"কলা শিম/মৌ শিম ভর্তা রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো ও সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।
বাঙালি মানেই ভোজনপ্রিয়।তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কোনো না কোনো ভর্তা বা মাখা রেসিপি থেকেই যায়।এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের খাবারে অন্তত একটি হলেও মাখা রেসিপি রাখেন।আর হোস্টেল জীবনের কথা তো বলার অপেক্ষায় রাখে না।আমি যতদূর শুনেছি প্রতিদিন সকালের খাবারে ডালের সঙ্গে আলু ভর্তা/মাখা থাকবেই।যাইহোক আমরা বাঙালিরা কোনো না কোনো মাখা যেমন-আলু, বেগুন, বরবটি ,কলা ইত্যাদি মাখা খেয়েই থাকি।আমি সাধারণত এখনো পর্যন্ত কোনো ভর্তা রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেনি।তবে হ্যাঁ, ফলের কোনো মাখা রেসিপি শেয়ার করেছি।তাই আজ আমি একটি ভিন্ন সবজির ভর্তা /মাখা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ:
1.কলা শিম/মৌ শিম - 4 টি
2.ভাঁজি শুকনো লঙ্কা - 5 টি
3.লবণ পরিমাণ মতো
4.পেঁয়াজ কুঁচি - 2 টি
5.সরিষার তেল স্বাদ অনুযায়ী
6.উলতে যাওয়া ফুটন্ত ভাত
প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
●আমাদের বাড়িতে এই প্রথম কলা শিম গাছ লাগানো হয়।কিন্তু একটিই মাত্র গাছ হয়েছিল।সেই গাছে এই প্রথম 4 টি কলা শিম ধরেছিল।তাই শিমগুলি গাছ থেকে নামিয়ে নিলাম। এই শিম নানা নামে পরিচিত।যেমন--কলাশিম,মৌ শিম, বন শিম ,রাজ শিম ও মাখন শিম ইত্যাদি।
ধাপঃ 2
●তো শিমগুলি নামানো হয়ে গিয়েছে।
ধাপঃ 3
●এইবার বটির সাহায্যে কলা শিমের দুই পাশের আশ ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নেব।
ধাপঃ 4
●আশ ছাড়ানো হয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
ধাপঃ 5
●এবার আমি হাঁড়িতে উলতে যাওয়া ফুটন্ত ভাতের মধ্যে ধুয়ে রাখা কলা শিমগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 6
●ভাত হয়ে গেলে ভাতের মধ্যে দিয়ে বের করে নেব।
ধাপঃ 7
●এবার একটি পরিষ্কার কড়াই চুলায় বসিয়ে দেব লো আঁচে।তারপর তাতে দুই থেকে তিন ফোঁটা তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কাগুলি ভেঁজে নেব নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 8
●ভাতগুলি ছাড়িয়ে নেব শিমের গা থেকে এবং পেঁয়াজ কুচি করে নেব।
ধাপঃ 9
●আমি মাখা করার উপকরণ হিসেবে ভেঁজে নেওয়া শুকনো লঙ্কা ,লবণ ও পেঁয়াজ কুচি নিয়ে নেব।আমি ঝাল খেতে খুব পছন্দ করি ,তাই একটু বেশি দিলাম।
ধাপঃ 10
●তারপর উপকরণগুলি ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিয়ে তার মধ্যে সরিষার তেল নিয়ে নেব।
ধাপঃ 11
●এরপর কলা শিমের মধ্যে থাকা আশগুলি ছাড়িয়ে ফেলে দেব এবং উপকরণের সঙ্গে মেখে নেব।
ধাপঃ 12
●তো তৈরি হয়ে গেল খুব সহজেই আমার কলাশিম ভর্তা /মাখা রেসিপি।এবার গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
গ্রিন আপু কলা শিম ভর্তা টা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে আমার কলা ভর্তা টা খুব ভালো লাগে যাই হোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলা সিমের ভর্তা রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই সিমের রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই সুন্দর পরিবেশনা ছিল। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক দিন হলো সিম ভর্তা খাওয়া হয় নাহ। যেকোনো ভর্তা আমার খুবই পছন্দের বাড়িতে বেশির ভাগ সময়ই পেঁপে ভর্তা খাওয়া হয়। ভর্তা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ❤️
এইবার শিমের ভর্তা রেসিপি খাবেন ভাইয়া, ভালো লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুমন্তব্য জানানোর জন্য।
এই কলা শিম গুলোকে আমাদের এখান শিম ই বলে। কলা শিম বলে না।তাই জন্য প্রথমে টাইটেল পড়ে চিনতে পারিনি। তবে ছবি দেখে এরপরে আমি শিমটি চিনতে পেরেছি। শীতকালে খুব বেশি আসে বাজারে এই শিমগুলো। আমার এই ভর্তাটা অনেক বেশি মজা লাগে। তাই জন্য আমি বলতে পারি এই ভর্তা অনেক বেশি স্বাদের হয়েছে।
আপু,এটিকে আমরা কলা শিম হিসেবে চিনি।আর যেগুলি ছোট সাইজের হয় সেই গুলোকে শুধু শিম বলি।এটি আমাদের বাড়ির গাছে ধরেছে।অনেক বেশি স্বাদের।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপিটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। রেসিপিটি দেখে মুখে জল চলে আসলো। আপনি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন রেসিপিটি।🤤🤤🤤 এটা খেতে অনেক ঝাল ঝাল হবে।আর ঝাল খাবার আমাএ অনেক ভালো লাগে।
আমিও ঝাল খেতে খুব ভালোবাসি আপু,যাক আমার মতো একজনকে পাওয়া গেল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য।
মৌ সিম শীতের মৌসুমে ভালো একটি তরকারি ।মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে ।ভর্তা করে খাওয়া হয়নি ।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব তারাতারি খেতে হবে ভর্তা বানিয়ে ।মনে হয় সেই মজা গরম ভাতে খেতে ।ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভর্তা করে।দারুণ মজার।আমি মৌ শিম ভাজি ও ভর্তা করে খেয়েছি কিন্তু মাছ দিয়ে ঝোল করে কখনোই খায়নি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কলা শিম দিয়ে মৌ শিম ভর্তা রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার তো দেখে মনে হচ্ছে একটু খেয়ে দেখতে। মনে হচ্ছিল এই ভর্তা সাদা ভাত দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লাগতেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
হ্যাঁ আপু,ভর্তা সাদা ভাত দিয়ে খেলেই বেশি স্বাদ পাওয়া যায়।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রেসিপিটা খুব সুন্দর। দেখে মনে হচ্ছে আপনাদের নিজেদের বাড়ির শিম দিয়ে তৈরি করেছেন। বেশ ঝালও মনে হচ্ছে,ঝাল খাবার দাবার আমার একটু বেশিই প্রিয়। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এমন একটি রেসিপি আমাদের করে দেখানোর জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমাদের বাড়ির গাছে ধরা কলাশিম।আমি খুব ঝাল খেতে পছন্দ করি, খুবই স্বাদের হয়েছিল খেতে।আপনি ও এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু,আপনার কলা শিম ভর্তা দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে।আমি যে কোনো রকমের ভর্তা খেতে খুবই পছন্দ করি।অনেকের থেকে শুনেছি এই সিম গুলো তরকারি রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদু।খুবই সুস্বাদু লাগছে আপনার কলা শিম ভর্তা।কলা শিম ভর্তা রেসিপি তৈরির বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু, শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপু,ভর্তা ও ভাজি খেয়েছি।বেশ স্বাদ লাগে।কিন্তু কখনো তরকারী করে খাওয়া হয় নি।একবার খেয়ে দেখবেন আপু এভাবে।ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু এই রেসিপিটা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ খেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপির সন্ধান পাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।