DIY- এসো নিজে করি-"সুতা দিয়ে পম পম মুরগির বাচ্চা তৈরি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজ আমি @rme দাদার আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী diy প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।এইজন্য দাদার এই সুন্দর প্রতিযোগিতা নির্ধারণের জন্য এবং আমাদের সকলকে সকল বিষয়ে সুযোগ প্রদানের জন্য দাদাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন থেকে।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো রেসিপি কিংবা অঙ্কন শেয়ার করবো না,বরং সুতা দিয়ে আমার তৈরি একটি মুরগির বাচ্চা শেয়ার করবো।
বন্ধুরা,সুতা আমাদের সমাজের চিরাচরিত একটি ঐতিহ্য।যা বহু প্রাচীন যুগ থেকে বংশপরম্পরায় চলে আসছে।পূর্বে সব বাড়িতেই প্রায় মা -ঠাকুমারা সুতার তৈরি বিভিন্ন জিনিস ও নকশী কাঁথা তৈরি করতেন।এমনকি ছোটবেলায় মামাবাড়িতে গেলে দেখতাম আমার দিদিমা বিকাল হলেই সুতা দিয়ে কাপড়ে নানা নকশা তৈরি করতেন বিভিন্ন ধরনের ফোড় দিয়ে।অনেকেই আমার দিদিমাকে ঘিরে গোল হয়ে বসতো ।সুতা দিয়ে হাতের কাজ শেখার জন্য।আর আমার দিদিমা সবাইকে বিভিন্ন ধরনের ফোড় শিখিয়ে দিতেন।কিন্তু কালের বিবর্তনে সবই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে।দিদিমাদের হাতে সুতায় বোনা নকশায় যেন ইতিহাস লেখা থাকতো,থাকতো সুখ -দুঃখের কথা, ফুল-পাখির চিত্ৰ অঙ্কন।তবে দিদিমার বয়স হওয়ায় আগের মতো এখন আর চোখে পেরে ওঠেন না।আমরা তার কিছুই জানি না এখন।সুতার সাথে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে।যাইহোক সুতা নিয়ে অনেক গল্প করলাম ।চলুন আমার হাতের জিনিস তৈরি শুরু করা যাক----
উপকরণ:
1.লাল এবং হলুদ রঙের সুতা
2.কেচি
3.সবুজ রঙের দুটি স্টোন
4.সুই
5.আঠা
পদ্ধতি:
●প্রথমে আমি মুরগির বাচ্চা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি নিয়ে নেব।যেমন- সুতা, কেচি, সুই,আঠা ইত্যাদি।
●এরপর আমি আমার বামহাতের তিনআঙুলে হলুদ সুতা ঘুরিয়ে পেচিয়ে নেব 100 বার।তারপর হাত থেকে খুলে নেব।এবার আলাদা একটা সুতা দিয়ে শক্ত করে সুতার মাঝবরাবর বেঁধে নেব।
●এরপর সুতার দুই পাশে কেচি দিয়ে কেটে আলাদা করে নেব সুতাগুলি।
●তারপর সুতাগুলি কেচি দিয়ে কাটতে থাকবো যতক্ষণ না কদম ফুলের মতো একটি শক্ত গোল তৈরি হয়।সুতা কেটে কেটে ফেলে দিয়ে গোল বলের সেপ তৈরি করে নেব।
●তো আমার একটি বল তৈরি হয়ে গেছে।এটি হলো মুরগির বাচ্চার মাথা।
●একইভাবে আমি আরেকটি গোল বলের সেপ তৈরি করে নেব পূর্বের থেকে একটু বড়ো করে।এক্ষেত্রে আমি 100 এর জায়গায় 130 পেচ নেব এবং তিনআঙুলের বদলে চার আঙুলে সুতা ঘুরিয়ে নেব।তারপর কেচি দিয়ে কেটে কেটে বল তৈরি করে নেব গোলাকার।
●এবার বড়ো সুতার তৈরি বলের মাঝখানে ফাঁকা করে আঠা লাগিয়ে নেব তারপর ছোট বলটি লাগিয়ে দেব।
●আমি এটিকে আরও মজবুত করতে একটি বড়ো সুইতে সুতা লাগিয়ে বল দুটি সুতা দিয়ে বেঁধে নেব।
●মুরগির বাচ্চার পুরো শরীর তৈরি হয়ে গেছে।
●এবার আমি লাল সুতা নেব একটু লম্বা করে কেটে।সুতা দুই ভাঁজ দিয়ে গিট দেব 5 - 7 টি।এভাবে তিনটি সুতা গিট দিয়ে নেব।তারপর প্রত্যেকটি সুতায় গিট দেওয়া হয়ে গেলে তিনটি একত্রে জড়ো করে একটি গিট দিয়ে কেচি দিয়ে কেটে নেব।এটি হয়ে গেল মুরগির বাচ্চার একটি পা,একইভাবে আরেকটি পা ও তৈরি করে নেব।
●এরপর সুই ও সুতা দিয়ে মুরগির বাচ্চার পা ও শরীরের নিচের অংশ ফাঁকা করে ফোড় দিয়ে বেঁধে দেব।এভাবে পা দুটো যুক্ত করে নেব।
●মুরগির বাচ্চার পা দুটো তৈরি হয়ে গেছে।
●এবার আমি আবারো লাল সুতা একটু লম্বা করে তিন টুকরো করে নেব।তিন টুকরো একসাথে নিয়ে গিট দেব 4-5 টি।এভাবে তারপর গিটের গা দিয়ে কেটে নেব কেচি দিয়ে।এভাবে ঠোঁট তৈরি করে নেব।
●এরপর আঠা ও সুই -সুতা দিয়ে মুরগির বাচ্চার মুখের নিচ প্রান্তে ঠোঁটটি লাগিয়ে দেব।
●সবশেষে সবুজ রঙের দুটি স্টোন নেব এবং মুরগির বাচ্চার ঠোঁটের একটু উপরে দুই পাশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেব।
তো তৈরি হয়ে গেল মুরগির বাচ্চার চোখ।"সুতা দিয়ে সম্পূর্ণ মুরগির বাচ্চাটি" আমার তৈরি হয়ে গেছে ।আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে আমার সুতার তৈরি জিনিসটি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আপনার অসাধারণ প্রতিভা আপু।সুতো দিয়ে পম পম মুরগির বাচ্চা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপনার নিজের দক্ষতা ও নিজের যোগ্যতা দিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুরগির বাচ্চা বানিয়েছেন সুতার সাহায্যে। এটি দেখতে একদম মুরগির বাচ্চার মতোই হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপু আপনাদের ভালো লাগায় আমার কাজের সার্থকতা।আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য শুনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে আপু, ভালো থাকবেন।
আপু আপনার সৃজনশীলতার তারিফ করতে হয়। এতো সুন্দর ভাবে সব কিছু তৈরি করেছেন যে কি আর বলবো।আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করেছি তা হলো আপনি খুবই গোছালো স্বভাবের তাই আপনার কাজ গুলোও খুব নিখুঁত। সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে মুরগির বাচ্চাটি।
অনেক ধন্যবাদ আমার আপু।😊😊আমি কতটা গোছালো তা ঠিক বলতে পারবো না আপু,তবে চেষ্টা করি সাধ্যমতো।আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত।ভালো থাকবেন।
কি দারুন ভাবে বানিয়ে ফেলেছেন।দেখতে যত সহজ আসলেই কিন্তু তা না অনেক দৈর্য ছিলো এই কাজে আপনার ।দোয়া রইল এই ভাবেই এগিয়ে যান প্রিয় আপু টা আমার ।
হ্যাঁ, ভাইয়া এটি ধৈর্য্য ও সময়সাপেক্ষ একটি কাজ।কিন্তু আমার কাছে কষ্ট মনে হয় না, যখন আপনারা আমাকে প্রশংসা করেন সুন্দর মন্তব্য দ্বারা।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।😊😊
চমৎকার বানিয়েছেনতো।সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।এটা কিভাবে আপনার মাথায় আসলো। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, সুতার সঙ্গে আমার আগে থেকেই একটু- আধটু সম্পর্ক রয়েছে।এছাড়া আমি সুতার দুই -একটা ফোড় ও জানি।এইজন্য নতুন কিছু তৈরি করলাম আজ।আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মুরগির বাচ্চা টা খুবই সুন্দর হয়েছে। দারুন বানিয়েছেন আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসাধারণ দিদি। অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক নিখুঁত ভাবে বানিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার তৈরি মুরগির বাচ্চার সুন্দর হয়েছে আপু। আর আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
আপনি সুতা দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে মুরগির ছবি তৈরি করেছেন,দেখতে অসাধারণ লাগছে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দিদি,শুভকামনা আপনার জন্য
আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সুতা দিয়ে মুরগির বাচ্চা। অসাধারণ হয়েছে দিদি। দেখতে মুরগির বাচ্চার মতোই লাগছে। আপনি দেখছি আর্ট রান্না শৈল্পিক কাজ সবদিক থেকেই পটু। আপনার জন্য শুভকামনা।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।সবই আপনাদের আশীর্বাদ।ভালো থাকবেন।
🙂🙂