দূর করুন নিজেই নিজের হতাশা ( 10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।মাঝে মাঝে অনেক বিষয় আমাকে ভাবাতে সাহায্য করে, তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো কিভাবে হতাশা দূর করা যায় এবং আপনি নিজেই নিজের হতাশা দূর করতে পারেন।তো চলুন শুরু করা যাক---
হতাশা:
আমার চিন্তাভাবনা বলে হতাশা একটি মানসিক যন্ত্রণা, তবে এটি শুধু মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা মানুষের চিন্তাশক্তিকে লোপ করে বা বিকৃত করে মৃত্যুর দ্বার অব্দি পৌঁছে দিতে পারে।মানুষকে নিমিষেই দুর্বল করে দিতে পারে এবং কোনো একটি বিষয়ের সঙ্গে হাজারো বিষয় জড়িয়ে থাকতে পারে।সেই হতাশার মতো সমস্যার সঠিক সমাধান থেকে বের হয়ে আশা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।অনেকেই হতাশাই ভুগে খারাপ পথ বেছে নেন ফলে তাদের বাকি জীবনটা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় এবং অন্তরাত্মা ক্যানসারের মতো কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।ফলে তারা আরো হতাশার মধ্যে দিয়ে জীবন পার করে।
দূর করুন নিজেই নিজের হতাশা:
এমন অনেক মানুষ আছে তারা তাদের হতাশার কথা কারো সঙ্গে এমনকী কাছের মানুষের সঙ্গে ও শেয়ার করতে পারেন না।এছাড়া নিজে ও সমস্যা থেকে বের হতে পারেন না।সেক্ষেত্রে আপনি হতাশা থেকে খুব সহজেই বের হতে পারেন।যেমন-
1.আপনি আপনার ইচ্ছেশক্তিকে প্রাধান্য দিন
2.কোনো প্রাণীকে সময় কাটানোর বন্ধু/সঙ্গী করুন
3.গরিবদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে
ইচ্ছেশক্তি:
আপনি আপনার ইচ্ছেশক্তিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে পারেন।অর্থাৎ আপনার কি করতে বেশি ভালো লাগে মন থেকে আপনি কি করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন।যেমন সেটি হতে পারে --ভ্রমণ করা,পেইন্টিং করা,বই পড়া কিংবা রান্নার মতো কোনো কাজ।এতে আপনার চিন্তাশক্তি সেই কাজের মধ্যে বেশি ব্যয় হবে এবং দ্রুত আপনার হতাশা আপনার চিন্তাশক্তি থেকে দূরে সরে যাবে।
সময় কাটানোর প্রাণীবন্ধু:
আপনি আপনার হতাশার কথা আপনার কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারছেন না।সেক্ষেত্রে আপনি কোনো প্রাণী বন্ধুকে বেছে নিন।সেটা হতে পারে-পোষ্য কুকুর বা রাস্তার কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী।প্রাণীরা খুব সহজেই মানুষের আপন হতে পারে যেটা কোনো কিছু দ্বারা পরিমাপ করা যায় না।এছাড়া তারা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে সহজে এবং অনেক ভালোবাসা দিতে পারে।যা আপনার মনের দুঃখ বা হতাশাকে অনেকখানি দূরে সরিয়ে দেবে।
গরীবদের সাহায্য করা:
আপনি যখন খুবই হতাশার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাবেন তখন আপনি চলে যেতে পারেন সেই গরিবদের কাছে।যারা খুবই কষ্টে দিন কাটায়, যেটা আপনার মনকে শান্ত করে আপনি অনুপ্রেরণা পাবেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করে।তারা আপনার থেকে বেশি কষ্টে দিন যাপন করেন তাদেরকে সাহায্য করে মনকে প্রশান্তি দিন।আপনি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবেন এবং হতাশা থেকে বের হতে পারবেন খুব সহজেই।
আশা করি ,আমার হতাশা সম্পর্কে ব্যক্ত করা অনুভূতিগুলি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আসলে আমরা যখন হতাশায় ভোগি, তখন আমরা সবসময় একা থাকার চেষ্টা করি,কিন্তুু ঐ সময় যদি আমরা মানুষের মাঝে থাকি তাহলে হতাশা কিছুটা কমে যায়।আমি আমার কথায় ধরি কিছুদিন আগে পারিবারিক কারনে অনেক হতাশায় ভোগছিলাম,তারপর সব সময় নিজেকে অসহায় লাগলো,সময় কাটতো না।তারপর আামর বাংলা ব্লগের সন্দান পেলাম, তারপর শুর কিভাবে কিভাবে সময় কেটে যায়,টের পাই না।আসলে প্রাণীরা খুব সহজেই মানুষের বন্ধু হতে পারে।তবে একটা কতা ঠিক গরীবদের সাহায্যর মাঝে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এখানে আপনি আপনার ভালো লাগার বিষয়গুলি তুলে ধরছেন অর্থাৎ আপনার চিন্তাশক্তি সেই কাজের দ্বারা অতিবাহিত হচ্ছে।মানুষের মধ্যে থেকে নয়, ভালো লাগার কাজগুলির প্রতি প্রাধান্য এর জন্য হতাশা কমে যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
নিজেই নিজের হতাশা দূর করার যে তিনটি কারণ আপনি উল্লেখ করেছেন। এই তিনটি কারণ যুক্তিকতা আছে।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি বিষয়গুলো আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।অনুপ্রেরণা পেলাম, চেষ্টা করেছি মাত্র নিজের উপলব্ধি তুলে ধরার।
হতাশা কাটানোর যুক্তিযুক্ত কারন গুলো আপনি খুব সুন্দর বর্ননা করেছেন ♥️
তবে আমি মনে করি হতাশা দূর করার জন্য নিজেকে নিজের মোটিভেট করতে হবে সবথেকে বেশি।
যাক চমৎকার একটি পোস্ট ছিলো দিদি 💚
এগিয়ে যান দোয়া রইল 🥀
একদম ভাইয়া👍।আপনি যখন আপনার কাজটি মনযোগ দিয়ে করবেন সম্পূর্ণ চিন্তাশক্তি লাগিয়ে তখন হতাশা কম প্রাধান্য পেয়ে দূরে সরে যাবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। মানসিক যন্ত্রণা বলুন বা হতাশা বলুন এটি আমাদের জন্যে অত্যান্ত খারাপ একটি বিষয় ।আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ করে দেয় আমাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে বিলুপ্ত করে। এই জন্য আমাদের ভালো কিছু বন্ধু বা ভালো সঙ্গী খুবই দরকার। এবং হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য ইচ্ছাশক্তি খুবই প্রয়োজন। আপনার পোস্ট ছিলো সময় উপযোগী। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু,অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনি হতাশা দূর করার কিছু স্টেপ আমাদের সাথে বর্ণনা করেছেন।আসলে এগুলো ছাড়াও হতাশা দূর করার আরও কিছু উপায় রয়েছে, আর সেগুলো হলো প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। প্রাকৃতিক এবং নিস্তব্ধ জায়গায়, যেখানে পাখির কোলাহল। সেখানে গিয়ে বসে বসে নিজেকে সেই সুরে ভাসিয়ে দেওয়া ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই থাকবে আপনার জন্য।
এটিও খুব ভালো আইডিয়া ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। হতাশা দূর করার যে উপায়গুলো আপনি বলেছেন আসলেই আপনার সাথে আমি একমত। এতো সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি খুবই উপযোগী 1 টি পোস্ট করেছেন আজকে দেখে সত্যি খুব ভাল লাগলো। আপনার যে তিনটি টপিকের কথা বলেছেন আমিও মনে করি ব্যক্তিগতভাবে এই তিনটি কাজ করলে যে কেউ নিজেকে ভালো রাখতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য। শুভ কামনা আপনার জন্য আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
দিদি, আপনি হতাশা দূর করার জন্য পয়েন্ট আকারে খুব সুন্দর ভাবে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা দিয়েছেন। আপনার তিনটি পয়েন্টই আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমার সময় কাটানোর প্রাণীবন্ধু ছিলো কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন খারাপ করবেন না ভাইয়া।আসলে আপনি যেকোনো প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন,সেটা যে পোষ্যই হবে এমনটা নয়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।