"তেলাকুচা শাকের ফলের চচ্চড়ি রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা?
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো নতুন একটি রেসিপি।সেটি হলো "তেলাকুচা শাকের ফলের চচ্চড়ি রেসিপি"।
তেলাকুচা শাক গ্রামাঞ্চলে সাধারণত বিভিন্ন ঝোপ ঝাড়ে জন্মায়।কিছুদিন আগে আমি এই তেলাকুচা শাকের ফল ভাজি রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।তখন এর পুষ্টিগুণ ও উপকারীতা সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছিলাম।তবে আজ একটু ভিন্নভাবে রান্নাটি করেছি।এই ফলটি দেখতে কিছুটা কুদরি ফলের মতো।যাইহোক এই তেলাকুচা ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী।বিশেষ করে এটি হজম ,মাথা ব্যথা দূর করতে,স্নায়ু দুর্বলতা রোধ করতে এবং ডায়াবেটিস রোগের ঔষধ হিসেবে দারুণভাবে কাজ করে।তো চলুন রান্না শুরু করা যাক---
★উপকরণ:
1.তেলাকুচা শাকের ফল - 300 গ্রাম
2.চিংড়ি - 60 গ্রাম
3.আলু- 1 পিচ
4.লবণ - 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ- 1/2 টেবিল চামচ
6.ভাজা গোটাজিরে গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
7.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
8.রসুন কুচি- 6 কোয়া
9.গোটা জিরে - 1/2 টেবিল চামচ
10.কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়া - 1 টেবিল চামচ
11.কাঁচা লঙ্কা - 5 টি
12.সরিষার তেল- 60 গ্রাম
13.পরিমাণ মতো জল
★প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
◆প্রথমে আমি ঝোপের মধ্যে থেকে এই তেলাকুচা শাকের ফল সংগ্রহ করবো।
ধাপঃ 2
◆এরপর একটি আলু ও তেলাকুচা ফলগুলি নিয়ে নেব রান্নার জন্য।
ধাপঃ 3
◆একটি বটির সাহায্যে তেলাকুচা শাকের ফলগুলো ফালি ফালি করে কেটে নেব।তারপর ভালোভাবে সব দানা কেটে বাদ দিয়ে দেব।অন্যদিকে আলুটি মিডিয়াম সাইজে ছোট করে কেটে নিলাম।এরপর ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে ভালোভাবে।এছাড়া কাঁচা লঙ্কা গুলি কেটে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম।
ধাপঃ 4
◆এরপর আমি কিছু চিংড়ি কেটে ধুয়ে নেব।এবার মিডিয়াম আঁচে একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে ভেঁজে নিলাম চিংড়িগুলি।
ধাপঃ 5
◆এরপর একে একে রান্নার সকল উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 6
◆এবার ওই কড়াইটি পুনরায় বসিয়ে দেব চুলায়।তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নেব।
ধাপঃ 7
◆তেল হালকা গরম হলে পেঁয়াজ,রসুন কুচি ও গোটা জিরা দিয়ে দেব।
ধাপঃ 8
◆পেঁয়াজগুলি হালকা ভেঁজে নেওয়ার পর আলুগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
◆এরপর কাঁচা লঙ্কাসহ ,সকল গুঁড়া মসলা গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
◆এরপর নেড়েচেড়ে নিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম 4 মিনিটের জন্য।
ধাপঃ 11
◆ঢাকনা খুলে আবার পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে দেব।
ধাপঃ 12
◆এইবার এর মধ্যে ভেঁজে রাখা চিংড়ি মাছগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 13
◆এবার সবকিছুই নেড়েচেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 14
◆এরপর একটু জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিলাম 10 মিনিট মতো আলু সেদ্ধ হওয়ার জন্য।10 মিনিট পর দেখা যাবে তরকারীটি পুরোপুরি হয়ে গেছে।
ধাপঃ 15
◆সবশেষে এটি নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।তো তৈরি হয়ে গেল "তেলাকুচা শাকের ফলের চচ্চড়ি রেসিপিটি"।এরপর গরম ভাতের সঙ্গে এটি পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।কারণ এতে কোনো সার-বিষ প্রয়োগ করা হয় না।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আচ্ছা ওই ফলটার স্বাদ কেমন? আমি কখনো খাইনি। কিন্তু এই তরকারি দিয়েছি এত মজা করে তরকারি রান্না করা যায় তাতো আমার ধারনার বাইরে ছিল। আর একটা জিনিস তো আমি সব সময় বলি যেটা হলো নিজের বাগানের কোন সবজির মূল্য টাকায় হিসাব করা যায় না। ওটার চেয়ে নিরাপদ আর সুস্বাদু আর কোন কিছু লাগেনা। সেটা খারাপ হলেও মনে হয় যেন বেশ মজার ।
আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে হঠাৎ মাথায় একটা কবিতার লাইনে এসে পড়ল :-
"আর কতবার বলবো আমি মজাদার ও বেশ স্বাদ,
যখন রান্নায় আছে দক্ষ পারদর্শীর হাত"
দিদি আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইল এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ফলটির স্বাদ দারুণ দাদা,খেয়ে দেখবেন একবার।
আপনি ঠিক বলেছেন দাদা,তবে এটি আমার বাগানে চাষ করা নয় ঝোপ-ঝাড় থেকে সংগ্রহ করা সবজি।
কবিতার লাইনটি ভালো ছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
তেলাকুচা পাতা রোগীর পথ্য হিসেবে এখনও ব্যবহার হয়ে থাকে । বোন আপনি ভাল একটি ঔষধি গাছের ফলের রেসিপি তৈরী করেছেন। তবে আমাদের এখানে অনেকে ফল টি খায় না তবে পাতা দিয়ে শুকতানি রান্না করে খায়। যাই হোক দারুন রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
দাদা, আমি কখনো পাতা খাইনি।তবে তেলাকুচা শাকের ডাটা ও ফল খেয়েছি।আমরা এর ডাটা দিয়ে সুক্ত রান্না করে খায়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
যদিও আমি এটি কখনো খাইনি আগে। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুবই ভালো লাগবে। এবং অনেক মজাদার হবে। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আপু।ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সেজন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
হ্যাঁ আপু,এটি খেতে অনেক মজার।খেয়ে দেখবেন একদিন।আমার রেসিপি দেখে যদি আপনি একটু হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন এতেই আমার সার্থকতা আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
তেলা কচুর পাতা ভরতা খেতে দেখেছি তবে এই প্রথম এটার ফলের চরচরি দেখলাম। আপু আপনি মানেই ইউনিক রেসিপি ইউনিক কাজ।ধন্যবাদ সুন্দর এই ইউনিক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া, আমি কখনো পাতা খাইনি।তবে তেলাকুচা শাকের ডাটা ও ফল খেয়েছি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আমি তেলাকুচা শাক খেয়েছি অনেক ভালো লাগে। তবে তেলাকুচি ফলটা খেয়েছি একবার কারণ এই ফলটা অনেক তেতু।
তেলাকুচা শাকের ফলের চিংড়ি দিয়ে চচ্চড়ি করেছেন আপু।
দেখেই অনেক লোভনীয় লাগছে তবে আপু রেসিপি টা কি তেতু হয়েছে কি না?
ধন্যবাদ আপু নতুন রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
না,আপু এক বিন্দুও তেঁতো নয়।এটি খুবই টেস্টি খেতে,আমার মনে হচ্ছে আপনি ওই ফলের দানাসহ রান্না করেছিলেন।কারণ দানা ভীষণ তেঁতো হয় তাই আমি দানা সবসময় ফেলে দিয়ে রান্না করি।আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর জিজ্ঞাসু প্রশ্নের জন্য।
জি আপু দানা সহ রান্না খেয়েছি আম্মু রান্না করেছিল।
তাহলে তো আপু আমি অবশ্যই আপনার রেসিপি টা বাসায় ট্রাই করবো।
👍
তেলাকচু শাকের চচ্চড়ি রেসিডেন্সি কখনো খাওয়া হয়নি।চিংড়ি মাছ এমনিতেই অথবা ফেভারিট যেকোনো ভাবে রান্না করলে খুবই ভালো লাগে।অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। 😍😍
একবার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, দারুণ স্বাদের।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুমতামত জানানোর জন্য।
তেলাকুচা শাকের ফল নামটি প্রথম শুনলাম এবং ফলটি প্রথম দেখলাম। ফলটি দেখতে খুব সুন্দর। আপনি এই ফল দিয়ে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মজাদার মনে হচ্ছে। চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। এই মাছ দিয়ে যেকোনো কিছুই রান্না করলে সেটি খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আপনার আজকের রেসিপি কালার খুব চমৎকার হয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু,চিংড়ি মাছ দিয়ে সবকিছুই ভালো লাগে খেতে।আমার ও খুব পছন্দ চিংড়ি মাছ।এই রেসিপিটি খুবই মজার।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
তেলাকুচা যে রান্না করে খাওয়া যায় এটা আমি আগে কখনো জানতাম না।🙂 আমার মনে আছে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তেলাকুচা পেকে পেকে লাল হয়ে থাকত সেগুলো খেতে অনেক মজা লাগতো ,কিন্তু আপনি এই তেলাকুচা সবজিকে রেসিপি আকারে প্রকাশ করেছেন অনেক ভালো লাগছে দেখতে। খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে আমি আজও খাইনি তবে ট্রাই করে দেখব। পোস্টটি অনেক গুছিয়ে লিখেছেন আপু ,শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া, দারুণ টেস্টি খেতে।একবার এভাবে খেয়ে দেখবেন ,আশা করি ভালো লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তেলা কচুর ফল খাওয়া যায় সেটা আমি জানতাম কিন্তু কোনদিন আপনার মত চচ্চড়ি করে খাওয়া হয়নি তবে আমি তেলা কচুর ফল উঠায় নিয়ে আসি আমার টিয়া পাখিকে খাওয়ানোর জন্য আপনি খুব সুন্দর চচ্চরি প্রস্তুত করেছেন পরবর্তীতে আমি তেলা কচুর ফল গুছিয়ে আপনার মত রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করব এবং আমার টিয়া কেউ খাওয়াবো আপনার জন্য অনেক শুভকামনা থাকলো
ভাইয়া, যা পাখিতে খায় তা খুবই সুমিষ্ট ও টেস্টি হয় বলে আমি মনে করি।টিয়া পাখি ,দারুণ মজার পাখি।অবশ্যই ভাইয়া এভাবে রান্না করে আপনি খাওয়ার পাশাপাশি আপনার টিয়া কেউও খাওয়াবেন।😊অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জো হুকুম!!আপনার আদেশ চিরধায্য!!!
😊😊
জীবনের প্রথম দেখলাম, খাওয়া তো দুরের কথা, নামটাও কেমন জানি অদ্ভুত। তবুও আপনার রেসিপি কিন্ত দারুন ছিলো। ভাল লেগেছে আমার, সেই পর্যায়ের ইউনিক পোস্ট গিয়েছে আপি হিহিহি
আমার কাছে নামটি তো বেশ লাগে।হ্যাঁ ভাইয়া, রেসিপিটা খুবই মজার ছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।