অনুভূতির মিশেলে: "আত্মতৃপ্তির বন্ধন"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)

আজ সকাল থেকেই মাথাটা বড্ড ঝিমঝিম করছে।তাই কি লিখবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না।তবুও আজ বৃহস্পতিবার ,বিশেষ দিন বলে কথা।অধীর আগ্রহে রাতের অপেক্ষা, আর সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মানুষের কন্ঠগুলি শোনার আকাঙ্ক্ষা বড্ড মায়ার সৃষ্টি করে মনে।তাইতো বারবার ফিরে আসি আপনাদের মাঝে।হারিয়ে যেতে চাইলেও পারি না হারিয়ে যেতে ।এ যে এক আত্মতৃপ্তির বন্ধন।যে বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া মানেই এক ভালোবাসার পরিবারকে হারানো।স্বতঃস্ফূর্ত মানুষগুলোকে হারানো।হিমেল হাওয়ারা আজ বড্ড বেশি ক্লান্ত,ঋতুগুলির মনে পরিবর্তনের ছোঁয়া।তাহলে মানুষের মনে কেন পরিবর্তন থাকবে না!সবাই নিজেকে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দুর্নিবার গতিতে ছুটে চলার কঠিন প্রয়াস।যেন ধাঁধার মিশেলে সবাই গন্ডিবদ্ধ এক কম্পিটিশনে যুক্ত।

শরৎ শেষ হয়ে হেমন্ত পাখনা মেলে রঙিন হাওয়ায়।ধানের সবুজ পাতায় শিশির বিন্দুগুলি রোদ্রে চকচক করে উঠে।মনে হয় হিরের এক একটি রত্ন আবার কখনো পাখির কিচিরমিচির শব্দে নিঃশব্দে শিকারীরা সদল বলে হামলায় ব্যস্ত।নীরবতার সমুদ্রে আমি একা পথিক হেঁটে।হালকা মেঘলা আকাশে রোদ্দূর ফিকে হাসে ঔজ্জ্বল্যতা হারিয়ে।যন্ত্রগুলো ছুটে চলে বিনা দ্বিধায় সশব্দে গন্তব্যে।লাল মাটির ধুলো উড়িয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলা যানবাহনগুলি দেখে এক আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি হয়।অনুভূতিগুলি লিপিবদ্ধ হয় কোনো কবিতার খাতায়।

সন্ধ্যার বাতাশ শরীরকে অদ্ভুত নাড়া দেয় হেমন্তে,শীতের হালকা আবেশ গায়ে মাখিয়ে।পাড়ার বুড়োরা চায়ের দোকানে ভিড় জমায় চাদর মুরি দিয়ে।একদিকে চায়ে চুমুক আর অন্যদিকে তাস খেলার সরগরম।মোড়ের আবছা অন্ধকারে বখাটে ছেলেদের উম্মাদ আড্ডা।পাড়ার কুকুরগুলোর ঘেউ ঘেউ শব্দে অস্পষ্টতার ইঙ্গিত।ভয়াল অদৃশ্য অনুভবে হৃদয় কাঁপা যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ। প্রকৃতি তখন কালো চাদর মুরি দিয়ে বিশ্রাম নেয় নীরবতাকে সঙ্গে নিয়ে।এটাও যেন এক আত্মতৃপ্তির বন্ধন।

(প্রকৃতির রূপের মাঝে যেমন আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাওয়া যায় তেমনি মানুষের মাঝ থেকেও এক অদ্ভুত আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।আর তার সঙ্গে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত হয়।)

আজ আমি আমার মনের এলোমেলো অনুভূতিগুলি শেয়ার করলাম।কারন মাঝে মাঝেই মন কি বলে বা বলতে চায়,মনের কথাগুলো ও শুনতে বেশ ভালোই লাগে আমার।হোক না সেটা এলোমেলো!সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸

অভিবাদন্তে: @green015