শৈশব স্মৃতি: "ঘুড়ি"
নমস্কার
শৈশব স্মৃতি: "ঘুড়ি"
শৈশবের অনুভূতি মানেই অন্যরকম ভালোলাগা।যদিও সব অনুভূতি ভালো লাগার নয়,কিছু তিক্ত অনুভূতির ছোঁয়া থাকে মনে।তাই সেই তিক্ত অনুভূতিগুলিকে দিতে চাই ধামাচাপা আর ভালোলাগার অনুভূতিকে করে তুলতে চাই আরো সজীব ও প্রাণবন্ত।তো চলুন শৈশব স্মৃতিটি শুরু করা যাক---
শীত নেমেছে প্রকৃতিতে।একটু একটু করে উত্তরে হওয়ারা ডানা মেলেছে।আর ছোট ছোট বাচ্চারা ছুটছে হাতে ঘুড়ি নিয়ে।অনাবিল আনন্দে ছুটে চলা এই শিশুদের।শুধু পার্থক্য সময়ের।
এখন নতুন ধান কাটার মৌসুম চলছে আর ঘরে উঠছে নতুন ফসল।সেই আনন্দে এখানকার মানুষ তাদের সংস্কৃতি মেনে নবান্ন উৎসব পালন করছে।নবান্ন মানেই পিঠাপুলির একরাশ গল্প।বাচ্চাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখে আমার মনে পড়ে গেল আমি কিভাবে ঘুড়ি বানিয়ে উড়াতাম আবার অন্যের ঘুড়ি কুড়াতাম।
ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি তৈরি করেছি আজ সেটাই বলবো আপনাদের সঙ্গে।বিকেল হলেই শুরু হতো ঘুড়ি তৈরির পালা।প্রথমত আমরা গরমের সময় মাঠ বের হলে তখন ঘুড়ি উড়াতাম।আর গরমের দিনে দক্ষিণা ফুরফুরে হাওয়ায় অনেক বাচ্চারা লাটাই আর ঘুড়ি নিয়ে ছোটাছুটি করে।
প্রথমে খাতা থেকে কাগজ ছিড়ে নিয়ে তারপর নিয়ে নিতাম কয়েকটি নারিকেলের শলা।এরপর গরম গরম ভাত বা ভাতের গরম ফ্যান দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করতাম।
আবার কখনো অপেক্ষা করতাম আমাদের নারিকেল গাছের মাথায় ঘুড়ি এসে আটকে যাবে।আসলে কারো ঘুড়ি উড়ানোর সময় সুতা কেটে সেই ঘুড়ি হাওয়ায় উড়ে উড়ে সোজা এসে নারিকেল গাছের মাথায়।ইয়া বড় বড় নারিকেল গাছ ছিল আমাদের।তাই ডাব কিনতে এলে কখনো কোনো মুচি গাছে উঠলে তার সাহায্যে ঘুড়িগুলি নামিয়ে নিতাম।তারপর সেই ঘুড়ির প্রতি পূর্ন অধিকার আমার থাকতো।এখনো মনে পড়ে ভাতের ফ্যানে সেই ঘুড়ি তৈরির দিনগুলির কথা,যেটা খুবই মিস করি।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
খুব সুন্দর কথা শৈশবের অনুভূতি মানেই অন্যরকম ভালোলাগা। আপনার ঘুরি বানানোও অন্যের সুতা কেটে আসা ঘুরি কুড়ানোর অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর। আসলে ভালো,মন্দ নিয়েই শৈশব। আর সেই শৈশবের সুন্দর মুহুর্তগুলোই আমরা সৃতিচারণ করে থাকি আমৃত্যু। নারকেল গাছে আটকে যাওয়া ঘুড়ি পেরে নিতেন নারকেল পাড়তে আসলে।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর শৈশবের সৃতিচারণ করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে দিদি,অনেক বড় নারিকেল গাছ ছিল তাই আমাদের বাড়ির কেউ গাছে উঠতে পারতো না।এমনিতেই ঋষিরা আমাদের বাড়িতে ডাব কিনতে আসতো তাই আমার ও বেশ সুবিধা হতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরাও ভাতের ফ্যান অথবা মাড় দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করেছি, তবে বউড়ার আটা বেশি ব্যবহার করতাম। তবে যাই হোক অতীতের সুন্দর স্মৃতি গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এক পলকেই যখনই আপনার লেখা পড়েছিলাম তখনই যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম ছোটবেলার সেই খেলার সাথীদের সাথে মাঠে মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি স্মরণ করে। অতীত স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বউড়ার আটা দিয়ে যে কিছু জোড়া লাগানো যায় এটা জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখন অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি যখন পড়ছিলাম সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আমরাও কত খাতার পেজ ছিরতাম,নারকেলের কাঠি কত যে নষ্ট করতাম ঘুড়ি বানাতে গিয়ে। শৈশবের স্মৃতিচারণ গুলো আসলেই ভোলার নয়। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনারও এমন স্মৃতি ছিল জেনে ভালো লাগছে,ধন্যবাদ আপু।
শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে যেতে হয়। ঘুড়ি যদিও কখনো ওড়ানো হয়নি কিন্তু ছোটবেলায় অনেকেই দেখতাম ঘুড়ি ওড়াতে। অনেক সময় অনেকের ঘুরি ছাদে এসে পড়তো। সেগুলো দিয়ে খেলতাম। আপনার ছোটবেলায় ঘুড়ি তৈরির কথা শুনে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপু ছোটবেলার ফিরিয়ে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,শৈশব অনেক আবেগপ্রবণ।