"একটি অদ্ভুত পোকার আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম"একটি অদ্ভুত পোকার আলোকচিত্র"নিয়ে।
বন্ধুরা,ভাদ্র মাস পড়তে না পড়তেই আগুন ঝরানো রোদ পড়ছে।আর সেই তীব্র রোদের দরুন প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে।ফলে গরমে ঘরে থাকা এক প্রকার খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।কয়েকদিন আগেই প্রচন্ড গরমে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চলে গেলাম বাড়ির পথের গাছতলায়।কিন্তু গাছের পাতা তো নড়ছিলই না।যাইহোক তবুও কিছুটা শান্তি মেলে ঘরের গরম থেকে।এমনি সময় চোখ পড়লো আমাদের পথের দরজার উপর।দেখলাম একটি অদ্ভুত পোকা বসে আছে।
এই পোকাটি আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লেগেছে কারন তার মুখ কিছুটা ঘড়িয়ালের মতো লম্বা।আমি প্রথম এমন অদ্ভুত পোকা দেখলাম।পোকাটি সম্ভাবত উড়তে পারে কারন পোকাটি ডানাযুক্ত।তাছাড়া তার মুখ অনেকখানি লম্বা হয়ে মাথার দিকে সরু নয় বরং হাতির শুঁড়ের মতো ভোঁতা টাইপের।সুন্দর পাখনা রয়েছে ও দুটি চোখের কোমল চাহনি।আমার মনে হয় পোকাটির অদ্ভুত লম্বা মুখটিই তার শুড় এবং এটির মাধ্যমে সে খেয়ে থাকে।
এই পোকাটি একদম পুরোনো দরজার বাঁশের চটার উপর বসেছিল।কিন্তু পোকাটির গাঁয়ের রঙের সঙ্গে বাঁশের চটার রং কিছুটা মিলে গেছে।আমার বেশ ভালো লাগছিল পোকাটি দেখতে তাই ঝটপট কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম।পোকাটির লম্বা মুখের জন্য পোকাটি বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখতে।ধূসর ছাই রঙের পোকাটির ডানায় গেরুয়া রঙের কয়েকটি দাগ ও কালো রঙের বিন্দু বিন্দু অসংখ্য ফোঁটা রয়েছে।
লোকেশন
প্রকৃতির অদ্ভুত সুন্দর এই ছোট্ট প্রাণীগুলোকে দেখে ও আমরা দারুন আনন্দ উপভোগ করি এবং মুগ্ধ হই।সব প্রাণীর স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে প্রকৃতির বুকে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
ঠিকই বলেছেন বেশ কয়েকদিন যাবত অনেক গরম, গাছ তলায় অদ্ভুত পোকা দেখেছেন, আমারতো খানিকটা ভয়ই লাগছে দেখতে, পাখনা গুলো সুন্দর ছিল লম্বা হাতির শুঁড়ের মতো অংশটা দেখে একটু ভয় লাগছে তবে বেশ চমৎকার ছিল ফটোগুলো এবং উপস্থাপনা।
ভাইয়া, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, পোকাটি খুবই শান্ত ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাদ্র মাস তাল পাকা গরম যেটা এবার আর সহ্য করতে পারছি না। বার বার স্নান করেও কাজ হচ্ছে না। যাই হোক আমি এই ধরনের পোকা প্রথম দেখলাম। প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েছি। মূলত ছবিটি খুব সুন্দর ভাবে তোলা হয়েছে বিধায় পোকার শরীরের সব রং ও অংশ ভাল ভাবে দেখা যাচ্ছে। এক কথায় ফটোগ্রাফি ভাল হয়েছে। পোকাটি বড়ই অদ্ভুত মনে হল। তবে এটাকে হাতি পোকা বলে হয়তো। অনেক টা উরচুঙ্গার মতন দেখতে শুধু এটির শুর রয়েছে। ধন্যবাদ বোন নতুন একটি পোকার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
হাতি পোকা,দারুণ একটি নাম বলেছেন দাদা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ,আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
পোকাটা দেখেই তো ভয় লাগছে।। এরকম পোকা আগে কখনো দেখা হয় নাই অবশ্য।। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ।।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
ভাইয়া ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি প্রজাপতির মতো।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পোকাটি আজকেই প্রথম দেখা হলো। আসলে আমাদের পৃথিবীতে এমন অনেক প্রজাতি আছে যেগুলো আমাদের চোখের সামনে পড়ে নাই। নাম না জানা প্রজাতিগুলো দেখতে বেশি আকর্ষনীয় লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এটি ও এক ধরনের প্রজাপতির প্রজাতি।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি পোকাটা বেশ আলাদা এবং অন্যরকম। গায়ের রংটা যেমন ভিন্ন ঠিক একইভাবে সামনের অংশটা বেশ দীর্ঘ। দারুণ করেছেন পোকাটার ফটোগ্রাফি টা। বেশ চমৎকার ছিল।।
আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার তোলা অদ্ভুত পোকাটির আলোচিত্র গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর হবে পোকাটির ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার পাশাপাশি বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু প্রচুর গরম পড়ছে তাই হয়তো বিভিন্ন রকম পোকা গুলো এখন বের হচ্ছে। এ পোকাটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। এ ধরনের পোকা আমি আগে কখনো দেখিনি। সৃষ্টিকর্তার জে কত হাজারো সৃষ্টি রয়েছে তা এখনো আমাদের অজানা।
ঠিক বলেছেন আপু, গরমে পোকা বেশি বের হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত পোকা বিশেষ করে বড় বটগাছ পুরাতন মোরা গাছ এই ধরনের জায়গাতে বেশি দেখা মেলেন।। তবে এই রকম পোকা এর পূর্বে আমি কখনো দেখিনি আপনার ফটোগ্রাফিতেই প্রথমবার দেখলাম।। সমকভাগের দিকটা তে কেমন যেন গরিয়াল এর মত মনে হচ্ছে।।।
হ্যাঁ ভাইয়া,মুখের দিকে লম্বা বলেই তো পোকাটিকে অদ্ভুত বললাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আরে বাপরে আমি তো ভয় পেলাম পোকাটা দেখে। ঠিকই বলেছেন মুখটা দেখতে অনেকটা ঘড়িয়ালের মতই। তবে বেশ অবাক হলাম এটা জেনে যে এই পোকার কোমল চাহনি টাও আপনার চোখে পড়েছে। এই পোকা যদি আমার চোখের সামনে পড়তো তাহলে এক দৌড় দিয়ে ঘরে চলে যেতাম। আর তিন দিনের ভিতর ঘর থেকে বের হতাম না। তবে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।
দাদা,ভয় পাওয়ার কিছু নেই।কারন পোকাটি খুবই শান্ত,সুন্দর ও প্রজাপতিরই একটি প্রজাতি।ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মজার মন্তব্যের জন্য।