"কয়েকটি সাধারণ ফটোগ্রাফি ও আমার অনুভূতি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।এই শীতের মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই সাবধানে থাকবেন ও অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো রেসিপি কিংবা অঙ্কন শেয়ার করবো না বরং কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।যদি ও আমি ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না ।তবুও মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় সেটিই পূরণ করি আমার অদক্ষ হাতে আরকি!আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আপনাদের কাছে।
আমার লোকেশন
(রাখালেরা গরু নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে)
আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যকে আমরা যতই দুই চোখ ভরে দেখি না কেন সেটি কখনো পুরোনো হয় না ।বারেবারে নতুন হয়ে ধরা দেয়।প্রকৃতির সুন্দরতাকে এক একজন এক একরকমভাবে মনের অনুভূতিগুলি ব্যক্ত করেন যেটা খুবই শ্রুতিমধুর হয়।এখানে সারাদিন শেষে রাখালেরা গরু নিয়ে মেঠো পথ ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে গোধূলি বেলায়।
(মা হারা ভেড়ার বাচ্চা)
এটি একটি ভেড়ার কিউট বাচ্চা।মূলত এই বাচ্চাটি মাঠে ওর মায়ের সঙ্গে ঘাস খাচ্ছিল।আমাদের বাড়ির পিছনেই ইয়া বড়ো মাঠ।সেই মাঠে একসময় ওর মায়ের থেকে দূরে সরে যায় বাচ্চাটি আর ওর মাকে দেখতে পায় না।তখন এই ভেড়ার বাচ্চাটি চিৎকার করে ডাকতে ডাকতে মাঠ থেকে আমাদের বাড়ির উপরে চলে আসে।
আমি ভেড়ার বাচ্চাটির চিৎকার শুনে উঠানে এসে দাঁড়ায়।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো -আমাকে দেখেই বাচ্চাটি আমার কাছে আসলো আর চেঁচিয়ে ডাকতে লাগলো।তারপর আমি ওকে মাঠে ফিরে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশ করলাম।কিন্তু বাচ্চাটি ততই আমাদের বাড়ির উঠান পেরিয়ে আমাদের কলতলার দিকে চলে আসলো,যেখানে আমার বাবা স্নান করছিল।আমার খুবই অবাক লাগছিলো তাই শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম বাচ্চাটিকে।বাচ্চাটি শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে ওর মাকে খুজছিল,তাই আমি কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম আমার ফোনে।তারপর মাঠের দিকে তাকিয়ে কোথাও ওর মাকে দেখতে পেলাম না।তখন বাবা বললো বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়ে দিতে,তারপর আমি বাচ্চাটিকে সযত্নে ধরে মাঠে নামিয়ে দিলাম।বাচ্চাটি নিরুপায় হয়ে জমির আইলের উপর ঘাস খেয়ে শুয়ে পড়লো।আমি বাড়ি থেকে নজর রাখছিলাম ওর উপরে।তারপর দেখলাম এক মহিলা এসে ভেড়ার বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, বুঝলাম ওদের ভেড়ার বাচ্চা।ভেড়ার বাচ্চাটি খুবই কিউট ও সফট ছিল।
আমার লোকেশন
(সুন্দর শিম ফুল)
এটি সবারই পরিচিত একটি ফুল।এটি হচ্ছে শিম ফুল, আমার খুবই পছন্দের।এই ফুলটি তিনটি পাপড়িতে বেষ্টিত এবং সুন্দর রঙের হয়।যেটি একটি ডালে অনেকগুলি ফুল ফুটে তা থেকে শিম ফল হয়।যেটা আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি।তবে এই ফুলে প্রচুর পরিমানে জাভ পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।
(আমার নিজের ছবি)
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার সঙ্গে আপনার অনুভুতি গুলো ছিল অসাধারণ ।গ্রামের রাখালেরা গরু নিয়ে যাচ্ছে ছবিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ।আর ভেড়ার বাচ্চার গল্পটি খুব ভালো লেগেছে। অবশেষে তার নিজের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে ,তার মায়ের দেখা পাবে ভেবে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,এটা দেখে সেই মুহূর্তে আমার ও খুবই ভালো অনুভূত হয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর । মা হারা ভেড়ার বাচ্চা টির গায়ের রং কি সুন্দর সাদা কালো। মনে হয় কেউ রং করে দিয়েছে। ধন্যবাদ বোন আপনাকে। ভাল থাকবেন।
ঠিক বলেছেন দাদা,খুবই সুন্দর দেখতে ও কিউট ছিল ভেড়ার বাচ্চাটি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি ও ভালো থাকবেন।
শীতের দিনে প্রকৃতির দৃশ্যগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে, বিশেষ করে গ্রামীন দৃশ্যগুলো। আপনার শুরুর ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুণ ছিলো, সাধারণ কিন্তু বেশ দারুণ। ধন্যবাদ
প্রকৃতির দৃশ্যগুলি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমার ও খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সময় নিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
রাখাল গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছে খুবই সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি দিদি । ছাগলটিকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে আমার কাছে মনে হচ্ছিল এটি একটি ভেড়া । মাহারা ছাগলের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দিদি । ধন্যবাদ দিদি আপনাকে
@haideremtiaz ভাইয়া, আমি তো কোথাও ছাগলের কথা উল্লেখ করিনি আমার লেখাতে।মনে হয় আপনি আমার লেখাটি পড়েন নি।
প্রথমত এটি একটি ভেড়ারই বাচ্চা।
আর দ্বিতীয়ত রাখাল গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছে না, মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি খুব সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।ফটোগ্রিাফি সাথে সাথে উপস্থাপনা অনেক দারুন।আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার মা হারা ভেড়ার বাচ্চার ছবিটি খুব সুন্দর।অনেক ধন্যবাদ ।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,পড়ে মন্তব্য করার জন্য।