"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।

জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:

শারদীয়া দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও তার স্মৃতি থেকে গেছে আমাদের ফোনের গ্যালারিতে।যদিও একটি পোষ্টের মাধ্যমে সব চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই আজ চলে আসলাম সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি নিয়ে।[বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গা পূজামন্ডপ থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে।এই কমিটির থিম মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের **সহজ পাঠ** বা প্রথম সংস্করণের এর আদলে তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবছর এখানে প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের আর্টকে কেন্দ্র করে করা হয়।ভিন্ন ভিন্ন বিষয় দিয়ে কাগজ কিংবা কাপড়ের উপর আর্ট করে সাজানো হয় প্যান্ডেলটি।]আশা করি জলরঙে করা ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।এছাড়া আমি কলেজ থেকে দুটি ছবি সংগ্রহ করেছিলাম সেটাই শেয়ার করলাম।যাইহোক তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলি দেখে নেওয়া যাক----

আলোকচিত্র: 1

IMG_20240429_234857.jpg

এই পেইন্টিংটি আমাদের অতি পরিচিত প্রাণী চিতা বাঘ মামার।যে গাছের ডালে বসে রয়েছে লেজ ঝুলিয়ে।আর তার পাশে ফুল ও পাখির খুব সুন্দর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।আর এই চিতা বাঘের-ই কিন্তু গাছের ডালে উঠতে বেশি দেখা যায়।যদিও বাস্তবে আমি কখনো এর সম্মুখীন হয়নি।

আলোকচিত্র: 2

IMG_20240429_235251.jpg

এটা হচ্ছে ঘুড়ি ও লাটাইয়ের অসম্ভব মজার একটি পেইন্টিং।আসলে মানুষের শরীর ঠিক থাকলেও মাথাকে ঘুড়ির আকৃতি দেওয়া হয়েছে।আর লাটাই ও সুতা ছাড়া ঘুড়ি অচল। তাই এখানে বোঝানো হয়েছে ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই।এটা অনেক ভালো লাগার একটি পেইন্টিং।

আলোকচিত্র: 3

IMG_20240429_235348.jpg

এটা হচ্ছে একটি রাজকুমারের দৃশ্য।যে ঘোড়ায় চড়ে তলোয়ার হাতে যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন আর একজন বার্তা বাহক সেই খবর ঢোল পিটিয়ে প্রচার করছে।যদিও বর্তমানে এই ঘোড়ার চলন আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খবরাখবর দেওয়ার প্রথা চালু নেই।এখন উন্নত বিশ্বে সবকিছুই পরিবর্তনীয়।

আলোকচিত্র: 4

IMG_20240429_235519.jpg

বন্ধুরা, এই পেইন্টিংটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন ছড়া বা কবিতার।ছোটবেলায় রোকনুজ্জামান খানের লেখা ছড়াগুলি ছিল আমার সবথেকে বেশি প্রিয়,তাই এখনো তা মনে জ্বলন্ত রয়েছে।সেটা হলো-নোটন নোটন পায়রাগুলি।

নোটন নোটন পায়রাগুলি
ঝোটন বেঁধেছে,
ওপারেতে ছেলেমেয়ে
নাইতে নেমেছে।
দুই ধারে দুই রুই কাতলা
ভেসে উঠেছে,
কে দেখেছে কে দেখেছে
দাদা দেখেছে।
দাদার হাতে কলম ছিল
ছুড়ে মেরেছে,
উঃ বড্ড লেগেছে।

আলোকচিত্র: 5

IMG_20240429_235024.jpg

এটা হচ্ছে একটি কালো পেইন্টিং।যেখানে মাল ভর্তি একটি গরুর গাড়ি দেখানো রয়েছে।গাড়িওয়ালা ভাই হাতে লাঠি নিয়ে এবং গাড়িতে লন্ঠন ঝুলিয়ে দূরের পথ পাড়ি দিচ্ছেন।

আলোকচিত্র: 6

IMG_20240429_235046.jpg

আমি এই ছবিটি আমাদের কলেজ থেকে ধারণ করেছি।যখন কলেজের দোতলা বারান্দা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম তখনই চোখে পড়েছিল সুন্দর একটি অজানা ফল।এই গাছে অন্য সময়ে খুবই সুন্দর ফুল ধরে থাকে,আজ আবার ফলের সন্ধান পেলাম।মজার বিষয় হচ্ছে আমি আমার বান্ধবীকে এতবার দেখাচ্ছিলাম ,কিন্তু কিছুতেই ও দেখতে পাচ্ছিলো না।যাইহোক এটি দেখতে অনেকটা শিমের আকৃতি।

আলোকচিত্র: 7

IMG_20240429_235123.jpg

এটি হচ্ছে কচু পাতাবাহার।সবুজের উপর লাল ও সাদা রঙের সমাহার এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা করে।কচু পাতাবাহারের আবার ফুলও ফুটেছে একটি।তাছাড়া এর সুন্দর পাতাগুলো দেখলে মনে হয়, কেউ যেন রং-তুলি দিয়ে সাদা ও লাল রং একে রেখে দিয়েছে ছিটে মেরে।কচু পাতাবাহারের অনেক প্রজাতি রয়েছে ভিন্ন রংয়ের।


আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি আপনাদের সকলের কাছে একটু ব্যতিক্রম লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসredmi note 10 pro max এবং poco m2
ফটোগ্রাফার@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 4 months ago 

এদের পূজোর থিমটা দারুণ ছিল। বিভিন্ন ধরনের জলরঙা পেইন্টিং দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিল প‍্যান্ডেল টা। পেইন্টিংগুলো খুবই চমৎকার ছিল। এবং আপনি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন আপু। দারুণ লাগল ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে। আপনার কলেজের দ্বিতীয় তলা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন আপু।

 4 months ago 

আসলেই ভাইয়া, পূজার থিমটি সুন্দর ছিল।আর প্রতিবছরই তারা পেইন্টিং দিয়ে সাজায়,ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

কি বলবো আপু প্রতিটি আলোকচিত্র এ যেন এক একটা ইতিহাস।কিছু ঐতিহ্যবাহী আর্টেরও ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম।খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।

 4 months ago 

আসলেই পেইন্টিং পুরোনো ঐতিহ্যকে বহন করে, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 4 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 4 months ago 

😊😊

 4 months ago 

জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। এই ধরনের কারূ কাজগুলো সত্যিই উপভোগ করতে অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি আমার খুবই প্রিয় । যেটা করতে আমিও ভালবাসি। আজকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ধরনের ভিন্নতমূলক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত উপভোগ করে থাকি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

আপনার ফটোগ্রাফিও অসাধারণ হয় ভাইয়া, ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 4 months ago 

জলরঙ দিয়ে এই পেইন্টিং গুলো এত দক্ষতার সাথে অঙ্কন করেছে। দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি এই সৌন্দর্যময় পেইন্টিং গুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা পড়ে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

জল রং দিয়ে পেইন্টিং করা বিভিন্ন প্রকারের ছবির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বর্ণনাগুলো করে ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে যথার্থভাবে জানতে পেরেছি। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

চেষ্টা করেছি ভাইয়া, মন থেকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

জলরঙ্গে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার এই ফটোগ্রাফিগুলো আমার বরাবরই ভালো লাগে।
কচু পাতা বাহার গাছটি দেখতে অসাধারণ লাগছে। সবুজের ওপর লাল ও সাদার সমাহার দেখতে অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 4 months ago 

কচু পাতাবাহারটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল, ধন্যবাদ আপু।

 4 months ago 

বেশ অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট দেখে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বিভিন্ন আর্ট গুলো ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। এই সমস্ত চিত্র গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার। আমিও একদিন চারুকলা বিভাগের অফিস রুম থেকে এমন অনেক ফটো ধারণ করেছিলাম। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

আপনার চারুকলা বিভাগের অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

কলেজ থেকে আপনি যে এই দুটো ফটোগ্রাফি করেছিলেন সেই দুটো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে আপনি দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে ফটোগ্রাফি করায় আপনি অনেক বেশি দক্ষ। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 4 months ago 

না ভাইয়া, অতটাও ফটোগ্রাফিতে দক্ষ নই আমি।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

কিছুদিন আগেও মনে হয় তোমার শেয়ার করা জলরঙের কিছু পেইন্টিং দেখেছিলাম। যাইহোক, তোমার শেয়ার করা চার নাম্বার পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি টা দেখে ছোটবেলার সেই কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেল, যেটা তুমি নিচে লিখে দিয়েছো। তাছাড়া, একদম শেষে শেয়ার করা কচু পাতাবাহার এর ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লাগলো।

 4 months ago 

হ্যাঁ দাদা,কিছুদিন আগেও জলরঙের কিছু পেইন্টিং শেয়ার করেছিলাম।কিন্তু সেগুলো সবই আলাদা,ধন্যবাদ তোমাকে।

 4 months ago 

হ্যাঁ বোন, সেগুলো সবই আলাদা ছিল, এটা তো ঠিক কথা।

 4 months ago 

🥰

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 58139.39
ETH 2454.15
USDT 1.00
SBD 2.36