনাকে।
খেজুরের মাতি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। যাক আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম ভেতরের সাদা অংশ এবং এটি খাওয়া যায়। আপনি খাবারটি বেশ ভালো উপভোগ করেছেন দেখছি। ধন্যবাদ আপু এই খেজুরের মাতি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য।
মাতি হলো খেজুর গাছের মাথার ভিতর থাকা সুন্দর শাঁস।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আহ দিদি আপনার এই পোস্টটি দেখে আমার ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোটবেলায় অনেক খেজুরে মাথি খেয়েছি। এই মাথি খেতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে। আমরা ছোটকালে মাঠে ঘুরে বেড়াতাম এবং খেজুর গাছ গুলো দেখে বেড়াতাম। যদি কোন ছোট খেজুর গাছ দেখেছি সাথে সাথে কেটে তার মাথার দিক যে মাথি থাকে সেগুলো খেয়ে ফেলতাম। তবে মাছের মধ্যে যেগুলো চিকন লম্বা মত হয়ে থাকে যে মাঠেগুলো এই মাথাগুলো খেতে সব থেকে বেশি সুস্বাদু লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে করে দেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,চিকন লম্বা অংশটি মজার খেতে।কিন্তু এত ছোট গাছে হয়নি, ধন্যবাদ আপনাকে।
কি বলবো আপু খেজুর মাতি সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। খেজুরের রস অনেক খেয়েছি। তবে এভাবে কখনো খেজুর মাতি খাইনি। আপনার কাছ থেকে খেজুর মাতি খাওয়ার নতুন একটি পদ্ধতি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক মজার খেতে ,খেয়ে দেখবেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।