DIY-"এসো নিজে করি" সপ্তাহ" || আমার আজকের সহজে বানানো ফুল

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

নমস্কার

বন্ধুরা,আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজ আমি একটি খুব সহজেই তৈরি ফুল শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।

CollageMaker_20210811_180823132.jpg

   " কাগজ নিয়ে দিবেন একটি ঝাড়ি,
   ফুল থেকে হয়ে যাবে দাঁড়িপাল্লা ভারী"।।

হ্যাঁ,আজ আমি যে ফুলটি তৈরী করেছি সেটা খুবই সহজ।সুতরাং হাতে নিয়ে একটি ঝাড়ি দিলেই একটি ফুল হবে এবং সেটা জিনিস মাপার দাঁড়িপাল্লার মতো মনে হবে।আর আমি ছোটবেলায় স্কুলে প্রায় এই ফুলটি তৈরি করতাম।হয়তোবা আমার মতো আপনারাও ছোটবেলায় স্কুলে এই ধরনের ফুল বানিয়ে থাকবেন।তাঁরই স্মৃতিস্বরূপ আজ আমার এই সহজ ফুলটি তৈরি করা।

IMG_20210811_173527.jpg

[হয়তো আমাদের এই ধরনের কাজের মধ্যে এমন অনেক কাজ দেখে অনেকে হাসি,আনন্দ করবেন, তবুও এটি সৃজনশীলতার একটি অংশ।আর সৃজনশীল কাজের মধ্যে হাসি,মজা ও তামাশা থাকবেই।আপনাদের একটুখানি হাসি এবং আনন্দ দিতে পারা আমাদের কাছে পরম পাওয়া।কারণ আধুনিক যুগে মানুষকে হাসাতে পারা খুবই কঠিন কাজ।]
তো চলুন শুরু করি-

IMG_20210811_172527.jpg

1.আমি প্রথমে এখানে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি--

A4 কাগজ - 2টি
কেচি
গোলাপি মোম রঙ
লঙ্কা - 2 টি
পেঁপের ডাল

IMG_20210811_172545.jpg

IMG_20210811_172604.jpg

IMG_20210811_172623.jpg

2.এবার আমি একটি a4 পেজ নিয়ে মাঝ বরাবর ভাঁজ দেব।আমি দুই বার ভাঁজ দিয়ে নেব উপরের ছবির মতো।

IMG_20210811_172635.jpg

IMG_20210811_172653.jpg

3.এরপর কাগজটির খোলা অংশের অপর অংশটি কেচি দিয়ে কাটবো।

IMG_20210811_172735.jpg

IMG_20210811_172801.jpg

IMG_20210811_172822.jpg

4.প্রথমে কাগজটির যে দিকে কাটবো সরু করে,তারপর অন্য দিকে ঘুরিয়ে কেটে নেব।

IMG_20210811_172834.jpg

IMG_20210811_172855.jpg

IMG_20210811_172907.jpg

5.অবশ্যই কাগজ কাটার সময় মনে রাখতে হবে, কাটার মাথার অংশে একটু করে বাদ রেখে কাটতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভিন্ন পাশ দিয়ে কেটে নিতে হবে।।এভাবে পুরো কাগজটি কেটে নেব।

IMG_20210811_172928.jpg

IMG_20210811_172944.jpg

6.এভাবে আমি দুটি কাগজই একইভাবে কেটে নিলাম।এবং পরতে পরতে ভাঁজগুলি খুলে নেব সাবধানে।

IMG_20210811_173007.jpg

IMG_20210811_172954.jpg

IMG_20210811_173017.jpg

7.এভাবে পুরো ভাজটি আমি খুলে নেব।খুলে নেওয়ার পর একটি গোলাকার কুচানো অংশ দেখা যাবে।

IMG_20210811_173034.jpg

IMG_20210811_173051.jpg

IMG_20210811_173111.jpg

8.এরপর একটি গোলাপি মোম রঙ দিয়ে কাগজের মাঝখানে এবং পাশে একটু রং করে নেব।

IMG_20210811_173121.jpg

IMG_20210811_173336.jpg

9.এরপর কাগজের দুই পাশের বড়ো অংশ ধরে একটি জোরে ঝাকা দিলেই ফুল হয়ে যাবে।ঠিক আমার কবিতার ছন্দের মতো।আর এটি অনেকটা লম্বা ও ঝুলন্ত ব্যাগের মতো দেখতে হয়।

IMG_20210811_173402.jpg

IMG_20210811_173418.jpg

IMG_20210811_173502.jpg

10.তো তৈরি হয়ে গেল আমার বানানো সহজ ফুলটি।আমার ফুলটি এইরকম দেখতে হবে।কি এবার সবার চেনা মনে হচ্ছে তো?

IMG_20210811_173800.jpg

IMG_20210811_173914.jpg

11.এবার দাঁড়িপাল্লা বানানোর জন্য একটি পেঁপের ডাল কেটে নিলাম,ডালের দুই পাশে ফুল দুটি ঝুলিয়ে দিলাম ঠিক দাঁড়িপাল্লার মতো করে।এরপর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে দুটি লঙ্কা দিয়ে দিলাম ওজন মাপতে।এই ফুলটি দরজার সামনে ও ঝুলিয়ে রাখা যায় এছাড়া আবার ভাঁজ করে গুটিয়ে রেখে দেওয়া ও যায়।

তো আমার আজকের সহজ ফুলটি নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লাগবে এবং স্কুল জীবনের স্মৃতিকে স্মরণ করতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015

Sort:  
 3 years ago (edited)

"ছোটবেলায় সবার মনে হতো এই গুলি বানানোর দিকে ঝুকি,
এখন এই ছোট্ট ছোট্ট স্মৃতি গুলি আমাদের মনের মাঝে বড্ড দেয় উকি।"

দারুন স্মৃতি বিজড়িত সাধারণ এর মাঝে অসাধারণ একটি সহজবোধ্য কাগজের ফুলের সাথে দাড়ি পাল্লা। খুব সুন্দর। শুভেচ্ছা রইলো বোন অবিরাম।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দাদা।ছন্দ আকারে মন্তব্যটি ভালো লেগেছে আমার।

 3 years ago 

আপনার ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 3 years ago (edited)

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সবসময় এভাবে সঙ্গে থাকার জন্য।

 3 years ago 

অসাধারণ হয়েছে তবে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় একে শিখিয়া বলা হয়।

 3 years ago 

নামটি জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু, আজ আমি মোবাইল স্টান ও কলমদানি তৈরি করেছি। দেখতে পারেন।

 3 years ago 

দেখেছি ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো দেখে।আমাদের এইদিকে কাগজের ঝুড়ি বলে।ধন্যবাদ দিদি।

 3 years ago 

হ্যাঁ, আমরাও সেটাই বলতাম দাদা।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

অনেক সুন্দর হয়েছে আপু মনি। শুভ কামনা।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

এটার কথা মনে আছে আমার, ছোট বেলায় এভাবে কাজ দিয়ে মালার মতো তৈরী করে ঘরের চারদিকে ঝুলিয়ে রাখতাম। দারুন হয়েছে আপনারটাও, ধন্যবাদ

 3 years ago 

ছোটবেলার কথা স্মরণ করেই তৈরি করলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

সুন্দর বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দাদা।আপনার মন্তব্যের জন্য।

ছোট বেলায় স্কুলে করা মজাটার কথা আবার মনে পড়ে গেল।টিফিন দিলেই কাগজ ছিড়ে এভাবে অনেক কিছুই বানিয়েছি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের কাজটা। শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ছোটবেলার স্মৃতিকে স্মরণ করেই তৈরি করা দাদা।যাক,আপনাদের সবাইকে একটু হলেও ছোটবেলার কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ দাদা ,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ধন্যবাদ বোন।

 3 years ago 

খুবই সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপুমনি।

 3 years ago (edited)

দিদি তো দেখছি অনেক কাজই পারে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

কতটা পারি তা জানিনা।তো একটু কাজের চেষ্টা করে সবাইকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্ৰ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60191.71
ETH 2410.52
USDT 1.00
SBD 2.43