"প্রথমবার বর্ধমান আর্কেডে যাওয়ার অনুভূতি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।যাইহোক আজও আমি হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সেটি হলো-"প্রথমবার বর্ধমান আর্কেডে যাওয়ার অনুভূতি"।
বন্ধুরা,পরশুদিন মানে শনিবারে প্রথম বর্ধমান আর্কেডে গিয়েছিলাম।আমি সেখানে হঠাৎ করে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলাম সামান্য সময়ের জন্য।
বর্ধমান আর্কেড হলো শপিং মল।
সেখানে যাওয়ার পিছনে মূলত বেশকিছু কারন ছিল তাছাড়া শনিবার অনেক কম মেয়েরাই এসেছিল কলেজে, তাই তাড়াতাড়ি ক্লাস করে বেশ সকাল সকাল আমার একজন বান্ধবীর সঙ্গে বেড়িয়ে পড়লাম ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ।তো স্টেশনে যাওয়ার পথে 10-15 মিনিট বর্ধমান আর্কেডে একটু ঘুরাফেরা করবো বলে মনঃস্থির করলাম।যেমন ভাবা তেমন কাজ।
মূলত আমি শপিং করি বর্ধমানের রিলায়েন্স থেকে,কখনো বিগ বাজার থেকে, তো কখনো amazon বা ফিল্পকার্ড থেকে অর্ডার করে। বর্ধমানের রিলায়েন্স কার্জন গেটের দিকে অবস্থিত।আবার জিডি রোডের একটু ভিতরে বাদামতলায় বর্ধমানের বিগ বাজার অবস্থিত আর তার পাশেই লাগোয়া বর্ধমান আর্কেড।এখন অবশ্য রিলায়েন্স কোম্পানি বিগ বাজারকেও কিনে নিয়েছে।যাইহোক আমি বিগ বাজারে গিয়েছি কিন্তু সত্যি বলতে সেখানকার পোশাকের রং ও ডিজাইন আমার পছন্দ নয় তাছাড়া খুবই কম পোশাক পাওয়া যায় সেখানে।কিন্তু তার পাশেই লাগোয়া বর্ধমান আর্কেডে কখনো যাওয়া হয়নি।তাইতো ছুটে গেলাম সেখানে।
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই আমার বান্ধবীদের মুখ থেকে শুনছি আর্কেডের গুণকীর্তন।তাই যাওয়ার প্রতি ইচ্ছেবোধ জাগলো।আসলে আমার বান্ধবীরা অনেকেই সেখান থেকে শপিং করে।তারা বলেছিল আর্কেডে জিনিসপত্রের দাম খুবই কম এবং মান ভালো।তাই আমি আমার একজন বান্ধবীর সঙ্গে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ঘুরে আসলাম।সত্যিই আমি সেখানে গিয়ে বেশ প্রশান্তি পেয়েছি কারন সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কুর্তি কম দামে পাওয়া যায় মেয়েদের।মেয়েদের পোশাক বেশি ছিল সেখানে।
প্রথমেই আর্কেডে ঢুকেই এসির ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল তারপর একবার লিফট একবার সিঁড়ি বেয়ে উপরের তলায় উঠে ঘুরে ঘুরে দেখলাম আমরা।গিয়েই বুঝলাম আর্কেডের মধ্যে মূলত অনেক ছোট ছোট দোকানে ভর্তি।প্রত্যেক দোকানে মেয়েদের কুর্তি ,প্লাজো ,গেঞ্জি ও লং ড্রেজই বেশি ছিল।আর প্রত্যেক দোকানে কুর্তির প্রাইজ 180 ও 200 টাকা দামের রয়েছে। কুর্তিগুলি খুবই সুন্দর সুন্দর ছিল।বিশেষ করে কুর্তির রং ও ডিজাইন আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।তাছাড়া ছেলেদের পোশাকগুলো ও ভালো ছিল বেশ।আমার মনে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য আর্কেড খুবই ভালো একটি শপিংমল। কম দামে সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস এখান থেকে কেনা সম্ভব।
এছাড়া আর্কেডের মধ্যে বাচ্চাদের খেলনার দোকান,পোশাকের দোকান,বিভিন্ন জুতার দোকানসহ নানাবিধ দোকান ছিল এবং রেস্টুরেন্ট ও ছিল 3 তলায়।যাইহোক আমি পরিকল্পনা ছাড়াই ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে তাই কিছু কেনা হয় নি তবে যখন পরে কিনবো আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবো।
আমরা প্রায় 3-4 তলা 15 মিনিট ধরে পরিদর্শন করলাম এবং অল্প কয়েকটি ছবি তুললাম।আর্কেডে গিয়ে আমার সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে এবং পোশাকগুলো বেশ পছন্দসই ছিল।এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে ট্রেনস্টেশনে চলে আসলাম।।
আশা করি আমার আজকের অনুভূতিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
বর্ধমান আর্কেডে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
প্রথমবার বর্তমান আর্কেডে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের সকলের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই ভাল ইনজয় করেছেন। খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর মুহূর্তের শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমি ওখানে মাত্র 15 মিনিট ছিলাম তাতেই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রথমবার বর্ধমান আর্কেডে যাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো অতি চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আর্কেডের বাচ্চাদের খেলনার দোকান এবং পোশাকের দোকানের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। অসাধারণ একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার সাবলীল মতামত তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমবার বর্ধমান আর্কেডে পরিদর্শনের অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি বলতে সব মেয়েরাই এক, কারণ এদের সামনে যত ভালো কিছুই এনে দাও না কেন এদের পছন্দ হয় না আর এদের সাথে যদি কোন ছেলে যায় তাহলে তার অবস্থা তো একদম কাহিল করে ফেলে ঘোড়ায় ঘুরায়ে জীবন শেষ হাহাহা। এটা আমার এক বাস্তব অভিজ্ঞতা ছোট বোনের সাথে যদি কিছু কিনতে চাই সেদিন আমার দম বের হয়ে আসে। যাই হোক আপনি বান্ধবীর সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় সেটা সেই মেয়েটির চাহিদার উপরে নির্ভর করে, সব মেয়ে এক নয় ভাইয়া।আমি ওখানে মাত্র 15 মিনিট ছিলাম,তাছাড়া সব ড্রেজই আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কুর্তির প্রাইজ তো কমই দেখা যাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রফিতে দেখলাম অনেক সুন্দর সুন্দর পোষাক। দেখে ভালই লাগলো। বাংলাদেশ থেকে একসময় আসবো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া, এখানে বেশ কম ছিল কুর্তির দাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।