DIY- এসো নিজে করি-"আমার অঙ্কিত পেঁচার চিত্ৰ"( 10 % বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো আমার "অঙ্কিত একটি পেঁচার চিত্ৰ"।মাঝে মাঝে মন চায় আঁকার জগৎ থেকে ঘুরে আসতে।যদি ও বা আমি ভালো আঁকতে পারি না তবুও মনের মাধুরী মিশিয়ে মাঝে মধ্যে আঁকার প্রয়াস জাগে মনে ।তাই অদক্ষ হাতে পেনসিল আর সাদা কাগজ নিয়ে বসে পড়ি আঁকতে।আমার মনে হয় আপনাদের সবারই এই ইচ্ছেটা ও আমার মতো জাগে মনে কোনো না কোনো সময়!আসলে আমার বিশ্বাস কেউ যদি মোটে ও কিছু না পারে তবুও তার মধ্যে অসাধারণ কিছু লুকিয়ে আছে।কথায় বলে না ,"কিছুর মধ্যে কিছু আছে" ঠিক তেমন।আমাদের সকলের মধ্যেই কোনো না কোনো গুন রয়েছে।সেটা অন্যের কাছ থেকে শেখা লাগে না, নিজের ভিতরের অন্তরআত্মা থেকেই আসে আবার কিছুটা জিনগত ভাবে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণ:
1.পেনসিল
2.রবার
3.ব্রাউন কালার পেনসিল
4.হালকা হলুদ মোম রঙ
5.গাড় হলুদ মোম রঙ
6.সাদা কাগজ
7.কালো রঙের ডড পেন
অঙ্কনের পদ্ধতি:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আঁকার উপকরণগুলি নিয়ে নেব।যেমন- কাগজ,পেনসিল, রবার এবং মোম রঙ।
●প্রথমে আমি কাগজের উপর একটি লম্বা দাগ টেনে নিলাম পেনসিল দিয়ে।তারপর আমি দাগের গা বরাবর একটি অর্ধকৃত পেঁচার আকার একে নিলাম ।
ধাপঃ 2
●এরপর পেঁচার চোখ আঁকার জন্য দুটি হাত দিয়ে ছোট বৃত্ত একে পাশ দিয়ে একটু চোখের আকার দিয়ে নেব।
ধাপঃ 3
●এবার পেঁচাটির দুটি চোখের মাঝ বরাবর নিচের অংশে ত্রিভুজাকার পেনসিল দিয়ে একটি নাক একে নিলাম।আর চোখের গোল বৃত্তের মাঝে একটু বড়ো বিন্দু একে নিলাম।
ধাপঃ 4
●এরপর পেঁচার চোখটি চিহ্নিত করে নেওয়ার জন্য চোখের চারিপাশে পেনসিল দিয়ে ভ্রুর লোম একে নেব।
●এরপর পেঁচাটির মুখে লোম একে নেব।
ধাপঃ 5
●এবার পেঁচাটির মুখে লোম একে নেওয়ার পর শরীরের বাকি অংশে পেনসিল দিয়ে লোমের সেপ দিয়ে নেব।
ধাপঃ 6
●এবার ব্রাউন কালারের পেনসিল নিয়ে পেঁচার গাঁয়ে লোমের সেপ একে নেব।পেঁচার চোখ দুটি কালো রঙের ডডপেন দিয়ে একে নেব।এছাড়া চোখের ভিতর বিন্দু দুটি ও কালো রঙ করে নেব।
ধাপঃ 7
●এবার পেঁচার দুটি চোখের সাদা অংশটিতে এবং নাকে হালকা হলুদ ও গাড় হলুদ মোম রঙ করে নেব।
●এরপর পেঁচার গায়ে ব্রাউন কালার দিয়ে নেব কোথা ও হালকা ও কোথা ও গাড় করে এবং পেনসিল দিয়ে গাড় লোম একে নেব।
ধাপঃ 8
●এরপর চোখের মধ্যে হালকা কালো রঙের সরু লোম একে নেব ।চোখের নিচের অংশে গাড় পেনসিল লোম একে নিয়ে পেঁচার নাকের দুই পাশে কিছু অংশ পেনসিল দিয়ে ভরাট করে নেব।সবশেষে নিচে আমার নামটি লিখে দিলাম।
ধাপঃ 9
তো আমার আঁকা হয়ে গেল খুব সহজে একটি পেঁচার চিত্ৰ।আশা করি আমার আজকের অঙ্কিত চিত্রটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আমার অঙ্কিত পেঁচা অনেক সুন্দরভাবে অংকন করেছেন। অনেক ভাল লাগলো
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,আপনাদের ভালো লাগায় আমার অঙ্কনের সার্থকতা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার হাতের কাজ তো সুন্দর ই তবে এখন দেখছি অঙ্কণ ও অনেক বেশিই সুন্দর।
পেঁচারাণীকে অনেক সুন্দর লাগছে কিন্তু আপু।
এভাবেই আমাদের সুন্দর সুন্দর অঙ্কণ উপহার দিন এই দোয়াই করি।
আপনার কাছে অঙ্কনটি ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত আপু।অবশ্যই চেষ্টা করবো আপনাদেরকে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার।আপনাদের ভালো লাগলে আমার ও অনেক আনন্দ হয়।আপনি ও অনেক সুন্দর অঙ্কন করেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।পাশে থেকে এভাবেই উৎসাহ দেবেন সবসময়।
পেঁচা 🦉টি খুব সুন্দর করে অঙ্কন করেছেন। তবে পেঁচা দেখলে আমি খুব ভয় পাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বানানো পেচাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে আপু। আপনি অনেক সুন্দর আকতে পারেন সেটা বুঝাই যাচ্ছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পেঁচার চোখ দুটো আমার কাছে ভয়ানক লাগে।বাস্তবে পেঁচা যখন তাকায় তখন আমি বেশি ভয় পাই।আপনার আকা পেঁচার চোখ দুটো সেই রকম অনুভূতির প্রকাশ করে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
আমার তো পাখি হিসেবে পেঁচাকে দারুণ লাগে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
এক সময় হুদুম পেঁচা দেখলে খুব ভয় পেতাম। অনেক সুন্দর হইছে আপু।
ভয় পেতেন কেন আপু?আমার তো বেশ ভালোই লাগে পেঁচা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর করে পেচার হিংসাত্বক ছবি একেছেন আপু। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আমি তো একটি পূর্ণ বয়স্ক পেঁচার ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম মাত্র,হিংসাত্মক বলে ভাবি নি।যাইহোক আপনার হিংসাত্মক মনে হয়েছে পেঁচাটিকে,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এক কথায় অনবদ্য। দারুন হয়েছে। শুভেচ্ছা অবিরাম বোন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
পেঁচার চোখ দুটো বেশ ভয়ংকর হয়েছে। খুব সুন্দর অঙ্কন করেছেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।