"শিউরে ওঠা ভয়ংকর চোর" (গল্প হলেও সত্যি)

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি গল্পটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।

শিউরে ওঠা ভয়ংকর চোর (গল্প হলেও সত্যি):

IMG_20240522_111439.jpg
সোর্স

দিন দিন মানুষেরা জন্তু -জানোয়ারে রূপ নিচ্ছে।অর্থাৎ তাদের দেখতে মানুষ মনে হলেও কার্যকলাপে পুরোটাই অমানুষ বা হিংস্র পশুর মতোই।এরা মনের দিক থেকে অনেকটা দয়া ও মায়াহীন হয়ে থাকে, অনেকেই আবার পেটের দায়ে এইসব কর্মে লিপ্ত হয়ে থাকে।মাঝে মাঝেই এমন শিউরে ওঠা ঘটনার খবর কানে আসে আমাদের, যেটা রীতিমতো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় শুনলে।তো সত্য কখনো লুকায়িত থাকে না, এক মানুষের কান ঘুরে ঘুরে অন্য মানুষের কানে চলেই যায়।অনেক কিছু তাতে বেমানান থাকলেও কিছু সত্য তো থেকেই যায়।কারন --সূত্রপাতের উদ্ভব তো যা ঘটে তার কিছুটা তো সত্য বটেই তাইনা! তেমনি ছোটবেলায় আমার দিদিমার মুখ থেকে শোনা এই গল্পটি।যাতে অমানবিকতার পরিচয় লিপিবদ্ধ।যেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ নিজেকে মানবিকতা হতে আটকাবে।তাই [অপরিচিত হতে সাবধান] বন্ধুরা।তো চলুন গল্পটি শুরু করা যাক---

সময়টা শীতকাল।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে বসেছে।আরেকটু পরেই গোধূলি শেষ হয়ে রাতের দেখা উঁকি দেবে।ঠিক সেইসময় আগমন ঘটে একজন অপরিচিত মহিলার।পরনে অদ্ভুত ধরনের পোশাক,কাঁধে ঝোলানো এক ইয়া বড় কাপড়ের ঝোলা।গ্রামের দিকে সারাদিন-ই অপরিচিত লোকের আনাগোনা ঘটতে থাকে বাড়িতে।কখনো, কাবুলিওয়ালা তো কখনো ফেরিওয়ালাদের দেখা মেলে বাড়ির উঠানেও।যদিও বর্তমানে এদের সংখ্যা কমেছে,তবে আতঙ্কের সংখ্যা মাঝে মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

বাড়ির লোকেরা জড়ো হলো।গ্রামের দিকে কাউকে দেখলেই সবাই জড়ো হয়ে যায় তার সম্পর্কে জানার জন্য।বাড়িতে ঢুকেই অপরিচিত মহিলাটি বললো----

আমারে এক গ্লাস জল দিবেন? অনেক পিপাসা পেয়েছে,অনেক দূর থেকে এসেছি।বাড়ির একজন মহিলা এক গ্লাস জল এনে দিলে মহিলাটি সেটা খেয়ে তৃষ্ণা মেটালো।তারপর নানান গল্পে মত্ত হলো,একসময় সন্ধ্যা শেষ হওয়ার পথে।

তখন মহিলাটি বললো----আমাকে একটু থাকতে দিবেন ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাবো।আসলে আমার বাড়ি অনেকটা দূর একটা দরকারি কাজে নতুন জায়গায় এসেছি।তাই এই রাত্রে আমি ফিরেও যেতে পারবো না।গ্রামের মানুষেরা বেশিই আন্তরিক ও একটুতেই গলে যায়,তাই মহিলারা রাজি হয়ে গেল।যদিও বাড়ির পুরুষ মানুষ প্রথমে ইতস্তত করলে যেহেতু মহিলা তাই আর না করলো না।মহিলাটির থাকার জন্য একটি পুরোনো কামরা দেওয়া হলো।গল্প শেষ করে মহিলাটি যখন-ই তার ঝোলা নিয়ে উঠে যাবে তখনই তার ঝোলা থেকে ঝনঝন করে আওয়াজ হতে লাগলো।মহিলাটিকে ওই বাড়ির লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো---

এই ঝোলায় কি আছে?তখন মহিলাটি অনেক বুদ্ধির সঙ্গে সামলে নিলো,যে এতে কিছু থালাবাসন রয়েছে।তাই অন্যরা আর কিছু বললো না, রাতে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো।ওই বাড়িতে দুটি মেয়ে রয়েছে, যদিও তারা খুব একটা বড় নয়।তখনই মহিলা আবদার করে বসলো---

নতুন জায়গায় আমার একা থাকতে ভয় করবে।যদি আপনার কোনো মেয়ে আমার সঙ্গে থাকে তাহলে খুব ভালো হয়।এই কথায় কেউ রাজি হয় নি প্রথমে তারপর অগত্যা ছোট মেয়েকে পাঠিয়ে দিলো মহিলার সঙ্গে থাকার জন্য।মহিলাটি তার গল্প দ্বারা ফাঁসিয়ে নিলো ছোট মেয়েটিকে,যখন ছোট মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।অনেক সাবধানে মহিলাটি উঠে পড়লো তারপর আস্তে করে তার ঝোলা খুললো।ঝোলা থেকে বের করলো ইনজেকশন, কিছু হাতিয়ার বা অস্ত্র।যেমন-ছুরি ,কেচি ইত্যাদি।ছোটমেয়েকে একটি ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে নিলো।কারন সেই ছিল তার টোপ, তাই দ্রুত কাজ সেরে ফেলতে লাগলো।তবুও যখন মেয়েটি ছটফট করতে লাগলো তখন তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেললো।এবারে কেচি ,ছুরি যা অস্ত্র চালানোর সব চালিয়ে কিডনি বের করতে শুরু করলো।কামরাতে তখন কাঁচা রক্তের স্রোত বয়ে গেল।মহিলাটির কাজ হয়ে গেলে নিঃশব্দে তার পোশাক পরিবর্তন করে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো রাতের আঁধারে।।


আশা করি আমার আজকের গল্পটি আপনাদের সকলের কাছেই ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং: গল্প
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

সর্বনাশ, এ কি খতরনাক গল্প বোন!🙀 আমি তো ভেবেছিলাম, মনে হয় শেষ পর্যন্ত চুরি করে পালিয়ে যাবে মহিলাটা কিন্তু এ তো দেখছি ছোট বাচ্চাদের কিডনি বের করে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেল! তবে তোমার এই গল্প থেকে একটা বড় ধরনের শিক্ষা পেলাম, যে বাইরে থেকে কোন অপরিচিত লোক আসলে তাকে ঘরে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। এমনকি বাচ্চাদেরও তাদের সাথে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।

 6 months ago 

এইজন্যই তো দাদা,অপরিচিত লোককে বিশ্বাস করা উচিত নয় একদম।ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার লেখা গল্প পড়ার জন্য।

 6 months ago 

অপরিচিত লোককে বিশ্বাস করা উচিত নয় একদম।

একদম ঠিক কথা বলেছো বোন। এই ব্যাপারে আমাদের সাবধানে থাকা উচিত।

 6 months ago 

হুম😊

 6 months ago 

কি ভয়ংকর গল্প দিদি তাও আবার সত্যি ঘটনা সিনেমা কেও হার মানাব। কি ভয়ংকর মহিলা চোর যেন তেন চোর নয় কিডনি চোর। গল্পটি পড়তে গিয়ে গায়ের লোম শিউরে উঠলো আমার খেজুরের কাটার মত। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করে জনসচেতনতা করিয়ে দেয়ার জন্য।

 6 months ago 

সত্যিই দিদি,খুবই ভয়ংকর মহিলাটির কাজ।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.035
BTC 91483.13
ETH 3152.10
USDT 1.00
SBD 3.10