"চিংড়ি মাছ দিয়ে কালো কচুশাক ঘন্ট রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
শুভ সকাল বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"চিংড়ি মাছ দিয়ে কালো কচুশাক ঘন্ট রেসিপি"।
কালো কচুশাক আমার খুবই ভালো লাগে চিংড়ি মাছ দিয়ে ঘন্ট বা মাখা মাখা ঝোল করে খেতে মাছ দিয়ে।এই কচুশাকগুলির স্বাদ হালকা মিষ্ট টাইপের এবং এটি খেলে কোনোরকম গলা ধরে না।তাছাড়া বিভিন্ন জাতের কচুশাক রয়েছে।যেমন-কালো কচুশাক, সাদা কচুশাক, ছোলা কচুশাক, জলপান কচুশাকসহ ইত্যাদি।কচুশাক বর্ষাকালে বেশি জন্মায়, এখন খুবই কম পাওয়া যায় কালো কচুশাক তবুও কিছু সংগ্রহ করলাম আমাদের বাড়ি থেকে।অসময়ের কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। কচুশাক আমাদের অতি পরিচিত একটি শাক জাতীয় তরকারী।কচুশাক ডোবা-নালা বা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ভালো জন্মায়,তাই মা আমাদের ঘরের পিছনের দিকে জলা জায়গায় একটি কালো কচুশাক গাছ বসিয়েছিল।সেখান থেকেই পানা গজিয়ে বেশ কিছু কচুশাক জন্মেছে।কালো কচুশাক শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী , বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি খুবই পুষ্টিকর।এটি খেতেও খুবই সুস্বাদু।তো চলুন দেরি না করে রেসিপিটা শুরু করা যাক ------
◆উপকরনসমূহ◆
ক্রমিক নং | উপকরন | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | চিংড়ি মাছ | 100গ্রাম |
2 | কালো কচুশাক | পরিমাণমতো |
3 | রসুন কুচি | 5 কোয়া |
4 | কাঁচা মরিচ | 6 টি |
5 | পেঁয়াজ কুচি | 1টি |
6 | লবণ | 1.5 টেবিল চামচ |
9 | হলুদ | 1/2 টেবিল চামচ |
10 | সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
11 | জল | সামান্য পরিমাণ |
◆প্রস্তুত প্রণালি◆
➤প্রথমে আমি কিছু কালো কচুশাকের ডাটি সংগ্রহ করে কেটে নিলাম ঝুড়িতে করে।
➤এবারে আমি এগুলো জল দিয়ে 2-3 বার ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম পরিষ্কার করে।কচুশাক কেটে নেওয়ার পূর্বে ধুয়ে নিতে হবে সবসময়।
➤এরপর বটির সাহায্যে মিডিয়াম সাইজ করে পিচ পিচ করে কেটে নিলাম কচুশাকের ডাটিগুলি।
➤একইসঙ্গে বটির সাহায্যে কাঁচা মরিচ কেটে নিয়ে ,পেঁয়াজ ও রসুন কুচি করে নেব।এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নেব।কচুশাকে ঝাল বেশি দেব, কারণ ঝাল ঝাল খেতেই বেশি ভালো লাগে।
➤এবারে আমি আগের দিন ভেঁজে রাখা চিংড়ি মাছ নিয়ে নেব।চিংড়ি মাছগুলি পরিষ্কার করে সামান্য লবণ ও হলুদ মেশানো জলে আমি ভেঁজে নিয়ে রেখেছিলাম।
➤এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেব।কড়াইতে ধুয়ে রাখা কচুশাকগুলি দিয়ে দেব।আমি এটি 7 মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব।
➤7 মিনিট পর কচুশাক অনেকখানি কমে আসলে নেড়েচেড়ে নিয়ে তার মধ্যে লবণ, হলুদ ও কেটে রাখা কাঁচা মরিচগুলি দিয়ে দেব।তারপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব ভালোভাবে।
➤এরপর আমি চিংড়ি মাছ দিয়ে দেব কচুশাকের মধ্যে।তারপর নেড়েচেড়ে আবারো ঢেকে রেখে দেব 5 মিনিটের মতো।যাতে কচুশাকগুলি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে যায়।
➤5 মিনিট পর কচুশাকগুলি ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে ঘেটে গলিয়ে দেব কচুশাকের ডাটিগুলি।এরপর একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।
➤এবারে আমি কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেব। তেলের মধ্যে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা ভেঁজে নেব।
➤পেঁয়াজ ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে পুনরায় কচুশাকগুলো ঢেলে দেব কড়াইতে।এরপর পেঁয়াজের সঙ্গে কচুশাকগুলি নেড়েচেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব।
➤কিছুক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেওয়ার পর কচুশাকগুলো নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল"চিংড়ি মাছ দিয়ে কালো কচুশাক ঘন্ট রেসিপি"।এবার এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই স্বাদের।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
চিংড়ি মাছ দিয়ে কালো কচুশাক ঘন্ট রেসিপি রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি আমাদের মাঝে অনেক ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি যেভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন মনে হচ্ছে রেসিপি টা খেতে বেশ মজাদার হবে। আমার কাছে রেসিপিটা অনেক চমৎকার মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, খেতে খুবই মজার, খেয়ে দেখবেন একদিন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক দারুন লাগে খেতে। গরম ভাতের সাথে লেবু মেখে এই কচু শাক খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী ও। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু,লেবুর সঙ্গে আলাদা স্বাদের লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি মাছের সাথে কচুর কম্বিনেশন এটা অনেক প্রাচীন কম্বিনেশন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর রেসিপি। তবে কিছু কিছু কচু আছে যেগুলো খেলে গলায় চুলকায় সেগুলো থেকে দূরে থাকি। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
এই কচুশাকগুলি মিষ্ট টাইপের,গলা চুলকায় না।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ দিয়ে আপনি অনেক মজাদার একটি কচু শাক ঘন্টের অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচু শাক ঘন্ট বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে তবে এই পোশাকের মধ্যে যদি চিংড়ি দেওয়া হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চমৎকারভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কচু শাক ঘন্ট এমনিতেই আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগবে। তার ওপর যদি চিংড়ি দেওয়া দেওয়া হয় তাহলে তো এর স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আপনার রেসিপির ধাপগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপু আপনি তো খুব মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু শাকের রেসিপি দেখে মুখে জল চলে আসলো। দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা ইচ্ছে করছে একটু নিয়ে খেয়ে ফেলি। দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটি সত্যিই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,খুবই সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটা খেতে।😊অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কালো কচুশাক ঘন্ট রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপু। কচুর ডাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে। আপনি কি সুন্দর করে চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর ডাটা রান্না করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করা চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর ডাটা রান্নার রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু😊
আপনি খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কচু শাক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এটা আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু খুবই উপকারী। আজকে আপনি কচু শাক চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজ দেখেই কচুর শাক দিবস হতে পারে। কারণ আপনি সহ অনেকগুলো পোস্ট দেখেছি কচুর শাক এর। এমন আর কখনো দেখিনি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কচু শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
😆😆ভাইয়া মনে হয়, আমাকে সবাই ফলো করেছে।কারণ আমার কচুশাক রেসিপিটা সবার আগে শেয়ার করা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।