"কাঁচা তালের কচি শাঁস দিয়ে মজাদার ফিরনি রেসিপি"
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি একদম মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"কাঁচা তালের কচি শাঁস দিয়ে মজাদার ফিরনি রেসিপি"।
এখন সময়টা পাকা তালের।কিন্তু এই সময়েও কাঁচা তাল মেলে তালবাগানে।আপনারা অনেকেই জানেন, আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তালের বাগান আছে।আর সেখান দিয়েই গতকাল কাঁচা তাল নিয়ে আসা হয়েছে 3-4 কাঁধী।অসময়ে কোনো কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা কারন অসময়ে এর স্বাদ দ্বিগুন থাকে ফলে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়।মাঝে মাঝেই ভিন্ন স্বাদ গ্রহণ করতে ভালোই লাগে।যাইহোক আমি সবথেকে কচি কাঁচা তালের কাঁধীটিই ফিরনি রেসিপির জন্য ব্যবহার করেছি।আর এটি খেতে অসম্ভব টেস্টি হয়েছিল।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের কাছে ।তো চলুন শুরু করা যাক----
★উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাঁচা তালের শাঁস | 5 টির |
গরুর লিকুইড দুধ | 200 গ্রাম |
চিনি | 4 টেবিল চামচ |
গোটা কাজুবাদাম | 7 টি |
কিসমিস | 5 টি |
ময়দা | 2 টেবিল চামচ |
★প্রস্তুত-প্রণালি:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আমি এক কাঁধী কাঁচা কচি তাল নিয়ে নেব।
ধাপঃ 2
●এরপর তালগুলি কাঁধী থেকে ছাড়িয়ে ধুয়ে নেওয়ার পর কাঁচির সাহায্যে তালের মুখগুলি কেটে নেব সমান করে।
ধাপঃ 3
●এরপর একটি চামচের সাহায্যে তালের কচি শাঁসগুলো তুলে নেব পরিষ্কার করে।তো এখানে আমার তালের জল জাতীয় শাঁসগুলি তুলে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 4
●এবারে আমি গরুর পিওর লিকুইড দুধ নিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
●এরপর কিসমিস, কাজুবাদাম ও পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে নেব একটি পাত্রে।
ধাপঃ 6
●এবারে ময়দা নিয়ে নিলাম 2 টেবিল চামচের মতো।
ধাপঃ 7
●আমি এখানে কাজুবাদামগুলি বেঁটে নেব শীল-নোরার সাহায্যে।
ধাপঃ 8
●এরপর একটি পরিষ্কার কড়াই চুলার লো আঁচে বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়ে দেব।
ধাপঃ 9
●2-3 মিনিট দুধ জ্বাল করে নিয়ে তার মধ্যে চিনি,কাজুবাদাম পেস্ট ও কিসমিসগুলি দিয়ে দেব এবং অনবরত একটি বড় চামচের সাহায্যে নাড়তে থাকবো।
ধাপঃ 10
●কাজুবাদামের পেস্টটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে দুধের সঙ্গে।
ধাপঃ 11
●এরপর আবারো 2-3 মিনিট পর ময়দা দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব দুধের সঙ্গে।
ধাপঃ 12
●দুধ একটু গাড় ভাব চলে আসলে তালের শাঁসগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 13
●এরপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে আবারো 5 মিনিট জ্বাল করে নেব লো আঁচে।
ধাপঃ 14
●5 মিনিট পর আমার ফিরনি কালার পরিবর্তন হয়ে কিছুটা গাড় হয়ে যাবে।
ধাপঃ 15
●এবারে তালের ফিরনি নেড়েচেড়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 16
●তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার রেসিপি"। এবারে এটি গরম কিংবা ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই টেস্টি ও মজাদার।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কাঁচাতালের রস দিয়ে ফিরনি রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই জিনিস আমার কাছে একদম নতুন।কচি তাল দিয়ে যে ফিরনি বানানো যায় তা কস্মিনকালেও শুনি নাই।প্রতিদিন কত নতুন নতুন জিনিস শিখছি।বাড়ির পাশে তালগাছ থাকলে আজকেই এনে ট্রাই করে দেখতাম।তবে রিস্টিম করে রেখে দিলাম।সামনে সিজনে অবশ্যই ট্রাই করব।ধন্যবাদ ইউনিক কিছু শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন দাদা,খুবই মজার খাবার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে কাঁচা তালের কচি শাঁস দিয়ে মজাদার ফিরনি তৈরি করেছেন। যা আমি আগে কখনো দেখছি বলো মন হয় না। একদম ইউনিক একটি রেসিপি। আর আপু এখন মনে হচ্ছে আপনার মতো কাচা তালের ফিরনি তৈরি করি কিন্তু আমাদের এখানে তো তালের বাগান নেই। অসময়ে কোনো কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা কারন অসময়ে এর স্বাদ দ্বিগুন থাকে একদম সত্যি কথা।
হ্যাঁ আপু,ইউনিক করে করার চেষ্টা করলাম।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদন বাস্তব একটি কথা বলেছেন অসময়ে কোনো কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে সিজন ছাড়া অনাকাংখিত কিছু হাতের কাছে পেলে তার প্রতি আমাদের আগ্রহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আপনার কাঁচা তালের কচি শাঁস দিয়ে ফিরনির রেসিপির বেপারে আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমি প্রথম জানতে পারলাম। তালের শাঁস দিয়ে ফিরনি রান্নার প্রনালী আমার কাছে ভাল লেগেছে। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর এবং ইউনিক একটি ফিরনির রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুমন্তব্যের জন্য।
কাঁচা তালের কচি শাঁস দিয়ে মজাদার ফিরনি রেসিপি বাহ্ ইউনিক রেসিপি শিখে নিলাম। এমন রেসিপি এই প্রথমবারের মতো দেখলাম। দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাঁচা তালের কচি শাস দিয়ে ফিরনি তৈরি করা হয় এটি প্রথম দেখলাম। ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আসলে অসময়ে কোন কিছু তৈরি করে খেতে পারলে মজাটা একটু বেশি পাওয়া যায়। কাঁচা তাল আমার অনেক পছন্দের। সিজনে সময় প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়ে থাকে। ফিরনি তৈরি করা টা শিখে রাখলাম আপু সিজনে সময় একদিন তৈরি করে খাব ইনশাআল্লাহ। বানানোর পদ্ধতি টা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সহজভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই খাবেন ভাইয়া, আমরাও কাঁচা তাল প্রচুর পরিমানে খাই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য।
জীবনে প্রথম বারের মতো দেখতে পেলাম কাঁচা তালের শাঁস এর ফিরনি রান্না করা যায়। রিস্টিম করে রাখলাম নিজের ফ্যামিলিতে বানিয়ে খাওয়ার জন্য। যদিও এই মুহূর্তে তাল পাবো না তবে যখনই পাবো একবার হলেও চেষ্টা করে দেখব ধন্যবাদ।
অবশ্যই এভাবে বানিয়ে ফ্যামিলির সঙ্গে মজা করে খাবেন ভাইয়া, এটি খুবই মজার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই আপু ইউনিক কিছু দেখলেই এমনিতে খেতে মন চায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি ও ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
😊😊
সবচেয়ে অবাক হয়েছি এই সময়ে তালের শাস। এখন তো প্রায় সব তাল পেকে গেছে। এবং সেই শাস দিয়ে ফিরনি তৈরি দারুণ দিদি। একেবারেই ইউনিক ছিল। নতুন এক রেসিপির সঙ্গে পরিচিত হলাম। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ভাইয়া,আমাদের এখানে সারাবছরই কাঁচা তাল থাকে।অবশ্য পাকা তালের সময় ও,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সম্পন্ন ভিন্নধর্মী নতুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন কাচালের শাঁস দিয়ে।। কাঁচা তালের শাঁস খেয়েছি অনেকবার।। তবে এরকমভাবে ফিরনি প্রস্তুত করা যায় কখনো মাথায় আসেনি।। আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।।
হ্যাঁ ভাইয়া, খেতে খুবই টেস্টি হয়েছিল।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।