"মজাদার মুচমুচে তিলের খাজা রেসিপি"
নমস্কার
মজাদার মুচমুচে তিলের খাজা রেসিপি:
বন্ধুরা, অনেকদিন ধরেই মজার রেসিপি তৈরি করা হয় না।শীতকালে মন শুধুই খাই খাই করে।কিন্তু এক্সামের ব্যস্ততার জন্য কিছুই ঠিকভাবে করতে পারছি না।আজ আমি শেয়ার করবো মজাদার তিলের খাজা রেসিপি।এই রেসিপিটি আমি সাদা তিল দিয়ে তৈরি করেছিলাম কয়েক দিন আগে।আর এটি একবার তৈরি করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায়।এটা খুবই মুচমুচে হয়েছিল তৈরির পর আর খেতেও খুবই মজার হয়েছিল।তাছাড়া এই রেসিপিটি তৈরির জন্য খুবই কম উপকরণ লাগে।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
◆চিনি- 1/2 কাপ
◆কলাপাতা
◆সামান্য সরিষার তেল
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি একটি পাত্রে পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এবারে অপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো সাদা তিল নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াই নিয়ে চুলার মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে দিলাম।তারপর আস্তে আস্তে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ 4
এখন চিনি পুরোপুরি গলে গিয়ে ক্যারামেল তৈরি হয়ে যাবে।এখন কড়াইটি চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ 5
এরপর চিনির ক্যারামেলের মধ্যে সাদা তিল দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 6
সাদা তিল দ্রুত নেড়েচেড়ে চিনির সঙ্গে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 7
এখন একটা কলাপাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর হাতে একটু সরিষার তেল নিয়ে কলাপাতার গায়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 9
এবারে কলাপাতার একপাশে দ্রুত গরম গরম চিনি মিশ্রিত তিলগুলি ঢেলে দিলাম।
ধাপঃ 10
এখন কলাপাতার অন্য পাশ দিয়ে ঢেকে একটি বেলন দিয়ে চেপে সমান করে বেলে নিলাম।
ধাপঃ 11
এরপর হালকা গরম থাকা অবস্থায় একটি ছুড়ির সাহায্যে চারকোনা পিচ করে কেটে নিতে হবে তিলের খাজাগুলি।
ধাপঃ 12
এগুলি একটু ব্যস্ততার সহিত কেটে নিতে হবে নাহলে ঠান্ডা হয়ে গেলে কাটলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ধাপঃ 13
তো এভাবে আমি তিলের খাজাগুলি মিডিয়াম সাইজের পিচ পিচ করে কেটে নিলাম।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে তিলের খাজার পিচগুলি একটি প্লেটে সাজিয়ে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল মজাদার তিলের খাজা রেসিপি।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম কিংবা ঠান্ডা যেকোনো অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে।এটি দেখতে খুবই সুন্দর ও খেতে অনেক মজার হয়েছিল।তাছাড়া এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
তিলের খাঁজা আমার অনেক প্রিয়। তিলের খাজা কিভাবে বানায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দারুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। আমি চেষ্টা করব এটা বাসায় তৈরি করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দরও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি আমার রেসিপি দেখে শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
তিলের খাজা আমার বেশ পছন্দের তবে এভাবে বাসায় তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার খাজা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বেশ কয়েক দিন তিলের খাজা খাজা খাওয়া হয়না। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। চাইলে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তিলের খাজা আমার মেয়ের খুব প্রিয় একটি খাবার।দোকানী বাড়িতে নিয়ে আসে মাঝে মাঝে। এতো সুন্দর করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাড়িতেই বানানো গেলে তো খুব ভালো হয়।আমি রেসিপিটি জেনে রাখলাম বানিয়ে ফেলবো মাঝে মাঝে।ধাপে ধাপে তিলের খাজা রেসিপিটি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের সাথে।ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই বানিয়ে খাবেন, আশা করি আপনার মেয়েও খুশি হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
তিলের খাজা অনেক খেয়েছি তবে কখনো নিজের হাতে বানিয়ে খায় নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সহজ। দেখি একদিন অবশ্যই চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু,আপনিও বানিয়ে ফেলুন সহজেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
তিলের খাজা আমার খুব পছন্দের। তিলের খাজা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুন। তিলের খাজা তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো দিদি। প্রস্তুত প্রণালী খুবই সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। মুচমুচে সাদা তিলের খাজা সবাই বেশ পছন্দ করে। রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এলাকায় এই রেসিপিটা বেশ জনপ্রিয়। সারা বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের জেলা এই তিলের খাজার জন্য বিখ্যাত বলা চলে। পরিবেশন দেখে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে দিদি সম্ভব হলে একটু টেস্ট করে দেখতাম।
হি হি,সেটা তো সম্ভব নয় ভাইয়া।তবে আপনি এভাবে ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
তিলে খাজা দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছিল আপু।বাড়িতে তিলের খাজা তৈরি করেছেন বেশ সময় নিয়ে।রেসিপিটি জাস্ট চমৎকার হয়েছে।একদিন বাসায় ট্রাই করবো আপনার এই রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,খুবই মজার হয়েছিল খেতে।সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এটা তো দেখছি খুব সহজেই তৈরি করা যাবে। আর আমার কাছে তিলের খাজা খেতে খুবই ভালো লাগে।নিশ্চয়ই একদিন তৈরি করে দেখবো।
অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
তিলের খাজা আমারও খুব প্রিয় ছোটবেলা থেকেই খাওয়া হয়। আর আমাদের কুষ্টিয়ার তিলের খাতা তো খুবই বিখ্যাত এবং পরিচিত।
তবে কখনো আপনার মত করে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখেই খুব লোভ হচ্ছে।
খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া, কুষ্টিয়ার কথা শুনেছি।তবে আপনি ও ট্রাই করে দেখতে পারেন এভাবে।ধন্যবাদ