"মজাদার আশফলের ফালুদা রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি একদম ভিন্ন স্বাদের একটি পানীয় রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"মজাদার আশফলের ফালুদা রেসিপি"।
বন্ধুরা, বর্ষাকালেও যখন তীব্র রোদের উত্তাপ বাড়তে থাকে, গরম হাওয়ায় মানুষের শরীরের সকল এনার্জি ফুরিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে মানুষ তখনই বিভিন্ন ধরনের শরবত,জুস বা ফলমূলের ফালুদা জাতীয় পানীয় পান করেন।তাই আজ আমি নিজের মতো করে খুবই কম উপকরণ দিয়ে ফালুদা রেসিপি তৈরি করেছি।অনেকে এতে তোকমা,আইসক্রিম, কাস্টার্ড পাউডার ও বিভিন্ন ধরনের ফল ব্যবহার করে তৈরি করে থাকেন।কিন্তু আমি এগুলো কিছুই ব্যবহার করিনি বরং হাতের কাছে থাকা কম উপকরণ ও এক প্রকার ফল দিয়ে মজার রেসিপিটা তৈরি করেছি।আমি এখানে আশফল ব্যবহার করেছি, এই ফলকে অনেকে কাঠলিচু, গরিবের লিচু এবং লংগান নামেও চিনে থাকে।সত্যিই এটি খুবই পুষ্টিকর ও শান্তিদায়ক হয় ফালুদা রেসিপি,একদম মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ। তাই এই ফালুদা খেয়ে আমার শরীর ও মন পুরো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল,একটা আলাদা রকমের প্রশান্তি কাজ করছিল মনে...।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন ফালুদা তৈরি শুরু করা যাক--
★উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আশফল | 21 টি |
সিমুই | 1/2 কাপ |
কিসমিস | 5 টি |
আমূল গুঁড়ো দুধ | 1 প্যাকেট |
চিনি | 2.5 টেবিল চামচ |
জল | পরিমাণ মতো |
★প্রস্তুতপ্রণালি:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আমি কিছু পরিমাণ আশফল নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
●আশফলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
ধাপঃ 3
●এবারে আশফলের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দেব।এটির ভিতরে লিচুর মতো দেখতে এবং আলাদা একটা স্মেল পাওয়া যায়।
ধাপঃ 4
●এরপর আশফলের দানাগুলি ছাড়িয়ে নেব ।আর এটির দানাগুলি অনেক সুন্দর দেখতে।
ধাপঃ 5
●তো আমার সব আশফলের শাস ছাড়িয়ে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 6
●এবারে আমি কিছু কাঁচা সিমুই নিয়ে নিলাম সঙ্গে কয়েকটি কিসমিস এবং একটি গুঁড়ো দুধের প্যাকেট নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 7
●এখন একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ জল নিয়ে গুঁড়ো দুধটি চামচের সাহায্যে সুন্দর করে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 8
●এরপর দুধের মধ্যে চিনি দিয়ে দেব স্বাদ অনুযায়ী।তারপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
●আমি দুধের পাত্রটি চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দেব।
ধাপঃ 10
●দুধটি ফুটতে শুরু করলে আমি 2 মিনিট পর কাঁচা সিমুইগুলি দিয়ে দেব দুধের মধ্যে।
ধাপঃ 11
●এবারে দুধের পরিমাণ কিছুটা কমে আসলে এবং সিমুই সেদ্ধ হয়ে গেলে আমি প্রায় 5 মিনিট পর এর মধ্যে ছাড়িয়ে রাখা আশফলগুলো দিয়ে দেব।
ধাপঃ 12
●তো সব উপকরণ ভালোভাবে চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিয়ে আমি আরো 3 মিনিট ধরে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করে নেব।তো আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল।
ধাপঃ 13
●এরপর আমি আলাদা একটি পাত্রে রেসিপিটা নামিয়ে হালকা ঠান্ডা করে নেব।
ধাপঃ 14
●এবারে একটি কাচের গ্লাসে ঢেলে নেব রেসিপিটা।সবশেষে উপর থেকে কিসমিস টুকরো করে ছড়িয়ে দেব।
সর্বশেষ ধাপঃ
●তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল কম উপকরণে"মজাদার আশফলের ফালুদা রেসিপি"।এবারে এটি পরিবেশন করতে হবে।তো এটি খেতে অসম্ভব মজাদার ও টেস্টি।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আমি বেশ কয়েকবার এরকম আশফলের ফাদুয়া রেসিপি খেয়েছিলাম। ভীষণ ভালো লাগে খেতে এটি। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বর্ষাকালে আসলে তীব্র রোদের উত্তাপ বাড়তে থাকে আর অনেক গরম গরম পড়ে। যে কারণে আসলে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আপনি খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মজাদার আঁশ ফলের ফালুদা রেসিপি। ফালুদা আমার খুব পছন্দের ,আমি অনেক খাই কিন্তু কখনো এরকম আশফল ফালুদা রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
এভাবে আশফল দিয়ে একদিন ফালুদা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, খুবই মজার।ধন্যবাদ আপনাকে😊.
গরিবের লিচু বেশ ইন্টারেস্টিং নাম তো হা হা😝।ঠিকিই বলেছেন গরমে ঘামের সাথে এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়।সিমুই কি সেমাই কে বলা হলো।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
ঠিক ধরেছেন আপু,সেমাইকে আমরা সিমুই বলি।আর আশফল গাছে প্রচুর পরিমানে ধরে থাকে ও লিচুর মতো দেখতে বলে এর নাম গরিবের লিচু।অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আশফল কি আমি আসলে এটি প্রথম দেখেছি, দেখতে কিছুটা লিচুর মত। এটি দিয়ে এত সুন্দর ফালুদা তৈরি করেছেন যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ফালুদা আমার খুবই প্রিয় মাঝে মাঝে বাসায় বানাই তবে আসফল দিয়ে কখনো বানাইনি।
আপু আশফল লিচুর মতো দেখতে বলে এর আর এক নাম কাঠলিচু।আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,ধন্যবাদ আপু।
আপু আমিতো হুমরি খেয়ে পড়ি ঠান্ডা পানি ঠান্ডা জুস এর উপর। তারপর শরীর কিছু চাঙ্গা ও এলার্জি ভরপুর হয় । আর আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটি লটকন ফল। তারপর কিছুক্ষণ গুগলে গবেষণা করলাম তারপর বুঝলাম এটি ভিন্নধর্মী একটি ফল। তবে এই ফল আমি কখনো খাইনি। আর গরিবের লিচু শুনে খাওয়ার আগ্রহটা বেড়ে গেল। যাইক আপু আমি কখনো এমন ফালুদা খাইনি। এই ফলটি পেলে অবশ্য চেষ্টা করব।
🤭😛আপু সত্যিই এটি মজাদার রেসিপি, অবশ্যই চেষ্টা করবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্ষাকালে রোদের তাপ টা একটু বেশি থাকে তাই গরম টাও বেশি লাগে। মনটা অনেক শান্তিতে ভরে ওঠেএই গরমে মজাদার টেস্টি ফালুদা খেয়ে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ইউনিকভাবে তৈরি করার চেষ্টা করলাম রেসিপিটা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এলাকায় এ ফলটিকে পিস ফল বলা হয়ে থাকে। লিচুর চাইতে কিছুটা ছোট আকৃতির এই ফলগুলো আমার খুবই প্রিয়। তবে আপনার মত এভাবে ফালুদা তৈরি করতে কখনো ব্যবহার করিনি। দারুন লাগলো আপনার রেসিপি। ধন্যবাদ দিদি
আপনার কাছে আমার রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিন্ন রকম একটি ফালুদা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আশফল দিয়ে কখনো ফালুদা খাওয়া হয়নাই। খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনি রেসিপি। দেখে কলিজাটা হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও এই প্রথম তৈরি করলাম আশফল দিয়ে ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।
ওয়াও অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন তো। এত সুন্দর ভাবে ফালুদা তৈরি করেছেন আমার কাছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া ভীষণ সুস্বাদু হবে। তাছাড়া আঁশফল গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছে রেসিপিটা খেতে বিষণ সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু,ভীষণ সুস্বাদু খেতে।আপনার অনুভুতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।