সুন্দরবন পর্ব-2:"বিদ্যাধরি ও গাড়াল নদীর কিছু আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম "বিদ্যাধরি এবং গাড়াল নদীর কিছু আলোকচিত্র" নিয়ে।
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম গোসবা নদীর কিছু আলোকচিত্র এবং আমি সেখানে কিভাবে গিয়েছিলাম।এখন আমি তার পরে কিভাবে এবং কোন কোন নদী পার হয়ে শেষমেশ সুন্দরবনে ছোট মোল্লাখালী দাদুর বাড়ি পৌঁছে গেলাম সেটার কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক----
গোসবা ফেরিঘাট থেকে জটিরামপুর ঘাট
গোসবা ফেরিঘাট থেকে নেমে আমি জটিরামপুর ঘাটে গেলাম ।সেখানে একটি ভ্যানে করে কিছুটা পথ আমাকে যেতে হলো এই রাস্তা ধরে।এখানে আশেপাশের পরিবেশ বেশ সবুজময় ছিল এবং বাড়িঘরগুলি টিনের ছাউনি আবার কখনো নেট জাল দিয়ে ঢাকা ঘরের চাল।
জটিরামপুর ফেরিঘাট থেকে কালিদাসপুর ফেরিঘাট
জটিরামপুর ফেরিঘাট থেকে কালিদাসপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত যেতে আমাকে 4-5 টা ছোট বড়ো নদী পাড়ি দিতে হয়েছিল এঁকেবেঁকে।আর আমি যেহেতু এতটা পথ কখনো জার্নি করিনি তাই আমার অবস্থা কিছুটা নাজেহাল হয়ে পড়েছিল।যাইহোক তবুও আমি সুন্দর দৃশ্যগুলি নদীর শীতল হাওয়ায় উপভোগ করেছি।আমার নদীর উপর বোট করে সুন্দরবন এলাকায় পৌঁছতে সময় লেগেছিল 3-4 ঘন্টা।সবশেষে আমি কালিদাসপুর ঘাটে নেমে সুন্দরবন এলাকায় পৌঁছেছিলাম।
বিদ্যাধরি নদী
এটি বিদ্যাধরি নদী।এই নদীতে কিছুটা চর দেখা যায়।আর এই নদীর কিনারায় কয়েকটি নৌকা বাধা আছে,যেটি দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।এই ছোট ছোট নৌকাগুলি মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়।বিশেষ করে বাবলা গাছটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
নদীর ঘাটগুলিতে বেশ পাকা করে বাঁধানো সিঁড়ি রয়েছে।যেটা মানুষের চলাচলের জন্য বেশ সুবিধাজনক।তাছাড়া আমার কাছে সব নদীই একই সমান মনে হচ্ছিল কারন বিশাল জলরাশির মধ্যে নদীর ছোট বড়ো ঠাওর করা বেশ কঠিন।দূরের নদীর কিনারায় বড়ো সাইজের বোট ছিল কিছু ,যেগুলো খুবই ভালো লাগছিল দেখতে।এভাবে নদী, বোট,নৌকা ও ঘাট দেখতে দেখতে আমরা নদীর কিনারা ধরে বেশ নদী পার করে শেষমেশ পৌঁছে গেলাম গাড়াল নদীতে।
গাড়াল নদী
এটি গাড়াল নদী এবং বেশ বড় নদীটি।এই গাড়াল নদীটি একদম সুন্দরবনের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে।ফলে গাড়াল নদীটি সুন্দরবন এলাকায় বেশি জনপ্রিয় ও পরিচিত।গাড়াল নদীর একপাশে ছোট মোল্লাখালী গ্রাম এবং অন্যপাশে সুন্দরবন।অফুরন্ত জলাভূমির বা বয়ে চলা গাড়াল নদীর পাশ দিয়ে সুন্দরবন দেখা যাচ্ছে।সবুজেভরা ছোট বড়ো ঝাড়যুক্ত অসংখ্য গাছে বেষ্টিত এই সুন্দরবন।অনেকটাই ঘন বন ,যেটা বেশ উপভোগ করলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
ওয়াও আপু ছবিগুলো বেশ দারুন। আকাশ ও নদী নিয়ে বেশ দারুন এক কথায় অসাধারণ। প্রতিটি ছবি বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু,আকাশের সঙ্গে নদীর ছবিগুলো আমার কাছে ও ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। নদীর পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, নদীর পাড়ে কাটাতে বেশ ভালো লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মমনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি দেখা হলো। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন সুন্দর পরিবেশ এর মধ্যে আমি যদি সারাদিন জার্নি করি তবুও ক্লান্তি আমায় ছুঁতে পারবে না😁।
আর ফটোগ্রাফি গুলা জাস্ট দুর্দান্ত হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, তবে আগেও আমাকে অনেকটা জার্নি করতে হয়েছিল ট্রেনে ও বাসে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দিদি কোনটাকে কোনটা প্রশংসা করব বুঝে উঠতে পারছিনা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও দিদি অসাধারণ আপনি বিদ্যাধরি নদীর বেশ চমৎকার কিছু ছবি তুলেছেন ৷নদীর তীরে নৌকা ঘাটে বাধানো ৷সব মিলে ভালো লাগলো দিদি ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ দাদা,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনার উপস্থাপন করা আলোকচিত্র গুলো দেখে সত্যি অনেক মুগ্ধ হয়েছি দিদি আসলে আমি জায়গাটিতে কখনো যাইনি যদি কোনদিন ইন্ডিয়াতে যাই অবশ্যই জায়গাটিতে একবার যাওয়ার চেষ্টা করব । খুবই সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট ছিল বিশেষ করে নদীর ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you💝💝.
কী দারুণ জায়গা ! প্রতিটা ছবি খুব ভালো হয়েছে। পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো বেশ।