"মুচমুচে মিষ্টি খাজা রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো- "মুচমুচে মিষ্টি খাজা রেসিপি"।
আজ অনেক দিন পর নতুন একটি রেসিপি তৈরি করলাম।আসলে সময় সল্পতার ফলে ইচ্ছা করলে ও তৈরি করা হয়ে ওঠে না।যাইহোক রোজ রোজ মাছের রেসিপি কিংবা তরকারী জাতীয় রেসিপি করে বা দেখতে আর ভালো লাগছে না।তাই একটু ব্যতিক্রম চিন্তা করলাম মিষ্টি জাতীয় কিছু তৈরি করার।সেইজন্য মাথায় খাজা রেসিপির কথাই প্রথম আসলো আর তৈরি করে ও ফেললাম।এটি খেতে অসম্ভব টেস্টি ও মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়।খুব কম উপকরণ দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করা যায়।আর দেখতেও অনেকটা গোলাপ ফুলের মতো লাগে আমার কাছে কারন অনেক কুচি থাকে খাজার ভিতরে।মাঝে মাঝে হঠাৎ করে খাদতালিকা পরিবর্তন করতে ভালোই লাগে আর করাও উচিত আমাদের প্রত্যেকের।তবেই তো আমাদের খাবারের প্রতি চাহিদা বা রুচি আসবে তাইনা!!তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটা---
◆উপকরনসমূহ◆
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | ময়দা | 1 কাপ |
2 | লবণ | 1 চিমটি |
3 | সাদা তেল | 300 গ্রাম |
4 | জল | 1 কাপ |
5 | চিনি | 1 কাপ |
এছাড়া ছুরি ও বেলুন-চাকী ব্যবহার করা হয়েছে।
◆প্রস্তুত প্রণালি◆
ধাপঃ 1
●প্রথমে একটি পাত্রে আমি 1 কাপ ময়দা নিলাম আর 1 চিমটি লবণ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
●এরপর আমি 2 টেবিল চামচ সাদা তেল নিয়ে নিলাম।সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে নেব ভালোভাবে যাতে মুঠ করা যায় এভাবে।
ধাপঃ 3
●এবারে অল্প অল্প জল দিয়ে ময়দা মেখে একটা ডো তৈরি করে নেব।
ধাপঃ 4
●তো আমার ময়দার ডো তৈরি করা হয়ে গেল।এবারে 5 মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব ডো।
ধাপঃ 5
●এবারে আমি চিনির সিরা তৈরি করে নেব।তার জন্য 1 কাপ চিনিতে 1/2 কাপ জল দিয়ে দেব।
ধাপঃ 6
●এক তার পর্যন্ত চিনির সিরা চুলায় জ্বাল করে নেব তারপর নামিয়ে রেখে দেব।
ধাপঃ 7
●এরপর আবারোও ডো মেখে নেব ।
ধাপঃ 8
●ডো টি 5 ভাগে ভাগ করে নেব।তারপর এক একটি ভাগ নিয়ে ,হালকা ময়দা ছড়িয়ে, বেলুন-চাকী দিয়ে বেলে নেব রুটির মতো।
ধাপঃ 9
●এভাবে মোট 5 টি রুটি বেলে নিলাম।
ধাপঃ 10
●এরপর একটি রুটি নিয়ে তার উপরে তেল মেখে সামান্য ময়দা ছড়িয়ে নেব।এভাবে 5টি রুটি একটির পর একটা সাজিয়ে নেব।
ধাপঃ 11
●রুটিগুলি রোল করে নিলাম তারপর একটা ছুরি দিয়ে খাজার টুকরো করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 12
●এবারে খাজার সেপগুলি আবার বেলে নেব।
ধাপঃ 13
●তো পুরোপুরি খাজার সেপ তৈরি করে নিলাম।এবারে ভাজার পালা।
ধাপঃ 14
●একটি কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে গরম করে নেব মিডিয়াম আঁচে চুলায়।এরপর খাজাগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 15
●এবারে খাজাগুলি উল্টে পাল্টে ভেঁজে নেব মুচমুচে বাদামি রঙের করে।
ধাপঃ 16
●ভেঁজে নেওয়া খাজাগুলি তুলে নেব তেল সরিয়ে।এরপর চিনির সিরার মধ্যে দিয়ে দেব খাজাগুলি।
ধাপঃ 17
●চিনির সিরায় ডুবিয়ে তুলে নেব খাজাগুলো।
ধাপঃ 18
●তো তৈরি করা হয়ে গেল "মুচমুচে মিষ্টি খাজা রেসিপি"।এটি খুবই টেস্টি খেতে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের মিষ্টি রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি মুচমুচে মিষ্টি খাজা রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন।দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি নমস্কার
সকাল সকাল অনেক ভালো লাগলো আপনার মচমচে খাজার রেসিপি দেখে ৷খুব সুন্দর করে ধাপ গুল উপস্থাপন করেছেন ৷ধন্যবাদ মচমচে খাজার রেসিপি দেখে ৷
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ও।
উফ! দিদি কি দেখাইলেন এটা? একটা সময় খুব বেশী ভক্ত ছিলাম এই খাজার, স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় খেতাম। সত্যি বেশ স্বাদের একটা জিনিষ। তবে এখন খুব একটা চোখে পড়ে না এগুলো। যাইহোক আপনার রেসিপিটির জন্য ধন্যবাদ। দেখি আমিও একবার বাড়ীতে তৈরীর চেষ্টা করবো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।এটা সচরাচর দেখা যায় না, মনে হচ্ছে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।তাইতো তৈরি করলাম।আপনিও অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আগে গ্রামে থাকতে মেলায় গেলে মিষ্টি খাজা গুলো খাওয়াই হতো। এখন আর মেলায় যাওয়া হয় না খাওয়া হয়না। খুব ভালো লাগলো অনেকদিন পর মিষ্টি খাজা রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব চমৎকারভাবে প্রতিটা ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে এই মিষ্টি খাজা গুলো তৈরীর প্রক্রিয়া শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মুচমুচে মিষ্টি খাজা রেসিপি বাহ্ দারুন। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে দিদি। দাওয়াত তো দিতে পারতেন। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো 🥀
এখন দিলাম, চলে আসুন ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জিভে পানি এনে দিলেন দিদি।রসে ভেজানো খাজা যখন মুখে দেই,আহা আহা সে যেন অমৃত।প্রাইভেট থেকে আসার সময় প্রায়দিন বিকেলেই খাই।৫ টাকা করে পিছ নেয়।সত্যিই আর থাকতে পারছিনা না খেয়ে।
উপস্থাপনা এবং প্রস্তুত প্রণালী দুটোই সেরা ছিল।শুভ কামনা রইলো 🥰
৫ টাকা করে পিছ ভাইয়া, আমাদের এদিকে এটা দেখাই যায় না এখন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
মিষ্টি খাওয়াবা আমারও খুব ফেভারেট মাঝেমধ্যেই খাওয়া হয় মিষ্টির দোকান থেকে কিনে মিষ্টির রস দিয়ে আপনি লোভনীয় ভাবে প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এগুলো খাজা আমার আম্মু খেতে খুবই পছন্দ করে। আমার আম্মু আমাকে অনেক দিন ধরে বলতাছে এরকম খাজা নিয়ে আসছে। কিন্তু আমি আমাদের এলাকায় খুঁজে পাচ্ছি না। আজকে হঠাৎ করে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খাজা তৈরীর পদ্ধতি দেখতে পেলাম। আমি আম্মুকে বলবো এভাবে যেন বাসায় খাজা তৈরি করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে খাজা তৈরি করার পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য।
অবশ্যই আপনার আম্মুকে তৈরি করতে বলবেন ভাইয়া, এটি খুব টেস্টি খাবার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লবঙ্গ লতিকার মতোই অনেকটা দেখতে। অনেকে এটাকে খাজা গজাও বলে থাকে। যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্কুলে টিফিন দিত এই রকম খাজা তবে সেগুলোর সাইজ কিছুটা বড় ছিল। রেসিপিতে আজ নতুনত্বের ছোঁয়া পেলাম ভালো লাগলো। ধন্যবাদ বোন ভালো থাকবেন।
গজা বিভিন্ন সাইজের ও ধরনের হয় দাদা।আমার কাছে খুব ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য দাদা।