"ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"

শারদীয়া দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেল কিন্তু তার স্মৃতি থেকে গেছে আমাদের ফোনে।যদিও একটি পোষ্টের মাধ্যমে সব চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই আজ চলে আসলাম কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি নিয়ে।পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গাপূজা থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে।এই কমিটির থিম মূলত **সহজ পাঠ** বা প্রথম সংস্করণের এর আদলে তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবছর এখানে প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের আর্টকে কেন্দ্র করে করা হয়।ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আর্ট দিয়ে সাজানো হয় প্যান্ডেলটি।আশা করি ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলি দেখে নেওয়া যাক----

ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:

এটি হচ্ছে একঝাঁক মৌমাছির দৃশ্য।মৌমাছি সবসময় দলবেঁধে চলাফেরা করে।ফুলের মাঝে থেকে গুনগুন করে মধু সংগ্রহ করে তেমন-ই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে।শিল্পীরা তাদের রং -তুলি দিয়ে খুবই সুন্দর মাত্রা দিয়েছেন পেইন্টিং এ।

শৈশবের আরো একটি ঝলক খুঁজে পাওয়া যায় এই নৌকার দৃশ্যে।ছোটবেলায় আমরা খাতার কাগজ ছিড়ে তা দিয়ে নৌকা তৈরি করে পুকুরের জলে কিংবা বৃষ্টির জমা জলে উঠানে ভাসিয়ে দিতাম।খুবই মজা হতো সেই দৃশ্য উপভোগ করে।

এটা হচ্ছে সকলের পরিচিত পেঁচা রানীর ছবি।পেঁচা দুই ধরনের হয়ে থাকে, লক্ষ্মীপেঁচা ও কালপেঁচা।এগুলো কোন ধরনের পেঁচা আমার জানা নেই।তবে দেখতে অনেক কিউট লাগছিল।আর পেঁচা সবসময় রাতে চলাচল করে কিংবা গাছের ডালে বসে থাকে চুপটি করে।

এটি হচ্ছে বউ পুতুলের দৃশ্য।যেটা ছোটবেলায় বায়না করলে মাটি দিয়ে মা আমাদের তৈরি করে দিতেন অথবা মেলা থেকে কিনে দিতেন বউ পুতুল।কখনো সখনো নিজে পাকামো করেও কাদা মাটি ঘেঁটে তৈরি করতাম পুতুল, যেন এই ছবিটি সেই শৈশবের এক ঝলক।

এটি হচ্ছে টিয়া পাখির দৃশ্য।শক্ত ঠোঁটে লেজ নীচে ঝুলিয়ে গাছের ডালে বসে আছে অনেকগুলো টিয়া পাখি।জঙ্গলে এমন দৃশ্য দেখা যায়।আর টিয়া পাখি তো সকলের পছন্দের।

এটি হচ্ছে উড়ন্ত একঝাঁক পাখির ফটোগ্রাফি।আসলে এত এত ছবি তোলা হয়েছে ফোনে যে কিছু ছবি এমন কেটে গেছে তাই একটু জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।আসলে ছবি যেমন-ই হোক না কেন বিষয় তো পাখিকে কেন্দ্র করেই তাইনা!আর এমন উড়ে যাওয়া পাখির ঝাঁক দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।যেই দৃশ্য সকাল এবং সন্ধ্যার সময় দেখা যায়।

এটি হচ্ছে ঘুড়ির পেইন্টিং।শৈশবে আমরা নিজ হাতে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়াতাম বিকেলের ফুরফুরে হাওয়াতে।আকাশে বাতাসে ঘুড়ির মেলা ছেয়ে যেত সেই দৃশ্য এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি আপনাদের সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

শ্রেণী	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	redmi note 10 pro max
অভিবাদন্তে	@green015
লোকেশন	বর্ধমান

আমার পরিচয়