আমার স্বরচিত কবিতা "ক্ষনিকের উষ্ণতায়"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন একটি ভিন্নধর্মী কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে।কবিতা লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে।বিশেষ করে আমি সবসময় বাস্তবতা ও প্ৰকৃতি নিয়ে লিখতে ভালোবাসি।তো সেই ভালো লাগা থেকেই প্রতি সপ্তাহে আমি একটি করে কবিতা মন থেকে লেখার চেষ্টা করি।কিন্তু আজ একটু ব্যতিক্রমধর্মী কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম।(শীতের সকালে শিশির ভেজা পথে খালি পায়ে হাঁটতে এক আলাদা রকমের অনুভূতি জাগে মনে।চারিদিকে সবুজ ও হলুদ সরিষা ফুলের গন্ধে ম-ম করে মাঠের প্রান্তর।এই শীতে কলকাতা শহর যেন বন্দি ,যেখানে সূর্যের আলো পড়ে না একফোঁটাও।তবুও তরুণ-তরুণীর গোপন ভালোবাসায় ক্ষনিকের জন্য হলেও একটুখানি উষ্ণতা আগুন হয়ে ঝরে পড়ে।)তো এই ভাবনাতেই লিখে ফেললাম কয়েকটি লাইন।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে কবিতাটি।তো চলুন শুরু করা যাক---
(১)
হিমেল হাওয়ার উষ্ণতা
পায়ে মেখে শিশির বিন্দু
নিরালা পথে হেঁটে চলেছে এক অপরিচিতা
সবুজ, হলুদ সরিষা ক্ষেতে
গন্ধে মাতোয়ারা মাঠ-প্রান্তর
সেই অপরিচিতা হেঁটে চলেছে
শিশির বিন্দু মেখে(২)
পর্বতের গহীন পথে
চলেছে দুটি তরুণ-তরুণী
নদী পাড়ের স্নিগ্ধতায়
দুটি হৃদয়ের অনাবিল ইচ্ছেরা
উষ্ণ হয়ে ঝরে পড়ে(৩)
কলকাতায় শীতের সন্ধ্যা
কালো মেঘের রূপে সূর্য বাঁধা
কোনো দিশাহীন সীমানার পথে
প্রেমিক -প্রেমিকার আলতো স্পর্শে
সবুজ গাছেরা নতুন ছন্দে
ক্ষনিকের উষ্ণতা খুঁজে ফিরে।
ক্ষনিকের উষ্ণতায়
হিমেল হাওয়ার উষ্ণতা
পায়ে মেখে শিশির বিন্দু
নিরালা পথে হেঁটে চলেছে এক অপরিচিতা
সবুজ, হলুদ সরিষা ক্ষেতে
গন্ধে মাতোয়ারা মাঠ-প্রান্তর
সেই অপরিচিতা হেঁটে চলেছে
শিশির বিন্দু মেখে
পর্বতের গহীন পথে
চলেছে দুটি তরুণ-তরুণী
নদী পাড়ের স্নিগ্ধতায়
দুটি হৃদয়ের অনাবিল ইচ্ছেরা
উষ্ণ হয়ে ঝরে পড়ে
কলকাতায় শীতের সন্ধ্যা
কালো মেঘের রূপে সূর্য বাঁধা
কোনো দিশাহীন সীমানার পথে
প্রেমিক -প্রেমিকার আলতো স্পর্শে
সবুজ গাছেরা নতুন ছন্দে
ক্ষনিকের উষ্ণতা খুঁজে ফিরে।
আশা করি আমার আজকের লেখা কবিতাটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের সময় শিশির ভেজা মাটিতে হেঁটে বেড়াতে বেশ ভালই লাগে।যখন সূর্যের আলো পড়ে না কুয়াশায় চারিদিকে অন্ধকার হয়ে পড়ে। ঠিক ওই সময় প্রেম করার মজাটাই আলাদা। প্রেমিক প্রেমিকার সাথে দেখা করে রাস্তার মাঝে বাহিরের লোক কেউ কাউকে দেখতে পারেনা। যাহোক আপু ক্ষনিকের উষ্ণতা নিয়ে শীতের এই সময় আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
শীতের সময় ঠান্ডা মাটিতে হাঁটতে ভালো লাগে কিন্তু এই হাঁটার পরিমাণটা যদি বেশি সময় হয়ে যায় তাহলে নিশ্চিত কোনো ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%।
শীতকালে প্রকৃতির সাজে যেন এক নতুন রূপে চারিদিকে সরিষা ফুল দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে তাকালেই হলুদ বর্ণে সাওয়া দৃশ্য গুলো চোখে মেলে।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন কবিতার মাঝে দুটি মনের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনার কাছে কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্ষনিকের উষ্ণতা নিয়ে আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। ঘাসের ওপর ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু চমৎকার একটা অনুভূতি। আর অপরিচিতা শিশির বিন্দু মেখে হেঁটে যায়।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।
আমাকে সুন্দর মন্তব্য দ্বারা উৎসাহ দেওয়ার জন্য,ধন্যবাদ আপু।
আপু যা শীত খালি পায়ে শিশির উপর পা রাখলে পা অবশ হয়ে যাবে😉,এই শীতে কম্বল ছাড়া কোন কিছুই ভালো লাগে না।হা হা যাই হোক সুন্দর তিনটি অনুকবিতা লিখেছেন। একেকটা একেক রকমের সুন্দর।
ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
☺️☺️ আপু প্রেমিকের জন্য তো এটুকু করাই যায় তাইনা,এটা তো শুধুই কবিতা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন,কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যিই অসাধারণ কবিতা, কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কবিতা লিখতে আপনি ভালোবাসেন তাও প্রকৃতি এবং বাস্তবতা নিয়ে এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে কবিতা পড়তে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। কবিতার মাধ্যমে নিজের দক্ষতার প্রকাশ ঘটে। আপনি কবিতাটির প্রত্যেকটি লাইন খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। মনটা ভরে গেল আপনার কবিতা পড়ে। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনুপ্রেরণা পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু ,আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় শিশির ভেজা মাটিতে হেঁটে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে। তবে সাথে যদি নিজের প্রিয় মানুষটা থাকে তাহলে আরো ভালো লাগে। ক্ষনিকের উষ্ণতা নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনার কবিতাগুলো যতই পড়ছি ততই আপনার কবিতার প্রেমে পড়ে যাচ্ছে।আপনার কবিতা গুলোর ভাষা এবং শব্দের মিল অনেক সুন্দর হয়ে থাকে সব সময় । তাই আপনার কবিতা আমার বেশী ভালো লাগে।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক উৎসাহ পেলাম আপু,অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ভিন্নধর্মী কবিতা লিখেন জেনে ভাল লাগল। কুয়াশার মধ্যে শিশির ভেজা ঘাসের উপর হেটে যেতে অনেক ভাল লাগে। আপনার কবিতায় সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য, কলকাতা শহরের শীতের প্রকৃতির অবস্থা তুলে ধরেছেন। আপনার কবিতা পড়ে আমার ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি।
আপনাদের ভালো লাগলেই আমার লেখা সার্থক ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।