"একদিন সরিষা ক্ষেতের উদ্দেশ্যে"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
একদিন সরিষা ক্ষেতের উদ্দেশ্যে:
বন্ধুরা,কিছুদিন পূর্বে আমি আলুক্ষেতের দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সঙ্গে।আজ শেয়ার করবো সরিষা ক্ষেতের দৃশ্য।আমাদের বর্ধমানে বিশেষ বিশেষ কিছু ফসলের চাষ করা হয়।যেমন-ধান,আলু,পেঁয়াজ,সরিষা,গাঁদা ফুল ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও চাষ করা হয়ে থাকে।পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয় এখানে।আসলে আমাদের এখানের জমি তিন ফসলী। যাইহোক আমি কয়েকদিন আগে সরিষা ক্ষেতেও ঘুরতে গিয়েছিলাম।
যেকোনো সবজি চাষ করা খুব পরিশ্রম ও কষ্টসাধ্য কাজ হলেও সরিষা চাষ করা একেবারেই কম কষ্টের।সরিষা লাগানোর জন্য ছোট ছোট মাটির পিলি কেটে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।শুধু একটু উঁচু জমিতে সরিষা বীজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেই খুব সহজেই জন্মে। সরিষা একটু উঁচু জমিতে ভালো হয়।তবে সরিষা ক্ষেত গরু-ছাগলের দ্বারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই একটু পাহারা বা বেড়া দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
সরিষা তিন প্রকারের হয়ে থাকে।কিন্তু ফুল দুই রঙের হয়ে থাকে।হলুদ রঙের সরিষা ফুলে লাল এবং কালো রঙের সরিষা হয়ে থাকে।কিন্তু সাদা রঙের ফুলে সাদা রঙের সরিষা হয়ে থাকে।তবে গাছের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।লাল রঙের সরিষা ফুলের গাছ একবারে ছোট ছোট ।মাটি থেকে এক বিঘেত পরিমাণ উঁচু থাকে।কিন্তু অন্যান্য সরিষাগুলিতে বেশ বড়ো জাতের গাছ হয়।
আমাদের এখানে বেশ কিছু মাঠজুড়ে সরিষা চাষ করা হয়েছে।তবে সরিষা মাত্র দুইবারের জল সেচে ভালোভাবে ফলন হতে পারে।কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে পড়ে বৃষ্টিকে ঘিরে।আসলে বৃষ্টির জল জমলে খুব সহজেই সরিষা গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং নষ্ট হয়ে যায়।আমি মাঠে গিয়ে যতদূর চোখ রেখেছি ততদূর শুধু সরিষা ক্ষেত দেখতে পেয়েছি।যেটা খুবই সুন্দর।হলুদ রঙের ফুলে চোখ জুড়িয়ে যায়।অনেকেই আবার সরিষা ফুলের ক্ষেতে ছবি তুলতে আসেন।
সরিষা ক্ষেত দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর ফুল ও পাতা নানান রেসিপি বানিয়ে ও খেতে মজার।সরিষা ফুলের পাতার চপ ও ভাজি করে খাওয়া যায়।একবার আমি মুচমুচে সরিষা শাকের পকোড়া রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ।যেটা খেতে অনেক টেস্টি ছিল।হলুদ রঙের সমারোহে সময় কাটিয়ে মন সত্যিই খুব ভালো হয়ে যায়।
আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের ব্লগটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸
বিষয় | একদিন সরিষা ক্ষেতের উদ্দেশ্যে |
---|---|
স্থান | পালসিট |
ডিভাইস | redmi 10 pro max |
টুইটার লিংক
যদিও আপনার আগের আলুক্ষেতের দৃশ্যর পোস্ট আমি দেখেনি,তবে এই পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো।সরিষার ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।সরিষা ক্ষেত সরাসরি অনেক বছর ধরে দেখা হয় না,তাই তেমন কিছু জানতাম না।ভালো লাগলো সব কিছু জেনে।ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
সরিষার তিন প্রকারের হলেও আমাদের বাংলাদেশে বেশিরভাগ জায়গাতেই শুধু হলুদ ফুল ফোটে সেই সরিষা ফুলগুলো দেখা যায়। যেকোনো ফসল উৎপাদন করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। যাই হোক আপনার শেয়ার করা সরিষা মাঠের ছবিগুলো বেশ সুন্দর লাগছে। সবুজ গাছ আর হলুদ ফুলের সমন্বয়ে সরিষা মাঠের সৌন্দর্য বেশ ভালো লাগছে।
হলুদ সরিষা ই বেশি চাষ করে মানুষ, ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত সপ্তাহে আপনার আলুর ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজ আপনি সরিষার ক্ষেতের ফটোগ্রাফি করেছেন।আসলে শীতের সময় সরিষার ক্ষেত গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। কারণ সরিষা শীতকালে হয়ে থাকে। সরিষা যখন ফুল ফোটে তখন তার অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে মানুষকে।সরিষা ফুল এবং পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়।
ঠিক বলেছেন সরিষা শীতকালেই বেশি দেখা যায়।ধন্যবাদ আপনাকে
গত আলু ক্ষেতের পোস্ট আমার পড়া হয়নি।তবে আজ সরিষা ক্ষেতের পোস্ট পড়ে বেশ ভাল লাগলো। অনেকদিন সরিষা ক্ষেত সামনে থেকে দেখা হয়ে উঠেনি।তবে আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভাল লাগলো। অনেক অনেক কিছু জানতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মত আমিও এ বছরে বেশ কয়েকবার সরিষার কে ভ্রমণ করেছি এবং অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। আসলে সরিষা ফুলের সুমিষ্টি গন্ধ এবং নয়ন জুড়ানো হলুদের সমারোহ দেখতে কার না ভালো লাগে।।
আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই বুঝতে পারছি আপনি অনেক সুন্দর সময় এখানে অতিবাহিত করেছিলেন।।
সরিষা ফুলের সুমিষ্ট গন্ধ আমার ভালো না লাগলে ও রংটি আমার বেশ পছন্দের।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সরিষা যে তিন প্রকার হয় সেটা আজকে আমি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। আর হ্যাঁ ফসল উৎপাদন করতে হলে একটু তো কষ্ট করতে হবে তবে সরিষা চাষ এর ক্ষেত্রে কষ্টটা একটু কম। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তিন প্রকার সরিষা হয়ে থাকে ভাইয়া ,যদিও এর আলাদা নাম ও রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই সরিষার ক্ষেত পর্যবেক্ষণের পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে সরিষা বপনের পদ্ধতি সহ আরো অন্যান্য বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যি যখন সরিষার গাছে সরিষা ধরে যায় তখন যদি সামান্য বৃষ্টি হয় তখন সরিষার গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়ে। তাছাড়া সরিষা যখন একটু একটু বড় হয় তখন যদি সামান্য পানির শেষ দেওয়া হয় তাহলে ফলন অনেক বেশি ভালো হয় বলে আমার মনে হয় আমরা প্রতিবার সরিষা খেতে দুইবার পানি দিই এতে সরিষা অনেক ভালো ফলন হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আসলে সরিষা খেতে জল ও খুব কম লাগে।আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ইচ্ছে আছে আপু একদিন সরিষা ক্ষেতে যেয়ে ঘুরবো।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে কোন ধরনের সরিষার চাষ হয় না তবে অল্প চাষ হয় যা শুধু শাক খাওয়ার জন্য।আপনি অনেক প্রকারের সরিষার কথা শেয়ার করেছেন এছাড়া ও সরিষার ক্ষেতে অনেক ঘোরাফেরা করেছেন।অনেক ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন আপু সরিষা ফুলের বাগান থেকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আলু ক্ষেতের দৃশ্য আমি দেখিনি। তবে আজকে সরিষা ক্ষেতের দৃশ্য দেখলাম। আসলে সরিষা চাষ করতে অন্যান্য চাষ থেকে অনেক ইজি। তবে সরিষার গাছের পাতা দিয়ে পকোড়া এবং ভর্তা বানানো যায়। আসলে সরিষা ক্ষেতগুলোতে এমনিই বিকেলবেলা ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। শুধু সরিষার ফুল আর ফুল। তবে এর আগে সরিষা পাতা দিয়ে আপনি পকোড়া বানিয়েছেন তা আমি দেখেছিলাম। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
সরিষা পাতা দিয়ে পকোড়া বেশ টেস্টি হয়, খেয়ে দেখবেন একদিন।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।